০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫
`


মৌসুমের শুরুতেই আলু নিয়ে হুলস্থূল

বাজারে হঠাৎ করেই বেড়েছে আলু ও পেয়াঁজের দাম। এতে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতারা : নয়া দিগন্ত -

- তিন দিনে খুচরা বাজারে দাম বেড়েছে কেজিতে ১৫ টাকা
- অসাধু ব্যবসায়ীরা গুদামে ঢুকিয়েছে হাজার হাজার বস্তা

কৃষক ক্ষেত থেকে আলু তুলেছেন একমাসও হয়নি। এরই মধ্যে আলুর দাম নিয়ে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে হুলস্থুল কাণ্ড। তিন দিনের ব্যবধানে কেজিতে দাম বেড়েছে ১৫ টাকার বেশি। ব্যবসায়ীরা বলেছেন, সরবরাহ কম। যে কারণে হঠাৎই আলুর দাম বেড়েছে। কৃষকপর্যায় থেকেই বেশি দামে আলু কিনতে হচ্ছে। যে কারণে হুহু করে বাড়ছে আলুর দাম। ভারত থেকে আমদানি করেও আলুর দাম নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। এ দিকে কৃষকরা বলছেন, আলুর ফলন এবার অনেক কম হয়েছে। অপর দিকে আলুর দাম বাড়বে এটা বুঝতে পেরে অসাধু ব্যবসায়ীরা মাঠ থেকে কিনেই গুদামজাত করেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় এই পণ্যটি।
গত তিন দিনের ব্যবধানে দেশী আলু কেজিতে বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা। আর ভারতীয় আলু বেড়েছে আট টাকা। দেশী আলু গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি হয়েছে ৬০ টাকায়। যা আগের রাতেও ছিল ৫০ টাকা। খুরচা বিক্রেতারা জানিয়েছেন, গতকাল পাইকারি বাজার থেকে তারা ৪৫ টাকার ওপরে আলু কিনেছেন। এরপর তাদের নানা খরচা রয়েছে। কেজিতে তারা ৫ টাকা ব্যবসা করবেন।

মুন্সীগঞ্জের জাহাঙ্গির হোসেন। আলু চাষের সাথে জড়িত। একই সাথে টঙ্গিতে পাইকারি আড়তদারও। তিনি বলেন, এবার আলু উৎপাদন কম হয়েছে। বিশেষ করে আলু বীজ লাগানোর পর অঙ্কুর দেয়ার মুহূর্তে বৃষ্টি হয়। যে কারণে অঙ্কুর নষ্ট হয়ে যায়। এতে ১২ আনা আলু গাছ অঙ্কুরেই নষ্ট হয়েছে। ওই বীজ তুলে আবারো কয়েকগুণ বেশি টাকায় আলু বীজ কিনে তারা মাঠে রোপণ করেন। কিন্তু ফলন হয়নি। যে কারণে মৌসুমের শুরু হলেও আলুর দাম বেশি। তিনি বলেন, গতকাল বুধবার তারা ৪৫ টাকা কেজি পাইকারি বিক্রি করেছেন আড়তে। জাহাঙ্গির জানান, আলুর এই কম ফলনের সুযোগ নিয়েছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। তারা শুরুতেই মাঠপর্যায় থেকে আলু কিনে কোল্ডস্টোরেজে ঢুকিয়েছে। যে কারণে বাজারে বছর শুরুতেই আলুর সঙ্কট। এতে দাম আরো বেড়েছে। তিনি বলেন, মাস খানেক হয় কৃষক আলু তুলেছেন। শুরুর তিন-চার দিন মাঠ পর্যায় থেকে ১৮-১৯ টাকায় আলু কিনেছে পাইকারি ব্যবসায়ীরা। আর সেই সময়ই অসাধু ব্যবসায়ীরা মাঠ থেকে কম দামে আলু সংগ্রহ করে গুদামজাত করে। গতকাল বৃহস্পতিবার কাওরান বাজার ঘুরে দেখা যায়, পাইকারিতে দেশী আলু বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা কেজি দরে। ভারতীয় আলুর দর ৪২ টাকা, যা ঈদের আগে ছিল ৩৪ থেকে ৩৫ টাকা। একই বাজারে খুচরায় বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫২ টাকায়। আর এই আলু রাজধানীর ছোট ছোট বাজার, আর অলিগলিতে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা।

সাইদুর রহমান নামে এক ক্রেতা গতকাল কোনাপাড়া বাজারে জানান, কয়েক দিনের মধ্যে মনে হলো হুলস্থুল শুরু হয়ে গেছে। তিনি বলেন, যে আলু ঈদের আগে কিনেছেন ৪০-৪২ টাকায়। কয় দিনের মাথায় সেই আলু এখন ৬০ টাকা। হয়তো দু-এক দিনের মধ্যে আরো দাম বাড়বে। সাইদুর রহমান জানান, এভাবে সকল পণ্যের দামই বাড়ছে। কোনটি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, আর কোন কোনটি আলোচনার বাইরেই থেকে যাচ্ছে। কিন্তু মানুষ ঠিকই বেশি দামে ওইসব পণ্য কিনে খেতে বাধ্য হচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘আসলে বাজারে কারো নিয়ন্ত্রণ নেই’। যে কারণে কেউ বেআইনিভাবে পণ্যের গুদামজাত করছে, কেউ কেউ কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি করে সিন্ডিকেট করে দাম বাড়াচ্ছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement
বাংলাদেশ-সৌদি আরবের যৌথ উদ্যোগে ইউরিয়া সার কারখানার সম্ভাব্যতা সমীক্ষা সম্পন্ন আগামী ২ বছর উন্নয়নশীল এশীয় অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ৪.৯ শতাংশ থাকার আশা এডিবি প্রেসিডেন্টের চুয়াডাঙ্গায় আগুনে পুড়ে পানবরজ ছাই মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ, রিমান্ডে নেয়া হবে : ডিবি বৃহস্পতিবার সারা দেশের স্কুল-কলেজ বন্ধ ভূরুঙ্গামারীতে চিকিৎসকের কপাল ফাটিয়ে দিলেন ইউপি সদস্য ‘পঞ্চপল্লীর ঘটনা পাশবিক, এমন যেন আর না ঘটে’ টি২০ বিশ্বকাপের পিচ পৌঁছেছে নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়ামে হাসপাতালে ভর্তি খালেদা জিয়া কমলাপুর স্টেশনে ট্রেন থেকে লাশ উদ্ধার মোরেলগঞ্জে বৃদ্ধের ফাঁস লাগানো লাশ উদ্ধার

সকল