২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`
সংবাদ সম্মেলনে ডা: শাহাদাত

সন্ত্রাসী ও অতিউৎসাহী পুলিশ কর্মকর্তারা নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করছে

বিএনপি মেয়রপ্রার্থী ডা: শাহাদাতের গণসংযোগ : নয়া দিগন্ত -

নির্বাচনের আগে কিছু অতিউৎসাহী পুলিশ কর্মকর্তা নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করছে অভিযোগ করে বিএনপির মেয়রপ্রার্থী ডা: শাহাদাত হোসেন বলেছেন, মাস্তান, সন্ত্রাসী, ইয়াবা ব্যবসায়ী আর পুলিশের কিছু কর্মকর্তা পরিকল্পিতভাবে হামলা-মামলা, গ্রেফতার চালিয়ে যাচ্ছে। নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে বিএনপির ৬৯ জন নেতাকর্মীকে তুলে নিয়ে গেছে। এ ছাড়া বাসায় বাসায় তল্লাশি এবং ধরপাকড় অব্যাহত আছে।
চসিক নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরে গতকাল সোমবার সকালে দলীয় কার্যালয় নাসিমন ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন। ডা: শাহাদাত বলেন, রোববার রাত পর্যন্ত আমাদের ৪৯ নেতাকর্মীকে তুলে নিয়ে গেছে। আজ আমার কাছে আরো ২০ জনের লিস্ট আছে, যাদের আটক করা হয়েছে। আমাদের নেতাকর্মীদের নামে এখন পর্যন্ত বিভিন্ন থানায় ১০টি মামলা হয়েছে। গত ১৯ তারিখ থেকে এই মামলা ও গ্রেফতার শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত এক হাজার জনকে মামলার আসামি করা হয়েছে। পুলিশের হয়রানি থেকে মহিলা ও শিশুরা পর্যন্ত বাদ যাচ্ছে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, রোববার রাতে বাকলিয়া থানায় মহিলাদল নেত্রী মুন্নি ও তার ১২ বছরের সন্তানকে ধরে নিয়ে গেছে। নাগরিক ঐক্য পরিষদের বীর মুক্তিযোদ্ধা একরামুল করিম ও তার ছেলেকে রোববার রাত সাড়ে ১২টায় বাসা থেকে ধরে নিয়ে যায় চকবাজার থানা পুলিশ। রাত দেড়টায় তাদের থানা থেকে মুক্ত করেছি।
নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে বিএনপির প্রার্থী বলেন, এখন ভোটের কালচার নষ্ট হয়ে গিয়েছে। মানুষের আর ভোটের ওপর আস্থা নেই, যার পরিপ্রেক্ষিতে গত মার্চ থেকে আমরা দ্বারে দ্বারে গিয়েছি। নির্বাচনবিমুখ মানুষকে আবার ভোট কেন্দ্রে আনার চেষ্টা করেছি। গত ১০ মাস করোনার সময়েও মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে নগরবাসীকে উদ্বুদ্ধ করেছি কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেয়ার জন্য। অথচ নির্বাচনের ঠিক দুই দিন আগে মাস্তান, চাঁদাবাজ, ইয়াবা কারবারি দিয়ে নির্বাচনের পরিবেশ ঘোলাটে করার পাঁয়তারা চলছে। কিছু অতিউৎসাহী পুলিশের দ্বারা শান্ত পরিবেশকে অশান্ত করা হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে ব্যালট প্যানেলের সুরক্ষা চেয়ে ডা: শাহাদাত হোসেন বলেন, আপনারা ইতঃপূর্বে দেখেছেন যে, ইভিএমে ভোট হলে একটি দলের সন্ত্রাসী, মাস্তানরা ইভিএমের পাশে থেকে গার্ড দেয়। তাদের ইচ্ছামতো ভোট দিতে বলে। এজেন্ট বের করে দেয়। আমরা এর আগে নির্বাচন কমিশনের কাছে গিয়েছিলাম। সেখানে আমরা ৯ দফা দাবি দিয়েছি। তাতে আমরা সুস্পষ্ট বলেছি যে, যেহেতু এজেন্টরা নির্বাচনের অংশ, তাই ভোটের দিন তাদের যেন সুরক্ষা দেয়া হয়। সংবাদ সম্মেলন শেষে তিনি গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মীদের তালিকা নিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে যান।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেনÑ কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, নগর বিএনপির সদস্যসচিব আবুল হাশেম বক্কর, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, নাগরিক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক একরামুল করিম, বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য মীর মো: হেলাল উদ্দিন, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ আজিজ, চাকসু ভিপি নাজিম, এস এম সাইফুল, কাজী বেলাল উদ্দিন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আব্দুল মান্নান, ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন, সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি, এম এ হাসেম রাজু, গাজী সিরাজ উল্লাহ, কামরুল ইসলাম প্রমুখ।


আরো সংবাদ



premium cement