নতুন বছরে জাতীয় ফুটবল দলের নতুন বছর শুরু হচ্ছে ২১ মার্চ। ফিলিস্তিনের বিপক্ষে কুয়েতে এই ম্যাচ হওয়ার পর ২৬ মার্চ ফিরতি ম্যাচ ঢাকায়। বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের এই দুই ম্যাচের জন্য সৌদি আরবে প্রস্তুতি বাংলাদেশ দলের।
এ জন্য আগামীকাল মধ্য প্রাচ্যের দেশটিতে যাচ্ছে জামাল ভূঁইয়ারা। সেখানে অনুশীলনরত সুদান জাতীয় দলের সাথে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার চেষ্টা করছেন কোচ হাভিয়ার কাবরেরা।
বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) ছিল এই সৌদি আরব এবং কুয়েত যাওয়ার আগে জাতীয় দলের সংবাদ সম্মেলন। এই সময় কোচ জানান, ফিলিস্তিনের বিপক্ষে এই দুই ম্যাচে তিনি খুব মিস করবেন ইনজুরির জন্য বাদ পড়া মিডফিল্ডার শেখ মোরসালিন এবং ডিফেন্ডার তারিক কাজীকে।
গত বছর কম্বোডিয়ার বিপক্ষে ফিফা প্রীতি ম্যাচে জাতীয় দলে অভিষেক মোরসালিনের। এরপর সাফে ভুটান ও মালদ্বীপের বিপক্ষে গোলে তার শুরু। পররর্তীতে আফগানিস্তান ও লেনাননের বিপক্ষেও তার গোল। তার এই গোল স্কোরিং দক্ষতা বাংলাদেশ দলে স্কোরারের অভাব অনেকটা ঘুচিয়ে দিয়েছিল। ফলে এই উঠতি ফুটবলার এখন বাংলাদেশ দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ন সদস্য। কিন্তু ইনজুরির জন্য এবার তাকে পাওয়া যাচ্ছে না। একই কারনে সৌদিগামী বিমানে উঠা হচ্ছে না ফিনল্যান্ড প্রবাসী তারিক কাজীর। কোচ কাবরেরা তাই সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করলেন, ‘ইনজুরির জন্য এই দুই গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়কে আমরা নিতে পারছি না। খুব মিস করবো দু’জনকে। তাকির ডিফেন্সে বেশ অভিজ্ঞ ফুটবলার। আর মোরসালিন এক দিকে যেমন গোল করতে দক্ষ, তেমনি বিপক্ষ রক্ষনভাগের জন্য আতঙ্ক। দলে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে গেছে সে।’
অবশ্য মোরসালিনের বিকল্পও প্রায় ঠিক করে রেখেছেন কোচ। তিনি হলেন মোহামেডানের সেনাবাহিনীর ফুটবলার শাহরিয়ান ইমন। কাবরেররা মতে, আমি মোরসালিনের জায়গায় ইমনকে খেলানোর চিন্তাভাবনা করছি। অবশ্য তাকে আমি আরো দেখব।’ তারিক কাজী বাদ পড়ায় অবশ্য ততোটা চিন্তায় ফেলছে না এই স্প্যানিশ কোচকে। জানান, তপু ফিরেছে জাতীয় দলে। শাকিল হাসানও ভালো করেছে গত ম্যাচগুলোতে। ফলে তপুর সাথে খেলতে পারে শাকিল।
দলের তিন নতুন মুখ শাহ কাজেম, রাব্বী হোসেন রাহুল এবং তাজ উদ্দিন সম্পর্কে কোচের জবাব, রাহুল এই লিগের পারফরম্যান্সেই আমাকে মুগ্ধ করেছে। সে ৫ গোল করেছে লিগে। উঠতি প্রতিভা সে। তবে কাজেম এবং তাজ উদ্দিন আরো আগেই আমার নোট বুকে ছিল। ইনজুরির জন্য এশিয়ান গেমসের দলে তাজকে নেয়া যায়নি। একই কারণে আগের উইন্ডোতে নিতে পারিনি কাজেমকে। কাজেমের এমন কিছু টেকনিক্যাল গুন আছে যা আমরা দলে প্রয়োগ করি। সে দলের জন্য ফিট। তাজ উদ্দিন গত বছর থেকেই উইংব্যাকে খেলছে। তাকে জাতীয় দলে পরখ করতে চাই। রাহুল আমাদের রাডারে প্রথম ছিল না। কিন্তু সে খুব ভালো করছে। ৯ ম্যাচে সে ৫ গোল করেছে। তার গোলের রেটটা হাই।’
কোচ ফের উল্লেখ করলেন, ফিলিস্তিনের বিপক্ষে আমাদের কাছে সবার প্রত্যাশা হাই। আমরাও সেই আকাংখার সাথে কোনো আপস করছি না। গতবছর সে ধারায় খেলেছি তা অব্যহত রাখতে চাই। তবে লেবাননের বিপক্ষে যে খেলা উপহার দিয়েছি এর চেয়ে বেটার দিতে হবে। তার মতে, তপু ও জিকো দলে ফেরায় শক্তিতে ভারসাম্য এসেছে। কারণ এই দলে ১২ জন অনূর্ধ্ব-২৩ ফুটবলার।
৪ গোল দিয়েও ডাক না পাওয়া সুফিল সম্পর্কে কোচের জবাব, সে ফর্মে আছে। এবার তাকে না ডাকলেও পরে তার জন্য দরজা খোলা। একই বক্তব্য স্ট্রাইকার সাজ্জাদ সম্পর্কেও।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা