২০ মে ২০২৪, ০৬ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ১১ জিলকদ ১৪৪৫
`


সর্পদংশনে প্রাথমিক চিকিৎসা

-

সর্পদংশন আমাদের দেশে এক জরুরি ও গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্যসমস্যা। আমাদের দেশে প্রতি বছর প্রায় আট হাজার মানুষ সর্পদংশনের শিকার হন। যদিও আধুনিককালে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে সর্পদংশনের চিকিৎসা করা হয়। তথাপি আমাদের জনসাধারণের ঐতিহ্যগত লোক চিকিৎসার প্রতি দৃঢ়বিশ্বাস ও পাশাপাশি চিকিৎসা পেশায় জড়িতদের সর্পদংশনের বৈজ্ঞানিক চিকিৎসা সম্পর্কে সচেতনতার অভাবে সর্পদংশনের শিকার প্রায় ২০ শতাংশ লোকই মৃত্যুবরণ করেন। অথচ সর্পদংশনের প্রাথমিক চিকিৎসা সম্পর্কে ব্যাপক জনসচেতনতা বৃদ্ধি করার পাশাপাশি চিকিৎসকদের সর্পদংশনের বৈজ্ঞানিক চিকিৎসার সাথে পরিচিত করার মাধ্যমে এই মৃত্যুর হার অনেকাংশ কমিয়ে আনা সম্ভব। নিম্নে সর্পদংশনের প্রাথমিক চিকিৎসার কতিপয় করণীয় ও বর্জনীয় কাজের তালিকা দেয়া হলো।
করণীয় : (১) সর্পদংশনে আক্রান্ত ব্যক্তিকে সর্পদংশনের নিরাময়যোগ্য আধুনিক চিকিৎসার ব্যাপারে আশ্বস্ত করুন। কারণ সর্পদংশনে আক্রান্ত ব্যক্তি মৃত্যুভয়ে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন থাকেন। (২) পা আক্রান্ত হলে হাঁটা যাবে না। (৩) হাত আক্রান্ত হলে এড়িয়ে চলতে হবে হাতের সমস্ত নড়াচড়া। (৪) প্রয়োজনে আক্রান্ত হাত বা পায়ের সাথে একটি বন্ধফলক এঁটে দিয়ে তা উপযুক্ত বাঁধন যেমন : দড়ি, গামছা প্রভৃতি দ্বারা বেঁধে রহিত করতে হবে সব নাড়াচাড়া। কারণ আক্রান্ত স্থানের অযাচিত নাড়াচাড়া পুরো শরীরে বিষ ছড়ানোর জন্য সহায়ক হিসেবে কাজ করে। (৫) যদিও কোনো কোনো ক্ষেত্রে রোগীর মানসিক স্বস্তির লক্ষ্যে লোক সমাজে বহুল প্রচলিত দু’টি পট্টি যথাক্রমে আক্রান্ত স্থানের কিছুটা আগে ও পরে এমনভাবে বাঁধতে হবে যে, যার মধ্য দিয়ে হাতের কনিষ্ঠা আঙুল সহজে প্রবেশ করানো যায়। এতে করে পায়ের রক্ত সঞ্চালনে কোনো রূপ বিরূপ প্রভাব পড়ে না। যদিও আধুনিক চিকিৎসায় এর কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। তদুপরি চন্দ্র বোড়া সাপের দংশনে এর ব্যবহার পুরোপুরি নিষেধ। (৬) সেই সাথে আক্রান্ত ব্যক্তিকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব উন্নত চিকিৎসার জন্য নিকটস্থ উপযুক্ত হাসপাতালে স্থানান্তর করতে হবে।
বর্জনীয় : (১) আক্রান্ত স্থানের আগে ও পরে দুই বা ততধিক পট্টি শক্ত বাঁধা। কারণ এতে আক্রান্ত স্থানে রক্তের প্রবাহ বাধাপ্রাপ্ত হয়। এমনকি আক্রান্ত স্থানে স্থায়ী ক্ষতি হতে পারে। (২) আক্রান্ত স্থান ও এর চারপাশে ধারালো জিনিস দিয়ে চেরার মাধ্যমে বিষ ঝরানোর ভ্রান্ত ধারণার বশবর্তী হয়ে অযাচিত রক্ত ঝরানো। (৩) আক্রান্ত স্থানে চেরার মাধ্যমে রক্ত ঝরানোর পর তা মুখ বা মুরগির বাচ্চার পায়ুপথ (ক্লোয়াকা) দ্বারা চোষানো। (৪) কোনো দহনকারক পদার্থ যথাÑ কার্বলিক এসিড দ্বারা আক্রান্ত স্থান পোড়ানো। (৫) আক্রান্ত স্থানে বিষ শোষণকল্পে বিভিন্ন লতাগুল্মের লেই কিংবা গোবর বা কাদামাটি লাগানো। কারণ এর কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। বরং আক্রান্ত স্থানে তা বিভিন্ন জীবাণুঘটিত জটিল সংক্রমণ তৈরি করতে পারে। (৬) আক্রান্ত ব্যক্তিকে তেল, ঘি, গোলমচির কিংবা বিভিন্ন লতাগুল্মজাতীয় পদার্থ খাওয়ানোর মাধ্যমে বমি করানো। (৭) আক্রান্ত স্তানে বিষ শোষণকল্পে পাথর, বীজ বা লালা প্রয়োগ করা।


আরো সংবাদ



premium cement
ফের ইংলিশ লিগ চ্যাম্পিয়ন ম্যানসিটি ম্যানসিটির টানা চতুর্থ শিরোপা কেএনএফের তৎপরতার প্রতিবাদে বান্দবানে মানববন্ধন তাপপ্রবাহের মধ্যে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের জন্য নতুন নির্দেশনা ‘ভুয়া তথ্য’ ছড়িয়ে কিরগিজস্তানে বিদেশী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা রংপুরে হুমকি দাতা ইউপি মেম্বারকে তলব করল রিটার্নিং কর্মকর্তা রোহিঙ্গা গ্রামে আরাকান আর্মির হামলা ও অগ্নিসংযোগ মিরপুরে ব্যাটারি চালিত রিক্সাচালক ও পুলিশ সংঘর্ষ : আহত অর্ধশত লজ্জাহীনতার বার্তা শিশুদের মনে দুর্ঘটনার কবলে ইরানের প্রেসিডেন্টের হেলিকপ্টার গুরুতর আঞ্চলিক সঙ্কটে পরিণত হয়েছে রোহিঙ্গা সমস্যা : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

সকল