০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`


দ্রুত গলতে থাকা অ্যান্টার্কটিকা পরিদর্শন করলেন জাতিসঙ্ঘ প্রধান

জাতিসঙ্ঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস - সংগৃহীত

কপ-২৮ জলবায়ু আলোচনার আগে জাতিসঙ্ঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস দ্রুত গলতে থাকা অ্যান্টার্কটিকা পরিদর্শন করেছেন। তিনি বলেন, সম্মেলনে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া উচিত। সম্মেলনে দেশগুলো পৃথিবীর উষ্ণতা বৃদ্ধিকারী গ্যাসের নির্গমন হ্রাসের প্রতিশ্রুতি নিয়ে আলোচনা করবে।

গুতেরেস অ্যান্টার্কটিকায় তিন দিনের সরকারি সফরে ছিলেন। চিলির প্রেসিডেন্ট গ্যাব্রিয়েল বোরিক কিং জর্জ দ্বীপে চিলির এদুয়ার্দো ফ্রেই বিমান বাহিনী ঘাঁটিতে একটি সরকারি সফরের জন্য তার সাথে যোগ দেন।

গুতেরেসেরও নৌকায় করে কলিন্স এবং নেলসন হিমবাহ পরিদর্শনের কথা ছিল।

তিনি আগামী সপ্তাহে দুবাইতে শুরু হওয়া জাতিসঙ্ঘের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সম্মেলনকে দেশগুলোর জন্য ‘পর্যাপ্ত সময়সীমার মধ্যে জীবাশ্ম জ্বালানির বিষয়ে পর্যায়ক্রমে সিদ্ধান্ত নেয়ার’ একটি সুযোগ হিসেবে অভিহিত করেছেন যাতে করে বৈশ্বিক উষ্ণতার বৃদ্ধি প্রাক-শিল্প তাপমাত্রা থেকে ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের (২ দশমিক ৭ ডিগ্রি ফারেনহাইট) বেশি না হয়।

উষ্ণ বায়ু এবং সমুদ্রের তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে অ্যান্টার্কটিকার বরফ গলে যাচ্ছে। হিমায়িত মহাদেশটি পৃথিবীর জলবায়ু নিয়ন্ত্রণে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কারণ এটি সূর্যালোককে দূরে প্রতিফলিত করে এবং প্রধান সমুদ্র স্রোতগুলো চালিত করে।

বছরের পর বছর ধরে বিজ্ঞানী এবং পরিবেশবিদরা বিশ্ব উষ্ণায়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক হিসেবে পশ্চিম অ্যান্টার্কটিকের বরফের ওপর নজর রেখেছেন।

গত মাসে নেচার ক্লাইমেট চেঞ্জে প্রকাশিত এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, উষ্ণতা এমনভাবে বেড়েছে যে- কার্বন-ডাই-অক্সাইডের মতো পৃথিবীর উষ্ণতা বৃদ্ধিকারী গ্যাসের নিঃসরণ যতই কমানো হোক না কেন, বরফের গলন এখন ‘অনিবার্য’।

গত মাসে সায়েন্স অ্যাডভান্সেস-এ প্রকাশিত আরেকটি গবেষণায় বলা হয়েছে, ১৯৯৭ সাল থেকে প্রায় অ্যান্টার্কটিক বরফের প্রায় ৫০টি শেলফ কমপক্ষে ৩০ শতাংশ সংকুচিত হয়েছে। এর মধ্যে ২৮টি সেই অল্প সময়ের মধ্যে অর্ধেকের বেশি বরফ গলে গেছে।
সূত্র : ভয়েস অফ আমেরিকা


আরো সংবাদ



premium cement