২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

করোনায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও বেতন-ফি আদায়ে শিক্ষার্থীদের ওপর চাপ

- প্রতীকী ছবি

করোনার কারণে সরকারি নির্দেশে দেশের সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও শিক্ষার্থীদের কাছে বেতন ও ফি এককালিন পরিশোধের জন্য চাপ প্রয়োগ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নগরীর ফুলবাড়ীগেট মমতা নার্সিং কলেজের এক শিক্ষর্থী বলেন, করোনার কারণে আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে। অথচ হঠাৎ করে আমার বাবার ফোনে ম্যাসেজ ও একটি নোটিশ প্রদান করে মমতা নার্সিং কলেজ থেকে। সেখানে উল্লেখ করে যে, আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বকেয়া বেতন পরীক্ষার ফি এবং নিবন্ধন ফি জমা দিতে হবে। লকডাউন থাকায় আমার পিতার আর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ।

নগরীর বয়রা খানজাহান আলী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মহাবিদ্যালয়ের সিভিল ডিপ্লোমা বিভাগের শিক্ষার্থী সৈয়দ রাসেল বলেন, আমাদেরও কলেজ থেকে বেশ কয়েকটি ম্যাসেজ দেয়া হয়েছে। বেতন ও সেমিস্টার ফি বাবদ ২৫ হাজার টাকা বকেয়া আছে এবং দ্রুত এই টাকা পরিশোধ করতে হবে। এই বকেয়া টাকা পরিশোধ না করতে পারলে অনলাইন ক্লাস থেকে আমাকে অনিয়মিত করা হবে। তাছাড়া করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব হওয়ার পর থেকে দেশে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার তিন মাস পর থেকে অনলাইনে ক্লাস নেয়া শুরু করে নগরীর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। অথচ এখন বেতন ফিসহ প্রতিষ্ঠানের অন্যান ফি আদায়ের জন্য চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে।

খুলনা ম্যানগ্রোভ ইনস্টিটিউট অ্যান্ড সায়েন্স টেকনলজি কলেজের পরিচালক বদিউজ্জামান (বদি) জানান, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বেতন ফি বা সেমিস্টার ফি আদায়ের জন্য এখনও পর্যন্ত সরকারিভাবে কোনো নির্দেশনা দেয়া হয়নি। তাছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো চলতি বছর নভেম্বর পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। তাই পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত বেতন ফি আদায়ের জন্য কোনো শিক্ষার্থীকে চাপ দেয়া যাবে না। তারপরও যদি কোনো শিক্ষার্থীর অভিভাবক নিজ ইচ্ছায় বেতন পরিশোধ করেন সে বিষয়টি ভিন্ন।

খুলনা মমতা নার্সিং কলেজের পরিচালক অ্যাডভোকেট রকিবুল ইসলাম বলেন, ‘আমার কলেজে থেকে সব শিক্ষার্থীর কাছে এবং সংশ্লিষ্ট অভিভাবকদের কাছে বেতন ফি পরিশোধের জন্য একটি জরুরি নোটিশ দেয়া হয়েছে। তাছাড়া আমাদের প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের বেতন পরিশোধ করতে হচ্ছে, যে কারণে অভিভাবকদের বেতন ফি পরিশোধ করতে বলা হচ্ছে। সরকার থেকে কোনো নির্দেশনা আসেনি যে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বেতন নেয়া যাবে না। তাছাড়া অতিরিক্ত যে ৪৫০০ টাকার কথা উল্লেখ আছে সেই টাকা রাজশাহী মেডিকেল কলেজের নিবন্ধন ফি বাবদ চাওয়া হয়েছে।’

খালিশপুর নয়াবাটি হাজী শরিয়তউল্লাহ বিদ্যাপিঠ স্কুলের ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থী সোমা আক্তারের মা বলেন, ‘করোনার পর থেকে আমার স্বামীর কাজ বন্ধ। এখন ভ্যানে করে কলা বিক্রি করে কোনোরকম সংসার চলছে। এরই মধ্যে স্কুল থেকে বেতন ফি বাবদ আঠারশ টাকা জমা দিতে বলা হয়েছে। অথচ কোনো ক্লাস হয়নি। আমার মতো গরীব মানুষের পক্ষে এই টাকা এককালিন পরিশোধ করতে ধার দেনা করতে হয়েছে।’

খুলনা জেলা প্রশাসক মো. হেলাল হোসেন বলেন, ‘আমি এই বিষয়ে কিছু জানি না। বিষয়টি দেখছি।’ ইউএনবি


আরো সংবাদ



premium cement
মিয়ানমারের জাতীয় গ্রন্থাগারে বাংলাদেশ দূতাবাসের বই অনুদান ক্ষমতায় যেতে বিএনপি বিদেশী প্রভুদের দাসত্ব করছে : কাদের ক্যান্সারে আক্রান্ত শিশু সুলতান মাহমুদকে বাঁচাতে সাহায্যের আবেদন গাজার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে ইসরাইলি হামলায় নিহত ১৫ মুজিবনগরে ২ চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ, আহত ১৩ বাগেরহাটের রামপালে ট্রাকের চাপায় নিহত ৩ ফিলিস্তিনের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের যেসব বিশ্ববিদ্যালয় বিক্ষোভে উত্তাল পূর্ব আফ্রিকায় প্রবল বৃষ্টি ও বন্যা, কমপক্ষে ১৫৫ জনের প্রাণহানি সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে প্রশ্নবিদ্ধ তথ্য প্রচারের নিন্দা ডিআরইউর ভয়াবহ দুর্ঘটনা, অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন উগ্র ইসরাইলি মন্ত্রী শেরে বাংলার সমাধিতে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন

সকল