০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫
`


মাদরাসা অধ্যক্ষকে নির্যাতন : বিচার চেয়ে স্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন

মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল গফুরকে নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্তদের বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন স্ত্রী ফাতেমা খাতুন - নয়া দিগন্ত

কেশবপুরের ত্রিমোহিনী দারুল ইসলাম ফাযিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল গফুরকে (৫৫) মধ্যযুগীয় কায়দায় প্রকাশ্য দিবালোকে সম্পূর্ণ দিগম্বর করে ও রশি দিয়ে বেঁধে নির্যাতন ও মারপিট করে আহত করার ঘটনায় বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন নির্যাতিতের স্ত্রী ফাতেমা খাতুন। গত শনিবার (১৬ মার্চ) কেশবপুর প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি। ত্রিমোহিনী ইউপি চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা আনিছুর রহমানের নেতৃত্বে মাদরাসা অধ্যক্ষের ওপর এই বর্বর নির্যাতন চালানো হয় বলে এ সময় অভিযোগ করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে নির্যাতনের শিকার মাওলানা আব্দুল গফুরের স্ত্রী ফাতেমা খাতুন অভিযোগ করেন, মাদরাসায় শিক্ষক নিয়োগের যথাযথ প্রক্রিয়া সম্পন্ন শেষে গত ১৯/০১/১৭ তারিখে নিয়োগকৃত শিক্ষকরা যোগদান করেন। ওই নিয়োগের ঘটনায় অভিযুক্ত চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান সাত লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছেন। ওই টাকা না দেয়ায় ইউপি চেয়ারম্যান ও তার বাহিনী কেশবপুরের ত্রিমোহিনী দারুল ইসলাম ফাযিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল গফুরকে মধ্যযুগীয় কায়দায় বর্বর নির্যাতন করে।

তিনি আরো বলেন, এ ঘটনায় কেশবপুর থানায় ওই ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৪ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়। মামলার এক আসামী ত্রিমোহিনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কেরানী সামছুর রহমানকে (৪০) পুলিশ আটক করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, মাদরাসায় শিক্ষক নিয়োগের পর থেকে ত্রিমোহিনী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান, সিরাজুল ইসলাম, মুজিবুর রহমান, সামছুর রহমান, মেম্বার আবুল কাশেম মোড়লগং বিভিন্ন সময়ে নিয়োগের কারণে ৭ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল। ওই টাকা না দেয়ার কারণে গত ২৪/০২/১৯ তারিখে অধ্যক্ষকে ইউপি চেয়ারম্যান লাঞ্ছিত করাসহ নিয়োগকৃত শিক্ষক ও প্রতিষ্ঠানের সভাপতি আব্দুল কাদির বিশ্বাসকে মারপিট করে।

এ ঘটনার পর থেকে অধ্যক্ষ ওই চেয়ারম্যানের ভয়ে পালিয়ে পালিয়ে মাদরাসায় যাতায়াত করে আসছিলেন। গত ১২/০৩/১৯ তারিখ সকাল ৯ টার দিকে মাদরাসায় যাওয়ার পথে মির্জানগর হাম্মামখানার সামনে পৌঁছালে অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল গফুরকে রাস্তার ওপর থেকে ধরে নিয়ে এলাকার তজিবর রহমানের বাড়ির রান্না ঘরের মধ্যে আটকিয়ে রেখে ও হাত-পা দঁড়ি দিয়ে ও গামছা দিয়ে চোখ মুখ বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করে।

এরপর গুরুতর আহতাবস্থায় অধ্যক্ষকে ফেলে রেখে চেয়ারম্যানসহ সকলে চলে যায়। এরপর আহত অধ্যক্ষকে এলাকাবাসীর সহায়তায় কেশবপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় ১৪ মার্চ থানায় আসামীদের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করা হয়। যার নম্বর- ১৩।

এদিকে এ হামলা ও চাঁদা দাবির মামলা ভিন্নখাতে নেয়ার জন্য ওই চেয়ারম্যান নানা ভাবে ষড়যন্ত্র করে চলেছে। তাছাড়া অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যানের নামে মামলা হলেও তিনি আটক হননি। যে কারণে ওই চেয়ারম্যান বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিয়ে চলেছেন বলেও সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন নির্যাতনের শিকার অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল গফুরের স্ত্রী ফাতেমা খাতুন।


আরো সংবাদ



premium cement
টাঙ্গাইলের আ.লীগের সাধারণ সম্পাদককে নাকে খত দিয়ে ক্ষমা চাইতে বললেন এমপি জয় সাঁথিয়ায় ইউপি চেয়ারম্যান মিরাজুল বিশ্বাস গ্রেফতার মিল্টন সমাদ্দার আটক ভূরুঙ্গামারীতে অটোরিকশার ধাক্কায় শিশু নিহত শ্রমিকের ন্যায্য দাবি মেনে নিতে হবে : অধ্যাপক হারুনুর রশিদ খান গাজায় যুদ্ধ বন্ধে রাজি হবো না : ব্লিনকেনকে নেতানিয়াহু আর ইশারা নয়, সরাসরি মুসলিমদের নিশানা করেই ভোট প্রচারে মোদি বিএনপির হাতে শ্রমিকের রক্তের দাগ : ওবায়দুল কাদের নিপীড়িতরাই বিজয়ী হ‌বে : রিজভী ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনপন্থীদের ওপর ইসরাইলি সমর্থকদের হামলা অবিলম্বে ১০ম ওয়েজবোর্ড গঠন করুন : বিএফইউজে ও ডিইউজে নেতারা

সকল