০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`


ইন্ডিয়ান ভ্যারিয়েন্ট খুবই অ্যাগ্রেসিভ তবে বেশি ছড়ায়নি : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

পাঁচ-ছয় মাসের আগে টিকা উৎপাদন সম্ভব নয়
-

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট খুবই অ্যাগ্রেসিভ। আমরা শুনেছি ও দেখেছি। আমাদের দেশেও কিছু পাওয়া গেছে। এগুলো আমরা ট্রেস করেছি। ট্রেসিংয়ের মাধ্যমে দেখেছি খুব বেশি ছড়ায়নি। সরকার সঠিক সময়ে বর্ডার সিল করে দেয়ায় দেশ এখনো কিছুটা হলেও নিরাপদে আছে।’ গতকাল সোমবার দুপুরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘করোনার সংক্রমণ আগের তুলনায় কমেছে। সরকার দূরপাল্লার বাস, ট্রেন ও লঞ্চ বন্ধ রেখেছে। এসব যানবাহন চলাচল আরো কিছুদিন বন্ধ থাকার প্রয়োজন রয়েছে।’
জাহিদ মালেক বলেন, ‘বর্ডার এখনো বন্ধ আছে। আগামীতেও বন্ধ থাকবে। যতদিন পর্যন্ত ভারতের অবস্থা মোটামুটি স্বাভাবিক না হয় তত দিন খেয়াল রাখতে হবে। এ নিয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সব পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সবাই কাজ করছেন।’ তিনি বলেন, ‘করোনার টিকা সংগ্রহে রাশিয়া, ইউকে, চীন ও আমেরিকার সাথে কথা বলেছি। ফাইনাল কিছু হলে গণমাধ্যমে তা জানানো হবে। টিকার দ্বিতীয় ডোজের ঘাটতি রয়েছে। ঘাটতি টিকা সংগ্রহের প্রচেষ্টা চলছে। সাধারণ মানুষের মতো আমরাও এ নিয়ে চিন্তিত।’ ঈদের সময় সারা দেশে রোগীদের সেবা দিতে হাসপাতালে চিকিৎসক-নার্সসহ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা যারা কাজ করেছেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী তাদের অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানান।
২৫ মে থেকে চীনের টিকার প্রথম ডোজ শুরু : স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘চীনের যে ভ্যাকসিন এসেছে সেটির প্রথম ডোজ আগামী ২৫ মে থেকে দেয়া শুরু হবে। এ ছাড়া আমরা রাশিয়া, চীন, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের সাথে কথা বলেছি ভ্যাকসিনের জন্য। ফাইনাল কিছু হলে জানতে পারবেন। দ্বিতীয় ডোজের জন্য ভারত, যুক্তরাজ্যের সাথে কথা বলছি। প্রধানমন্ত্রী নিজেও চেষ্টা করেছেন। ভারতের কাছে অর্ডার আছে তিন কোটি, পেয়েছি ৭০ লাখ। দ্বিতীয় ডোজ নিয়ে আমরা চিন্তিত।’
তিনি বলেন, ‘যেকোনো ভ্যাকসিন তৈরি করতে হলে ওষুধ প্রশাসনের কাছে আবেদন করতে হয়। তারা আবেদন করে যাচাই-বাছাই করে। আমাদের সিদ্ধান্ত ক্রয়ও করব, প্রয়োজনে উৎপাদন করব। যাদের উৎপাদনের সক্ষমতা আছে তাদের এগিয়ে আসতে হবে। প্রথমে তাদের আবেদন দেখতে হবে। তারপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। সেরকম কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর সাথে আলাপ করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমাদের কাছে প্রতিবেদন এলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। টিকা ক্রয় করার চেষ্টা থাকবে, তাহলে তাড়াতাড়ি হবে। টিকা তৈরি করলে দীর্ঘসময় লাগবে। উৎপাদন করলেও পাঁচ-ছয় মাসের আগে করা সম্ভব নয়।’
সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব লোকমান হোসেন মিয়া ও স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো: আলী নূর উপস্থিত ছিলেন।


আরো সংবাদ



premium cement