০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`


বিএনপিই এখন হোম আইসোলেশনে : তথ্যমন্ত্রী

-

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, পুরো বিএনপিই এখন হোম আইসোলেশনে।
তিনি বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিজে এবং তার নেতৃত্বে দলের নেতৃবৃন্দসহ পুরো বিএনপিই এখন হোম আইসোলেশনে। হঠাৎ হঠাৎ টেলিভিশনে উঁকি দিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলা ছাড়া বিএনপির আর কোনো কাজ নেই।’
তথ্যমন্ত্রী গতকাল সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ‘করোনা মোকাবেলা করা এমন কঠিন কিছু ছিল না’Ñএ মন্তব্য সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, মির্জা ফখরুল সাহেবের বক্তব্যে মনে হয় সারা দুনিয়ায় সবদেশের ক্ষেত্রেই করোনা মোকাবেলা এমন কঠিন কিছু ছিল না, অথচ উন্নত দেশগুলোসহ পৃথিবীতে লাখ লাখ মানুষ করোনায় মৃত্যুবরণ করেছে। যারা জনগণের পাশে নেই, জনগণের জন্য কিছু করছেন না, হঠাৎ হঠাৎ টেলিভিশনে উঁকি দিয়ে এ ধরনের কথা বলা তাদেরই মানায়। দায়িত্বপূর্ণ জায়গা থেকে এ ধরনের কথা বলা সমীচীন নয়।
ড. হাছান বলেন, সমগ্র পৃথিবী আজ করোনাভাইরাসের কারণে অসহায় এবং পৃথিবীর উন্নত দেশগুলো অর্থনৈতিকভাবে বাংলাদেশের তুলনায় অনেক সমৃদ্ধ হলেও করোনা মোকাবেলায় তাদের অসহায়ত্ব প্রকাশ পেয়েছে, সেখানে মৃত্যুর মিছিল ছিল।
তিনি বলেন, সেই তুলনায় বাংলাদেশ সীমিত সামর্থ্যরে একটি উন্নয়নশীল দেশ। এখানকার শহরগুলো পৃথিবীর সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ। তা সত্ত্বেও এখনো পর্যন্ত সরকার এবং বেসরকারি পর্যায়ের সমস্ত হাসপাতাল ও স্বেচ্ছাসেবীসহ সবাই সম্মিলিতভাবে করোনা মোকাবেলার ক্ষেত্রে আমরা অনেক উন্নত দেশের তুলনায় সাফল্য দেখাতে সক্ষম হয়েছি।
আমাদের দেশে মৃত্যুর হার ভারত-পাকিস্তানের চেয়েও কম এবং ইউরোপ-আমেরিকার চেয়ে অনেক কমতো বটেই।
বিএনপি নেতা রুহুল কবীর রিজভীর মন্তব্য ‘মানুষের মুখ বন্ধ রাখতে সরকার মামলা করছে’Ñএর জবাবে ড. হাছান বলেন, ‘সরকার কারো বিরুদ্ধে মামলা করেনি। সাম্প্রতিক সময়ে যে সমস্ত মামলা হয়েছে, সবগুলোই বিভিন্ন সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি করেছেন। বিএনপির নেতারা জনগণ এবং সরকার দু’টিই গুলিয়ে ফেলছেন। জনগণের কেউ যদি সংক্ষুব্ধ হন, দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী তিনি তার সুরক্ষার জন্য যেকোনো আইনি পদক্ষেপ নেয়ার অধিকার রাখেন।
এ সময় রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান শাহেদের বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং গণমাধ্যমকে তাদের ভূমিকার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, সরকারই কিন্তু তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এরপর তার ব্যাপারে পত্র-পত্রিকায় যে অনুসন্ধানী রিপোর্টগুলো বেরিয়েছে সেজন্য গণমাধ্যমকে ধন্যবাদ। এতে প্রমাণিত হয়, সে খুব সুচতুর একজন প্রতারক। এ রকম আরো প্রতারক যারা আছে, আমাদের সম্মিলিতভাবে তাদের খুঁজে বের করা প্রয়োজন।
শাহেদ আওয়ামী লীগের সদস্য কি না এ প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সে দাবি করছে, সে আওয়ামী লীগের কোনো একটা উপকমিটিতে ছিল। কিন্তু আমাদের দলীয় কার্যালয়ে তো আমি প্রতিদিন যাই। সে আওয়ামী লীগের কোনো উপকমিটির সদস্য ছিল বলে আমার জানা নেই।


আরো সংবাদ



premium cement