১৯ মে ২০২৪, ০৫ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলকদ ১৪৪৫
`


৯ মাসে সরকারের ঋণ বেড়েছে ১ লাখ কোটি টাকার উপরে

সরকারের পুঞ্জীভূত ঋণস্থিতি ১২,৪৯,২৬৫ কোটি টাকা, জিডিপির ৩১.৪২%
-

বিদয়ী অর্থবছরের (২০২১-২০২২) প্রথম ৯ মাসে সরকারের পুঞ্জীভূত ঋণ বেড়েছে ১ লাখ ৬ হাজার ৩১৭ কোটি টাকা। বর্তমানে সরকারের ঋণের স্থিতি রয়েছে ১২ লাখ ৪৯ হাজার ২৬৫ কোটি টাকা। এই ঋণের মধ্যে অভ্যন্তরীণ ঋণের স্থিতি হচ্ছে ৭ লাখ ৭৭ হাজার ৩৬২ কোটি টাকা (এটি মোট পুঞ্জীভূত ঋণের ৬২%) এবং বৈদেশিক ঋণের স্থিতি হচ্ছে ৪ লাখ ৭১ হাজার ৯০৩ কোটি টাকা (এটি মোট পুঞ্জীভূত ঋণের ৩৮%)।

সরকারের অর্থ বিভাগের করা এক নিজস্ব বুলেটিনে উল্লেখ করা হয়েছে, সমাপ্ত অর্থবছরের(২০২১-২০২২) প্রথম ৯ মাসে (গত মার্চ) সরকারের মোট ঋণস্থিতি (অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক) দাঁড়িয়েছে ১২ লাখ ৪৯ হাজার ২৬৫ কোটি টাকা। এটি মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি)-এর ৩১ দশমিক ৪২ শতাংশ। এর আগে ২০২০-২১ অর্থবছর শেষে বা ২০২১ সালের জুন শেষে সরকারের পুঞ্জীভূত ঋণস্থিতি ছিল ১১ লাখ ৪২ হাজার ৯৪৮ কোটি টাকা। এটি ছিল জিডিপির ৩২ দশমিক ৩৮ শতাংশ। সে হিসাবে ৯ মাসের ব্যবধানে সরকারের ঋণস্থিতি বেড়েছে ১ লাখ ৬ হাজার ৩১৭ কোটি টাকা। তবে টাকার অঙ্কে ঋণস্থিতি বাড়লেও জিডিপির অনুপাতে ঋণস্থিতি কমেছে প্রায় ১ শতাংশ। কারণ এবার নতুন ভিত্তি বছর হিসেবে জিডিপির আকার অনেকখানি বেড়েছে বলে এ ঋণের স্থিতি কমে গেছে।

অর্থ বিভাগ সূত্রমতে, করোনাজনিত কারণে সরকারের ঋণ বেড়ে যাওয়ায় সার্বিক ঋণস্থিতি বেড়েছে। তবে এটি এখনো ঝুঁকিসীমার অনেক নিচে রয়েছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)-এর ‘টেকসই ঋণ কাঠামো’ (ডেট সাসটেইনেবল ফ্রেমওয়ার্ক-ডিএসএফ)-এর মানদণ্ড অনুযায়ী, জিডিপির ৫৫ শতাংশ ঋণকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
অর্থ বিভাগের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সরকারের মোট পুঞ্জীভূত ঋণের মধ্যে অভ্যন্তরীণ ঋণের স্থিতি হচ্ছে ৭ লাখ ৭৭ হাজার ৩৬২ কোটি টাকা (এটি মোট পুঞ্জীভূত ঋণের ৬২%) এবং বৈদেশিক ঋণের স্থিতি হচ্ছে ৪ লাখ ৭১ হাজার ৯০৩ কোটি টাকা (এটি মোট পুঞ্জীভূত ঋণের ৩৮%)।

গত ২০২০-২১ অর্থবছর শেষে অর্থাৎ ২০২১ সালের জুন শেষে সরকারের অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক ঋণের পুঞ্জীভূত স্থিতি ছিল ৭ লাখ ২২ হাজার ৫৯১ কোটি টাকা এবং ৪ লাখ ২০ হাজার ৩৫৮ কোটি টাকা।

সরকারের অভ্যন্তরীণ ঋণস্থিতি পর্যালোচনায় দেখা যায়, ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে গৃহীত ঋণের তুলনায় ব্যাংক-বহির্ভূত খাত থেকে সরকার অধিক পরিমাণ ঋণ নিয়েছে। ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে গৃহীত সরকারের পুঞ্জীভূত ঋণের পরিমাণ ৩ লাখ ৬৪ হাজার ৫১৯ কোটি টাকা এবং ব্যাংক-বহির্ভূত খাত থেকে গৃহীত ঋণের পরিমাণ ৪ লাখ ১২ হাজার ৮৪৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে সঞ্চয়পত্র খাত থেকে গৃহীত পুঞ্জীভূত ঋণের পরিমাণ হচ্ছে ৩ লাখ ৬২ হাজার ১৬০ কোটি টাকা।

অর্থ বিভাগ বলছে, সঞ্চয়পত্র খাতে চলমান সংস্কার কার্যক্রম এ খাতে সরকারের ঋণ নির্ভরতা কমিয়ে আনবে। একইভাবে অভ্যন্তরীণ ফিন্যান্সিয়াল মাকের্টেরও সংস্কার প্রয়োজন।

অন্যদিকে বৈদেশিক ঋণস্থিতির মধ্যে পুঞ্জীভূত বহুপাক্ষিক ঋণের পরিমাণ ২ লাখ ৮৮ হাজার ৬৯৬ কোটি টাকা (৬১%) এবং দ্বিপাক্ষিক ঋণের পরিমাণ ১ লাখ ৮৩ হাজার ২০৭ কোটি টাকা (৩৯%)।

অর্থ বিভাগ থেকে বলা হয়েছে, সরকারের ঋণ ব্যবস্থাপনার মান উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট অংশীদারদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে বিদ্যমান ‘মধ্য মেয়াদি ঋণ ব্যবস্থাপনা কৌশল’ আরো আধুনিকায়ন করা হবে এবং আঙ্কটাড-এর কারিগরি সহায়তায় অর্থ বিভাগে ‘ডেট ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল এনালাইসিস সিস্টেম’ নামে একটি কাস্টমাইজ ডাটাবেজ স্থাপন করা হবে। এছাড়া সরকারের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ ঋণ পরিস্থিতি আলোচনা ও বিশ্লেষণ, ঋণ গ্রহণের চ্যালেঞ্জগুলো চিহ্নিত করা এবং এ সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ গ্রহণে আগামীতে একটি ‘ঋণ সম্মেলন’-এর আয়োজন করা হবে। এটি চলতি বছরের শেষ দিকে অনুষ্ঠিত হতে পারে।

 


আরো সংবাদ



premium cement
বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ভিক্ষুক, মোট সম্পত্তি ৭.৫ কোটি ভারতের কোভ্যাক্সিনেও রয়েছে দীর্ঘমেয়াদি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ইসরাইল সরকারে ভয়াবহ দ্বন্দ্ব : নেতানিয়াহুকে গাঞ্জের পদত্যাগের আলটিমেটাম রাফায় ইসরাইলি হামলা, সরে যেতে বাধ্য হয়েছে ৮ লাখ ফিলিস্তিনি চেন্নাইকে বিদায় করে বেঙ্গালুরুর ‘অবিশ্বাস্য’ প্লে অফ মনের মিনার ভেঙে পড়েনি মার্কিন প্রশাসনের ‘বাকস্বাধীনতা’র মুখোশ শিগগিরই মাগুরায় রেললাইন চালু হবে : রেলমন্ত্রী সংসদ ভবনের সামনে স্বেচ্ছাসেবক লীগের ২ গ্রুপের সংঘর্ষে ছাত্রলীগকর্মী নিহত জুজুৎসুর সম্পাদকের যৌন নিপীড়নের তথ্য দিলো র্যা ব পানচাষীদের পরিশ্রমের ফসল জিআই স্বীকৃতি : প্রতিমন্ত্রী

সকল