১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, ০৫ জিলকদ ১৪৪৫
`


তিন পার্বত্য জেলায় করোনা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম শুরু

-

আন্তর্জাতিক রেডক্রস কমিটি (আইসিআরসি) ও বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি (বিডিআরসিএস) পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলা খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও রাঙ্গামাটির সদর হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে তিন মাসব্যাপী করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম শুরু করেছে।
গতকাল আইসিআরসির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত আইসিআরসি এবং বিডিআরসিএস তিন পার্বত্য জেলার সব স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ (আইপিসি) কর্মসূচির প্রথম ধাপ বাস্তবায়িত হয়েছে। এর ফলে সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসা ১৬ লাখ মানুষ উপকৃত হয়েছেন। করোনা মহামারীর সময়ে পার্বত্য জেলাগুলোর তিনটি সদর হাসপাতাল এবং ২২টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেবা নিতে আসা রোগীরা এ প্রকল্প থেকে উপকৃত হবেন।
করোনা মহামারীর সময়ে আইপিসি প্রকল্পের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করে আইসিআরসি বাংলাদেশের ওয়াটার অ্যান্ড হ্যাবিট্যাট ডেলেগেট মাসিমো রুশো বলেন, আইপিসি কর্মসূচির এই ধাপে গত বছরের কার্যক্রমের অভিজ্ঞতা বিবেচনায় রেখে যেন আরো কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে, সে বিষয়ে জোর দেয়া হয়েছে। আমরা সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির আওতায় পুরো পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলজুড়ে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউরের (এসওপি) ওপর ভিত্তি করে প্রশিক্ষণ, জীবাণুনাশক সরঞ্জাম এবং প্রধান স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে কারিগরি সহায়তা দিচ্ছি। এর লক্ষ্য হচ্ছে, সরকার, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় নেতাদের সাথে মিলে সব জনগোষ্ঠীকে সাহায্য করা, যেন তারা করোনা মহামারীর কারণে সৃষ্ট পরিবর্তিত পরিস্থিতির সাথে খাপ খাওয়াতে পারেন।
আইপিসি কর্মসূচির আওতায় ৩১টি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের ১৬০ জন ক্লিনারকে সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। কর্মসূচিতে অনুদানের অংশ হিসেবে ক্লোরিন, গ্লোভস, ফেস শিল্ড, সুরক্ষা পোশাক, গাম বুট এবং মাস্ক স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। মহামারীর এ সময়ে সামাজিক সংক্রমণ (কমিউনিটি ট্রান্সমিশন) এড়াতে পার্বত্য চট্টগ্রামের এক হাজার ২০০ পরিবারের মধ্যে পরিচ্ছন্নতাসামগ্রী বিতরণ করা হবে।
এ ব্যাপারে বিডিআরসিএসের কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট পরিচালক বেলাল হোসেন বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের এই প্রকল্পে ক্লিনাররা শুধু জ্ঞান অর্জনই করছেন না, এর মাধ্যমে সংক্রমণ ও নতুন পরিস্থিতির সাথে তাল মিলিয়ে চলার মতো আত্মবিশ্বাসও তারা পাচ্ছেন। এই ধাপেও চলমান করোনা মহামারীতে মাস্কের উপযুক্ত ব্যবহার ও শারীরিক দূরত্বের ওপর গুরুত্ব দেয়া হবে।
পার্বত্য চট্টগ্রামজুড়ে সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পটি সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত চলবে।

 


আরো সংবাদ



premium cement