২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`


ব্যবসায়ী হত্যা মামলায় ১৫ জনের মৃত্যুদণ্ড

ব্যবসায়ী হত্যা মামলায় ১৫ জনের মৃত্যুদণ্ড - সংগৃহীত

জায়গা-জমির বিরোধকে কেন্দ্র করে ঢাকা জেলার দোহারে কাপড় ব্যবসায়ী নজরুল ইসলামকে হত্যা করার অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় ১৫ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ২ জনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে দন্ডিত করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার জনাকীর্ণ আদালতে ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রদীপ কুমার রায় এ দণ্ডাদেশ দেন।

মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত আসামীরা হলেন- সিরাজ ওরফে সেরু কারিগর, মিনহাজ ওরফে মিনু, খলিল কারিগর, শাহজাহান কারিগর, দিদার (পলাতক), এরশাদ (পলাতক), কালু ওরফে কুটি কারিগর, আজহার কারিগর, নিয়াজ উদ্দিন, মোজাম্মেল ওরফে সুজা, জলিল কারিগর (পলাতক), জালাল, বিল্লাল, ইব্রাহিম (পলাতক) ও আব্দুল লতিফ। আদেশে তাদের ফাঁসিতে ঝুঁলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে বলা হয়েছে। একইসাথে এদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত দু’জন হলো- মজিদল ওরফে মাজেদা ও চায়না বেগম। তারা দু’জনই পলাতক। কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাদেরকেও ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া অনাদায়ে আরও এক বছর কারাভোগ করতে হবে।

উল্লেখ্য, আসামিদের সাথে নিহত ব্যবসায়ী নজরুলের জমি-জমা নিয়ে বিরোধ চলছিল। এর জেরে দেওয়ানি ও ফৌজদারি একাধিক মামলাও চলছিল। এর মাঝে ২০০৮ সালের ৩ এপ্রিল সকালে বুড়িগঙ্গা ব্রিজের পাশে নারিশা পশ্চিম চর এলাকায় আসামিরা ভিকটিম নজরুল ইসলামকে পিটিয়ে আহত করে। এ সময় তার স্ত্রী সূর্যভান এগিয়ে এলে তাকেও আঘাত করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় নজরুল ইসলামকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এই ঘটনায় ওই দিনই (৩ এপ্রিল) দোহার থানায় নিহত নজরুলের মামা নাজিমুদ্দিন আহমেদ বাদী হয়ে এ হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে মামলাটি ডিবি পুলিশের এসআই আনোয়ার হোসেন ওই বছরের ২৬ জুলাই ১৭ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দেয়। ২০০৯ সালের ২৫ মে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। এছাড়া মামলায় বিভিন্ন সময় মোট ১৪ জন সাক্ষী দেন। যুক্তিতর্ক শুনানী শেষে বুধবার ১৫ জন আসামীকে মৃত্যুদণ্ড ও ২ জনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করার আদেশ দেন আদালত।


আরো সংবাদ



premium cement