২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`
লইয়ার্স কাউন্সিলের বিক্ষোভ

সুপ্রিম কোর্ট বার সমিতির অবৈধ ভোট গ্রহণ বাতিল ও পুনরায় নির্বাচন দাবি

-


সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে আইনজীবী ও সাংবাদিকদের ওপর পুলিশের হামলার প্রতিবাদে এবং আবার নির্বাচনের জন্য নতুন কমিশন গঠনের দাবিতে ঢাকা জজ কোর্ট এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে ল’ইয়ার্স কাউন্সিল ঢাকা জজ কোর্ট শাখা। মিছিলটি ঢাকা সিএমএম কোর্টের সামনে থেকে শুরু হয়ে ঢাকা আইনজীবী সমিতি ভবনের সামনে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ ল’ইয়ার্স কাউন্সিলের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন। আরো বক্তৃতা করেন, কেন্দ্রীয় অফিস সম্পাদক ও ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক কোষাধ্যক্ষ অ্যাডভোকেট আবু বাক্কার ছিদ্দিক, বাংলাদেশ লইয়ার্স কাউন্সিল ঢাকা জজ কোর্ট শাখার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট লুৎফর রহমান আজাদ, ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক ইসি মেম্বার অ্যাডভোকেট আজমত হোসাইন, অ্যাডভোকেট আব্দুল মালেক ইমন ও অ্যাডভোকেট মোজাহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
ড. মো: হেলাল উদ্দিন বলেন, গত ১৫ ও ১৬ মার্চ বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বার নির্বাচন, একদলীয় নির্বাচনের লক্ষ্যে অবৈধ নির্বাচন কমিশন গঠন, আওয়ামী আইনজীবীদের ভোটকেন্দ্র দখল, ব্যালট পেপারে সিল মেরে, পুলিশ দিয়ে বার ভবন দখল করে আইনজীবীদেরকে মারধর ও রক্তাক্ত জখম করে নিজেরাই ফলাফল ঘোষণা করা এবং আইনজীবীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা-মোকদ্দমার প্রতিবাদে ও অবৈধ ফলাফল বাতিল করে ফের নির্বাচনের দাবিতে বাংলাদেশ লইয়ার্স কাউন্সিলের উদ্যোগে সারা দেশের আইনজীবী সমিতিতে প্রতিবাদ সমাবেশ কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে ঢাকা জজ কোর্ট আইনজীবী শাখার পক্ষে এই বিক্ষোভ মিছিলের অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আমরা এই অবৈধ নির্বাচন মানি না। অবিলম্বে এই ভোটগ্রহণ বাতিল করে আবার নির্বাচন দিতে হবে।


তিনি আরো বলেন, নির্বাচনে কেন্দ্র দখল, আইনজীবীদের মারধর, মিথ্যা মামলা ও সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনা গোটা দেশবাসীকে ব্যথিত করেছে। অন্য দিকে, সুপ্রিম কোর্টের মতো স্থানে ভোটের শুরু থেকেই এই নির্বাচনে স্বেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম ও কারচুপি গোটা দেশবাসী প্রত্যক্ষ করেছে। তৎক্ষণাৎ সঙ্কট সমাধানে দায়িত্বশীলদের সাথে দফায় দফায় বৈঠক করেও কোনো সমাধান মেলেনি। এর মধ্যেই আওয়ামীপন্থী আইনজীবীরা নিজেরাই তাদের ১৪ জন প্রার্থী নিরঙ্কুশ বিজয়ী করে ফলাফল ঘোষণা করার ফলে ভোট ডাকাতিতে সিদ্ধহস্ত আওয়ামী লীগের মুখোশ আরেকবার উন্মোচিত হয়েছে।
সমাবেশে আইনজীবী নেতারা আরো বলেন, আমরা সবসময় বলে আসছি যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও তাদের ছত্রছায়ায় দেশের কোথাও কোনো নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব নয়। তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না, জনগণের ভোটাধিকারে বিশ্বাসী নয়, বিগত ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচন ও বিভিন্ন স্তরের স্থানীয় নির্বাচনে ইতঃপূর্বে বারবার প্রমাণিত হয়েছে। সর্বশেষ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে তা আবার প্রমাণিত হলো। এর আগে ঢাকা আইনজীবী সমিতি নির্বাচনেও একই ধরনের প্রহসনের নির্বাচন করা হয়েছে। আমাদের প্রত্যাশা ছিল, দেশের সাধারণ মানুষের শেষ আশা ভরসাস্থল বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীদের সমিতিতে তারা নগ্ন হস্তক্ষেপ থেকে বিরত থাকবে। কিন্তু নির্বাচনের নামে সেখানে প্রহসন করা হলো। সভাপতি ও সম্পাদক পদপ্রার্থী একাধিকবার প্রধান বিচারপতি, আপিল বিভাগের বিচারপতিদের সাথে সাক্ষাৎ করে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন ও পুলিশি তাণ্ডবের প্রতিকার প্রার্থনা করেন। এরপরও একটি সুষ্ঠু নির্বাচন ও পুলিশি তাণ্ডবের দৃশ্যমান কোনো প্রতিকার হয়নি। আমাদের দুঃখ, আইনজীবীদের একটি সমিতির নির্বাচনেও পুলিশকে ব্যবহার করে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীদের বিজয়ী ঘোষণা করতে হয়! এটা জাতির জন্য বড় লজ্জার বিষয়।


আরো সংবাদ



premium cement