আলোচিত পকেটমার ইসহাককে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরণ

খুলনার পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনি বদ্ধভূমিতে (স্মৃতি সৌধ) সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, স্থানীয় সংসদ সদস্য আক্তারুজ্জামান বাবুসহ প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে ম্যারাথন পকেটমারির ঘটনায় আটক ইসহাক সরদারকে (৫৬) ৭ দিনের রিমান্ড আবেদনসহ শুক্রবার উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়েছে।

থানা পুলিশ জানায়, পকেটমারির ঘটনার ছবি বিভিন্ন গণমাধ্যমসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে খুলনার রুপসা এলাকাবাসী ছবিতে রুপসার নৈহাটি গ্রামের মৃত জজ আলীর ছেলে ইসহাক সরদারকে শনাক্ত করে। এরপর তারা তাকে ধরে রুপসা থানা পুলিশে সোপর্দ করে। এরপর রুপসা থানা পুলিশ পাইকগাছা থানা পুলিশকে খবর দিলে থানা পুলিশ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাকে সেখান থেকে নিজ হেফাজতে নেয়।

পাইকগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জিয়াউর রহমান জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক ইসহাক পকেটমারির কথা স্বীকার করে তার সাথে আরো ৪ জনের জড়িত থাকার কথা জানায়।

পাইকগাছা থানার ওসি (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম জানান, ধৃত পকেটমার ইসহাক তার সাথে আরো ৪ জন জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে, তারা হলেন ইসরাইল, বিল্লাল ও বাদল। পুলিশ তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে নাম ঠিকানা যাচাইয়ের জন্য তদন্ত শুরু করেছে।

এ ঘটনায় পকেটমারির শিকার কপিলমুনির সাংবাদিক তপন পাল পাইকগাছা থানায় একটি নিয়মিত মামলা করেছেন। এছাড়া তাকে আরো বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানা পুলিশ ৭ দিনের রিমান্ড আবেদনসহ শুক্রবার পাইকগাছা উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রেরণ করেছে।

উল্লেখ্য, গত ২ আগস্ট বিশ্ববরেণ্য বিজ্ঞানী আচার্য্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায় (পিসি রায়ের) ১৬১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তার গ্রামের বাড়ি রাড়ুলীতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যাওয়ার পথে কপিলমুনি স্মৃতিসৌধ পরিদর্শনে যান সরকারের সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।

এ সময় স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ আক্তারুজ্জামান বাবুসহ সরকার দলীয় স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় অতিরিক্ত ভিড়ের মধ্যে ম্যারাথন স্টাইলে ভিআইপিদের পকেটমারির ঘটনা ঘটে। যার একটি ঘটনা সংবাদকর্মীদের ধারণকৃত ক্যামেরায় ধরা পড়লে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে ভাইরাল হয়।

এক পর্যায়ে পুলিশ তাকে শনাক্ত ও আটক করতে মরিয়া হয়ে ওঠে। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার জনতার সহায়তায় পুলিশ পকেটমার ইসহাককে আটক করতে সমর্থ হয়।