শনিবার কায়রোতে মিসর জাতীয় ফুটবল দলের অনুশীলন ক্যাম্পে যোগ দিয়েছেন। তবে রাশিয়াগামী ফারাও বিশ্বকাপ দলের সঙ্গে অনুশীলন করতে দেখা যায়নি এই লিভারপুল তারকাকে।
মিশরের রাত্রিকালীন চুড়ান্ত অনুশীলন দেখতে এ সময় হাজার হাজার সমর্থক সেখানে হাজির হয়ে বুনো উন্মাদনায় মেতে উঠে এবং দলকে সমর্থন দেয়। স্থানীয় সময় রাত ঠিক ১০টা বাজার আগ মুহূর্তে শুরু হয় অনুশীলন।
এ সময় দলের সদস্যরা মাঠে অনুশীলনে মেতে উঠলেও মাঠের মাঝখানে বসে ড্রেসিং সামগ্রী নিয়ে ব্যকরুম স্টাফদের সঙ্গে আলাপ আলোচনায় মেতেছিলেন সালাহ। রেকর্ড সংখ্যক সাতবার আফ্রিকা অঞ্চলের এই চ্যাম্পিয়ন দল এই নিয়ে তৃতীয়বারের মত বিশ্বকাপের চুড়ান্ত আসরে অংশ নিতে যাচ্ছে। মিসর সর্বশেষ বিশ্ব মঞ্চে যোগ দিয়েছিল ১৯৯০ সালে।
আগামী ১৫ জুন দুইবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন উরুগুয়ের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ মিশণ শুরু করবে ফারাওরা। ইনজুরিতে থাকা সত্বেও দলটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে সালাহকে। গত মাসে লিভারপুলের হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লীগের ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদের মোকাবেলা করার সময় কাঁধের ইনজুরিতে পড়েন সালাহ। ম্যাচে ৩-১ গোলে জয়লাভ করেছে রিয়াল। ওই ইনজুরির কারণে সালাহ’র বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ অনিশ্চিত হয়ে পড়ে।
রোমা থেকে লিভারপুলে যোগ দিয়ে গত মৌসুমে ইংলিশ ক্লাবের হয়ে ৪৪ গোল করা সালাহ আসন্ন বিশ্বকাপে মিশরের আশাভরসার প্রতীক। আহত হবার পরপরই মিসরীয় ফুটবল ফেডারেশন সালাহর ইনজুরি সেরে উঠতে অন্তত তিন সপ্তাহ সময় লাগতে পারে বলে ঘোষণা দেয়।। যার মানে এ’গ্রুপ থেকে মিসরের প্রথম ম্যাচে যে সালাহ খেলতে পারছেননা সেটি প্রায় নিশ্চিত। সৌদি আরব ও রাশিয়ার বিপক্ষে গ্রুপের বাকি দুই ম্যাচে তার অংশগ্রহণের সম্ভাবনা রয়েছে।
জাতীয় ফুটবল দলের চিকিৎসক মোহাম্মদ আবু আল ইলা অন স্পোর্টস টিভিকে বলেন, সালাহ কখন পুরোপুরি সুস্থ হবেন তা অচিরেই জানা যাবে। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে অপারগতা প্রকাশ করে তিনি বলেন,‘ দুটি দিন না যাওয়া পর্যন্ত আমরা কিছুই বলতে পারব না।’
আরো পড়ুন :
রামোসকে কখনো ক্ষমা করবেন না সালাহ!
সার্জিও রামোস। লিভারপুল, মিসর এবং সালাহভক্তদের কাছে 'ভিলেন' তিনি। তার চ্যালেঞ্জের কারণেই গুরুতর আঘাত পেয়ে এখন মাঠ থেকে দুরে মোহাম্মদ সালাহ। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেই ফাইনাল সব সৌন্দর্য হারিয়েছে যখন কাঁদতে কাঁদতে মাঠ ছেড়েছেন মিসরের এই রাজপুত্র। গ্যালারিভর্তি সালাহ ভক্তের চোখে তখন অশ্রু ঝরছে। সেই ঘটনার জন্য রামোসকে কখনো ক্ষমা করবে না সালাহভক্তরা, ক্ষমা করবেন না সালাহ নিজেও। এমনটাই ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।
সেই দিনের ঘটনার পর সমালোচনার ঝড় উঠে। মাঠের খেলায় জিততে মরিয়া রিয়াল মাদ্রিদ অধিনায়ক এমন 'ঘৃণ্য' কাজ করতে পারেন -সেটা অনেকেই ভাবতেই পারেননি। কিন্তু রামোস বরাবরই এ ধরণের কাণ্ড ঘটান। এবং সেই দিনের ঘটনার জন্য কোনো শাস্তিও পাননি। কিন্তু ফুটবলবিশ্বে 'অপরাধী'র কাঠগড়ায় তাকে দাড় করিয়েছেন অনেকে। তার জন্য ফুটবল তার সৌন্দর্য হারিয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলাও করেছিলেন মিসরের এক আইনজীবী।
এতো সমালোচনার পর সালাহকে উদ্দেশ্য করে টুইট করেন রামোস, ‘অনেক সময় ফুটবল তোমাকে ভালো দিক দেখাবে, আবার কোন সময় খারাপ দিক। সর্বোপরী আমরা সবাই সতীর্থ। দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠো সালাহ, ভবিষ্যত তোমার জন্য অপেক্ষা করছে।’
কিন্তু এ ব্যাপারে সালাহ কি বলেছেন?
ঘটনার অনেকদিন পর মুখ খুলেছেন সালাহ। বলেছেন, ''ওই ঘটনার পর রামোস আমাকে মেসেজ পাঠিয়েছিল। আমি কিন্তু তাকে কখনো বলিনি, 'ওকে, যা হওয়ার হয়েছে।''
তিনি বলেন, ''কোনো ব্যাপারে তখনি 'ওকে' বলা যায়। যখন কেউ তোমাকে কাঁদাবে, পরক্ষণেই হাসাবে।''
এই কথা থেকে সহজেই অনুমান করা যায় যে, সেই ঘটনা ভোলা সালাহর পক্ষে ভুলে যাওয়া কঠিন। এবং এর জন্য রামোসকে ক্ষমা করা সালাহর জন্য অতোটা সহজ নয়।
বিশ্বকাপে খেলার ব্যাপারে তিনি বলেন, ''আশা করছি প্রথম ম্যাচে উরুগুয়ের খেলতে পারব। তবে সবকিছু নির্ভর করবে, আমার শারিরীক অবস্থার উপর।''
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা