১৬ মে ২০২৪, ০২ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৭ জিলকদ ১৪৪৫
`


জিভ দেখে যায় রোগ চেনা!

জিভ দেখে যায় রোগ চেনা! - ছবি : সংগৃহীত

জ্বর হোক কিংবা পেটের যন্ত্রণা- চিকিৎসকেদের কাছে গেলেই তারা সবার আগে রোগীর জিভ দেখতে চান। কেন বলুন তো? কারণ আর কিছুই নয়, খাবার ভালো না মন্দ বুঝতে যেমন জিভের উপরেই ভরসা রাখতে হয়, তেমনই শরীর হাল বুঝতেও কাজে আসে এই অঙ্গ।
জিভের স্বাভাবিক লাল রঙের আভা বদলে গেলে তা বিভিন্ন সমস্যার লক্ষণ হতে পারে। অনেক সময়ে জিভের ওপর সাদাটে আস্তরণ পড়তে দেখা যায়। কেন হয় এমন? চিকিৎসকদের মতে মুখের স্বাস্থ্যের সঠিক খেয়াল না রাখলে জিভের ওপর সাদা আস্তরণ পড়ে। ব্যাক্টেরিয়া ও ছত্রাকের আক্রমণে এমনটা হতে পারে। শরীরে জলের ঘাটতি হলেও জিভ সাদা হয়ে যায়। নিয়মিত মদ্যপান, ধূমপান করলেও কিন্তু জিভের উপর সাদা স্তর পড়ে। এ ছাড়া কিছু রোগের ক্ষেত্রেও জিভে দেখেই যাচাই করেন চিকিৎসকেরা। জেনে নিন কখন সাবধান হবেন।

১) লিউকোপ্লাকিয়ার কারণে এমনটা হতে পারে। নাম খটমট হলেও সমস্যাটি সাধারণত খুব একটা উদ্বেগের নয়। জিভ বা মুখগহ্বরের ওপরের ত্বকের কোষের অত্যধিক বৃদ্ধির কারণে এই সমস্যা দেখা দেয়। এই কোষগুলো কেরাটিন নামের একটি প্রোটিনের সাথে মিশে জিভে একটি সাদা আস্তরণ তৈরি করে। সাধারণত নিজে থেকে সেরে গেলেও কখনো কখনো লিউকোপ্লাকিয়া থেকে মুখের ক্যানসারের আশঙ্কা থাকে। তাই সময় থাকতে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়াই ভালো।

২) মুখের ভেতরেই ‘ক্যান্ডিডা ইস্ট’ নামের এক প্রকার ছত্রাক থাকে। এ ছত্রাকটি মাত্রাতিরিক্ত বেড়ে গেলেও জিভে সাদাটে আস্তরণ তৈরি হতে পারে। বিজ্ঞানের ভাষায় একেই বলে ওরাল থ্রাশ। সাধারণত এটি গুরুতর সমস্যা না হলেও ওরাল থ্রাশ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে। তাই এই সমস্যার আড়ালে লুকিয়ে থাকতে পারে কোনো গভীর সমস্যাও।

৩) সিফিলিস একটি যৌন রোগ। জিভে সাদা রঙের আস্তরণ এই রোগের অন্যতম লক্ষণ। সাধারণত অসুরক্ষিত যৌন মিলনের মধ্য দিয়ে এই রোগের ব্যাক্টেরিয়া ছড়িয়ে পড়ে সুস্থ ব্যক্তির দেহে। সময়মতো চিকিৎসা না হলে এই রোগ মারাত্মক হয়ে উঠতে পারে। তাই জিভে এই ধরনের কোনো সমস্যা দেখা দিলে দেরি না করে যেতে হবে চিকিৎসকের কাছে।

৪) জিভের রং হঠাৎ নীলচে বা বেগুনি হয়ে গেলে বুঝতে হবে শরীরে অক্সিজেনের অভাব হচ্ছে। এ ছাড়া, শ্বাসযন্ত্র কিংবা কার্ডিয়োভাসকুলার কোনো সমস্যা থাকলেও জিভের রং নীল হয়ে যেতে পারে।

৫) জিভের রং একেবারে ফ্যাকাশে হয়ে গেলে তা রক্তে আয়রনের অভাবকেই ইঙ্গিত করে। আবার জিভের ওপর লাল এবং সাদা চাকা চাকা দাগ অটোইমিউন রোগের ইঙ্গিতও বহন করে।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা


আরো সংবাদ



premium cement
হোসেনপুরে তীব্র গরমে শ্রেণিকক্ষে অসুস্থ হয়ে পড়ে ৩০ শিক্ষার্থী উন্নত বিশ্বকে কার্বন নিঃসরণ কমানোর দিকে মনোযোগ দিতে পরিবেশমন্ত্রীর আহ্বান হজ কার্যক্রম সহজ করতে ১৬টি ভাষায় ১৫টি সচেতনতামূলক নির্দেশিকা  চীন সফর থেকে কী চান পুতিন? বগুড়ায় কোল্ড স্টোরে ৫ লাখ ডিম, জরিমানা আদায় টাচেলকে আগামী মৌসুমেও দলে রাখার চেষ্টা করবে বায়ার্ন চাহিদার চেয়ে ২৩ লাখ কোরবানির পশু বেশি আছে : মন্ত্রী আলো দূষণ কী এবং এর প্রভাবে কী কী ক্ষতি হয় পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জয়ের সুযোগ দেখছেন কারস্টেন নিউইয়র্কে নিলামে ক্লদ মনে পেইন্টিং ৩৫ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি পূর্বধলায় শিক্ষার্থীর লাশ বিল থেকে উদ্ধার

সকল