২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

শ্রীলঙ্কা সফরের প্রস্তুতি বাংলাদেশের

- ফাইল ছবি

‘রাতে কোনোভাবেই ঘুম আসছিল না। বড় জোড় দুই ঘণ্টা ঘুমাতে পেরেছি। মেনে নিতে পারছি না গত ম্যাচে নেপালের সাথে ড্র করে ফাইনালে খেলতে না পরার কষ্ট।’ বৃহস্পতিবার দুপুরে টিম হোটেলে বসে কথাগুলো বলছিলেন বাংলাদেশ দলের গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো।

তিনি জানান, কোনো ফুটবলারই ঠিক মতো খাওয়া দাওয়া করতে পারছে না। তার সাথে সুর মিলিয়ে ম্যানেজার সত্যজিৎ দাস রুপু বললেন, ‘এক জন ফুটবলারের যে পরিমাণ খাবার গ্রহণের কথা সে পরিমাণ খাবারও গ্রহণ করতে পারছে না খেলোয়াড়রা।’

নেপালের সাথে রেফারির বিতর্কিত পেনাল্টিতে সাফের ফাইনালে খেলার স্বপ্নভঙের পর এই অবস্থাই বিরাজ করছিল বুধবার রাতে। এরপর বৃহস্পতিবার সকালেও দুশ্চিন্তার ছাপ স্পষ্ট ছিল লাল সবুজ জার্সিধারীদের মধ্যে। দুপুরের পর অবশ্য তপু বর্মন, ইব্রাহিম ও জুয়েল রানা হোটেল থেকে বের হয়েছিলেন কিছুক্ষণের জন্য। তবে অন্য সময় মুখে যে স্বাভাবিক হাসি থাকে তা আর ছিল না এ দিন।

আরেকটি সাফের ব্যর্থতা নিয়ে বৃহস্পতিবারই বাংলদেশ দল দেশে ফেরার চেষ্টা করেছিল। অবশ্য এর আগে ১৬ অক্টোবর ফাইনাল খেলে ১৭ অক্টোবর দেশে ফেরার পরিকল্পনা ছিল। নেপালের সাথে ড্র করার পর সিদ্ধান্ত বদলের চেষ্টা করেও সফল হওয়া যায়নি, ঢাকায় ফেরার বিমানের টিকেট না থাকায়।

তাই প্রচণ্ড কষ্ট নিয়েই আরো দু’দিন মালেতে কাটাতে হবে বাংলাদেশ দলকে। বিশেষ করে জাতীয় দলে থাকা অনূর্ধ্ব-২৩ দলের ৯ ফুটবলারের আগে আগেই ঢাকায় ফেরাটা জরুরি ছিল মারুফুল হকের ক্যাম্পে যোগ দিতে।

১৩তম সাফে পাঁচ দলের মধ্যে চতুর্থ হয়ে বাংলাদেশ দল এখন আগামী মাসে শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিতব্য চার জাতি ফুটবলের জন্য মানসিকভাবে তৈরি হচ্ছে। ৮-১৭ নভেম্বরে কলম্বোর এই আসরে স্বাগতিক লঙ্কানরা ছাড়াও মালদ্বীপ ও ভারত মহাসাগরের দ্বীপ রাষ্ট্র সেশেলস অংশ নেবে।

বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার রুপু জানান, সাফে আমাদের ফুটবলারদের যে অভিজ্ঞতা হয়েছে জয়ের যে মানসিকতার জন্ম হয়েছে, তা শ্রীলঙ্কার টুর্নামেন্টে কাজে লাগাতে চাই। সেখানে চ্যাম্পিয়ন হয়ে সাফের হতাশাটা কাটানোই এখন লক্ষ্য।

তিনি উল্লেখ করেন, ‘আমাদের কথা বলার ছিল শনিবারের ফাইনাল নিয়ে। কিন্তু বিতর্কিত পেনাল্টিতে এখন ফাইনালে না খেলার কষ্টের কথা বলতে হচ্ছে।’ তিনি ২০১৯ সালে কাঠমান্ডু- পোখারা এসএ গেমসে বাংলাদেশের একটি পরিষ্কার গোল বাতিল করার উদহারণ টেনে বলেন, ‘এভাবে রেফারিং ভালো না হলে কাউকে না কাউকে ভুগতেই হবে।’

গোলরক্ষক জিকো বলেন, ‘হারের কষ্ট আগেও পেয়েছি। কিন্তু এভাবে এক গোলে এগিয়ে থেকেও জিততে না পারা, বাজে রেফারিংয়ের কারণে- এ কষ্টটাই বেশি লেগেছে।’ তিনি আরো বলেন, আমরা তো ধরেই নিয়েছিলাম ফাইনালে খেলতে যাচ্ছি। কিন্তু তা হলো না।’ বসুন্ধরা কিংসের এই গোলরক্ষক যোগ করেন, ‘এখন আমাদের সুযোগ আছে শ্রীলঙ্কার চার জাতি টুর্নামেন্টে। সবাই মিলে চেষ্টা করবো চার জাতি টুর্নামেন্ট জিততে।’ সাথে উল্লেখ করলেন, শ্রীলঙ্কায় ভালো করার জেদ আছে আমাদের। আসলে ভালো খেললেইতো হবে না। রেফারিংটা ফেয়ার হতে হবে। এই মালদ্বীপেই এএফসি কাপের সময় বসুন্ধরা কিংসের খেলায় একটি লাল কার্ড দিয়ে শেষ করে দেয়া হয়েছিল ম্যাচ। ওেই ম্যাচও জেতা দরকার ছিল।

বাংলাদেশ দলের মিডফিল্ডার বিপলু আহমেদ চোখের নিচে চোট পেয়েছেন। কেটে গেছে। সেখানে তিনটি সেলাই লেগেছে বলেও তথ্য দেন ম্যানেজার।


আরো সংবাদ



premium cement