পূর্বধলায় শিক্ষার্থীর লাশ বিল থেকে উদ্ধার

নেত্রকোণার পূর্বধলায় নিখোঁজ স্কুলছাত্র আকিব হাসান মাহিনের (১৭) লাশ রাজধলা বিল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দুপুরে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল তার লাশ উদ্ধার করে।

সে উপজেলার রাজপাড়া গ্রামের ফারুক আহমেদের (কাশেম) ছেলে এবং পূর্বধলা জগৎমণি সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।

পরিবারের লোকজন জানায়, গত বুধবার বিকেল ৩টার দিকে আকিবকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় একই বিদ্যালয়ে পড়ুয়া দুই সহপাঠী। পরে দুই বন্ধু বাসায় ফিরলেও ফেরেনি আকিব হাসান। রাত ১০টা পর্যন্ত আকিব হাসান মাহিন বাসায় না ফেরায় তার আত্মীয় স্বজনরা রাতভর বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেন।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) ভোরে অনুমান সাড়ে ৫টায় আত্মীয়-স্বজন রাজধলা বিলের উত্তরপাড়ে আকিব হাসানের পরিহিত জামা ব্যবহৃত মোবাইল পড়ে আছে বলে খবর পায়। এতে স্থানীয় লোকজন এবং স্বজনরা ধারনা করেন তার লাশ রাজধলা বিলে থাকতে পারে। বিষয়টি পূর্বধলা থানা পুলিশকে অবহিত করলে তারা ঘটনা স্থলে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলকে খবর দেয়।

ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে এসে রাজধলা বিলের উত্তর পাড়ে পানির নিচ থেকে আকিবের লাশ উদ্ধার করে। পরিবারের লোকজনের দাবি আকিবকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে বিলের পানিতে ফেলে রাখা হয়েছে।

আকিবের মৃত্যু ও লাশ পানি থেকে উদ্ধারের খবরে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিলপাড়ে ছুটে আসে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাবুল চন্দ্র সরকার বলেন, আকিব হাসান মাহিন তার বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণিতে বিজ্ঞান বিভাগের একজন মেধাবী শিক্ষার্থী ছিল।

পূর্বধলা ফায়ার সার্ভিসের দায়িত্বরত সহকারী স্টেশন ইনচার্জ মো: এমদাদুল ইসলাম জানান, রাজধলা বিলের উত্তর পাশে মোবাইল ও শার্ট পাওয়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে সন্দেহ হলে ময়মনসিংহ ডুবুরি দলকে জানানো হয়। সকালে ঘটনাস্থলের ২০-২৫ ফুট দূরে পানির নিচ থেকে লাশ উদ্ধার করে পূর্বধলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: রাশেদুল ইসলামের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: খবিরুল আহসান। তিনি পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন এবং পরিবারের লোকজনের সাথে কথা বলেন।

পূর্বধলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: রাশেদুল ইসলাম জানান, স্কুলছাত্র আকিব হাসান মাহিনের লাশ রাজধলা বিল থেকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। লাশের সুরতহাল রিপোর্ট করে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ নেত্রকোনা মর্গে পাঠানো হয়েছে। এটি হত্যাকাণ্ড না অন্যকিছু তা তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে।