১৫ মে ২০২৪, ০১ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৬ জিলকদ ১৪৪৫
`


মুগদা মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হসপিটাল, ঢাকায় এ্যাপোলো হসপিটালস হায়দ্রাবাদ-এর বিজ্ঞান বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত

মুগদা মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হসপিটাল, ঢাকায় এ্যাপোলো হসপিটালস হায়দ্রাবাদ-এর বিজ্ঞান বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত - ছবি : সংগৃহীত

মুগদা মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হসপিটাল, ঢাকায় এ্যাপোলো হসপিটালস হায়দ্রাবাদ-এর বিজ্ঞান বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ঢাকায় অবস্থিত মুগদা মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হসপিটাল— একটি পাবলিক মেডিক্যাল স্কুল এবং ৫০০ শয্যার স্বাস্থ্যসেবাপ্রতিষ্ঠান। এ্যাপোলো হসপিটাল হায়দ্রাবাদ-এর একটি বিজ্ঞান বিষয়ক সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন ডা. রাজীব রেড্ডি (কনসালট্যান্ট অর্থোপেডিক অনকোসার্জন) এবং ডা. রুমা সিনহা (কনসালট্যান্ট গাইনোকোলজিস্ট, ল্যাপারোস্কোপিক এবং রোবোটিক সার্জন)। তারা অর্থোপেডিক অনকোলজি এবং ল্যাপারোস্কোপিক এবং রোবোটিক সার্জারির ক্ষেত্রে সাম্প্রতিক অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করেন।

ডা. রাজীব রেড্ডি তার বক্তব্য দেন, ‘একবিংশ শতাব্দীতে হাড়ের টিউমার হলেও অঙ্গ সংরক্ষণ’— বিষয়ের ওপর।

ডা. রুমা সিনহা কথা বলেন, ‘মিনিমাল অ্যাক্সেস সার্জারির মাধ্যমে নারীর ফার্টিলিটি বৃদ্ধি’— বিষয় নিয়ে। স্বাগত বক্তব্য রাখেন মুগদা মেডিক্যাল কলেজ, ঢাকা’র অর্থোপেডিক বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. এমডি আবুল হাসনাত, এবং গাইনি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. সাবিনা হোসেন।

সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন প্রফেসর ডা. আব্দুল বাশার এমডি জামাল (অধ্যক্ষ) এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন ডা. নিয়াতুজ্জামান (পরিচালক)।

ডা. রুমা সিনহা’র টপিক ছিল ‘মিনিমাল অ্যাক্সেস সার্জারির মাধ্যমে নারীর ফার্টিলিটি বৃদ্ধি’। নারীর বন্ধ্যাত্ব সমস্যা পুরো বিশ্বেই বেড়ে চলছে। তরুণীদের মধ্যে ইনফার্টিলিটি হওয়ার অন্যতম বড় কারণ ফাইব্রয়েড আর এন্ডোমেট্রিওসিস। সার্জারির মাধ্যমে সাধারণত এই সমস্যাগুলোর চিকিৎসা করা সম্ভব। মিনিমাল অ্যাক্সেস সার্জারি, ল্যাপারোস্কোপি এবং রোবোটিক— উভয়ই আজ নারীদের এই দুটি সমস্যা সমাধানের হাতিয়ার। সার্জারির পরে নারীদের স্বতঃস্ফূর্ত গর্ভধারণের পাশাপাশি কৃত্রিম প্রজনন প্রযুক্তির মাধ্যমে গর্ভধারণের হার বেড়েছে। ডাক্তারের এই বক্তৃব্যে রোগী নির্বাচন— যারা সার্জারির ফলে উপকৃত হবেন— তাদের নিয়েও আলোচনা করা হয়। সেইসাথে সার্জারির কৌশল, এবং সার্জারির পরে গর্ভধারণ করতে সক্ষম হয়েছেন এমন কিছু কেস স্টাডিও তুলে ধরা হয়।

ডা. রাজীব রেড্ডি’র বক্তৃতার টপিক ছিল—‘একবিংশ শতাব্দীতে হাড়ের টিউমার হলেও অঙ্গ সংরক্ষণ’।

সারকোমা হলো ক্যান্সার— যা হাড়, পেশী, জয়েন্ট এবং অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের অন্যান্য অংশ, পিঠ এবং পেলভিসে হয়ে থাকে। এগুলো সাধারণত শিশু এবং কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে দেখা যায়, যারা ক্রমাগত ব্যথার কথা জানায় বা হাত-পা ফুলে যাওয়ার অভিযোগ করে যা আকারে বাড়তেই থাকে। অর্থোপেডিক অনকোলজিস্ট হলেন একজন অভিজ্ঞ সার্জন যিনি শুধুমাত্র সারকোমাস নির্ণয় এবং চিকিৎসা করেন। যেহেতু হাড়ের এই ক্যান্সার আজকাল প্রায়ই দেখা যাচ্ছে, একজন বিশেষজ্ঞ অর্থোপেডিক অনকোসার্জন হিসেবে তিনি এই চিকিৎসার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছেন। সারকোমা (হাড়ের ক্যান্সার) চিকিৎসার শুরুতেই চাই একজন বিশেষজ্ঞ অর্থোপেডিক অনকোসার্জনের সঠিক নির্ণয় এবং এতে সার্জারি, কেমোথেরাপি এবং মাঝে মাঝে রেডিয়েশন থেরাপির মিশ্রণ থাকে।

বেশিরভাগ সারকোমা এখন ‘লিম্ব স্যালভেজ সার্জারি’-এর মাধ্যমে চিকিৎসা করা হয়। এই সার্জারিতে টিউমার প্রভাবিত হাড় এবং পেশী অপসারণ করা হয়। কখনো কখনো, অঙ্গটি বাঁচাতে একটি ধাতব ইমপ্ল্যান্ট ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ‘লিম্ব স্যালভেজ সার্জারি’-এর লক্ষ্য হলো শুধুমাত্র অঙ্গ থেকে টিউমার অপসারণ করা নয়, বরং রোগীকে একটি ভালো, কার্যকরি অঙ্গ প্রদান করা।

গত দুই দশকে সারকোমাসের চিকিৎসার উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সার্জারির পরে রোগীর অঙ্গ কেটে ফেলার দরকার হয় না। এক্সট্রা কর্পোরিয়াল রেডিয়েশন থেরাপি এবং থ্রিডি প্রিন্টেড মডেল অ্যান্ড ইমপ্ল্যান্টের মতো কৌশল ব্যবহার করে সার্জারির সাফল্য উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত হয়েছে। অন্যান্য ক্যান্সারের মতো সারকোমাও প্রথমদিকে শনাক্ত করা গেলে অভিজ্ঞ অর্থোপেডিক অনকোলজিস্ট সফলভাবে চিকিৎসা করতে পারবেন।

এ্যাপোলো হসপিটালস-এর বিষয়ে:

এ্যাপোলো চেন্নাই-এর পরে এ্যাপোলো গ্রুপের দ্বিতীয় হাসপাতাল— এ্যাপোলো হসপিটালস হায়দ্রাবাদ, যা ১৯৮৮ সালে যাত্রা শুরু করে। ৩৫ একর সবুজ উঠানে বিস্তৃত এই হাসপাতালটি নির্মিত হয়েছিল শ্রেষ্ঠত্ব, দক্ষতা, সহানুভূতি এবং উদ্ভাবনের মূল্যবোধে দৃঢ় বিশ্বাসের সাথে বিশ্বমানের স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে আসার লক্ষ্যে।

আজ প্রায় ৩ দশক পরে এ্যাপোলো হসপিটালস, হায়দ্রাবাদ এশিয়ার সবচেয়ে বিখ্যাত এবং বিশ্বস্ত সমন্বিত হেলথ সিটিতে পরিণত হয়েছে। এই ৫৫০ শয্যার মাল্টি-স্পেশালিটি হাসপাতালে ৫০টিরও বেশি স্পেশালিটি এবং সুপার-স্পেশালিটির সাথে ১২টি সেন্টার অফ এক্সিলেন্স রয়েছে— যাতে অসুস্থতা, সুস্থতা এবং সামগ্রিক থেরাপি পর্যন্ত সকল ক্ষেত্রেই অভিজ্ঞতা আছে।

এ্যাপোলো হসপিটালস, হায়দ্রাবাদ ২০০৫ সাল থেকে জেসিআই (ইউএসএ) স্বীকৃত একটি ফ্যাসিলিটি।

এ্যাপোলো হসপিটালস, হায়দ্রাবাদ ভারত সরকারের পর্যটন মন্ত্রণালয় থেকে ‘সেরা চিকিৎসা পর্যটন সুবিধা’-এর জন্য ৬টি জাতীয় পুরস্কার পেয়েছে, যে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভারতের রাষ্ট্রপতি।

আমাদের সেন্টার অব এক্সিলেন্সের মধ্যে রয়েছে হার্ট, নিউরোলজি এবং নিউরো সার্জারি, ক্যান্সার, অর্থোপেডিকস, ট্রান্সপ্ল্যান্ট— লিভার, কিডনি, কর্নিয়া এবং বোন ম্যারো, কোলোরেক্টাল, রোবোটিক সার্জারি, পালমোনোলজি ইত্যাদি।


যোগাযোগ:
সানজীদা সাঈদ (sunjeda.sayed@bdhci.com)
ফোন নম্বর: +8801746110100


আরো সংবাদ



premium cement
স্বর্ণের অলঙ্কার বিক্রিতে মজুরি ৬ শতাংশ ফ্রান্সে কারা কর্মকর্তাদের হত্যা করে প্রিজনভ্যান থেকে আসামি ছিনতাই নিউ কালেডোনিয়ায় সহিংসতার পর কারফিউ, বন্ধ বিমানবন্দর থাইল্যান্ডের কারাগারে অনশনে থাকা তরুণীর মৃত্যু ভারতীয় পত্রিকার রিজার্ভ চুরির খবর মিথ্যা : বাংলাদেশ ব্যাংক প্রধানমন্ত্রীর ছবি ব্যঙ্গোক্তি করে ফেসবুকে পোস্ট, যুবলীগ নেতা গ্রেফতার রাফা ক্রসিং বন্ধের জন্য মিসরকে দায়ী করল ইসরাইল দেশের মাটি ধরে রাখাই এখন অনেক কঠিন : কিয়েভ কুবি শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটূক্তির অভিযোগ ডোনাল্ড লু'র সফর নিয়ে আ'লীগ ও বিএনপিতে এত কথাবার্তা কেন? চট্টগ্রাম নেমে যা জানালেন বন্দীদশা থেকে মুক্ত নাবিকরা

সকল