০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`


বৃষ্টি ও জোয়ারে ভাঙছে উপকূলীয় বাঁধ

খুলনার কয়রায় বেড়িবাঁধ ভেঙে পানি ঢুকছে গ্রামে : নয়া দিগন্ত -

নিম্নচাপের প্রভাবে স্বাভাবিকের চেয়ে অতিরিক্ত বৃষ্টি ও জোয়ারের কারণে বরিশাল ও খুলনা বিভাগের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। উপকূলীয় বেড়িবাঁধগুলো ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। কিছু বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করেছে। ডুবে গেছে ফসলি জমি ও বসতবাড়ি। পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস সংক্ষিপ্ত করে ছুটি দেয়া হচ্ছে। বন্ধ রাখা হয়েছে অভ্যন্তরীণ নৌচলাচল।
খুলনা ব্যুরো জানায়, খুলনার উপকূল অঞ্চলে গতকাল রোববারও সারাদিন থেমে থেমে বৃষ্টি হয়েছে। তবে বাতাসের গতিবেগ বাড়ছিল। একই সাথে নদীতে জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে বৃদ্ধি পায়। এতে উপকূলীয় বেড়িবাঁধগুলো ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। উপকূলীয় অঞ্চল, বিশেষ করে কয়রা উপজেলার মানুষ আতঙ্কে সময় কাটাচ্ছেন।
কপোতাক্ষ, শাকবাড়িয়া ও কয়রা নদী ঘিরে আছে উপকূলীয় এ খয়রা উপজেলা। কয়েক দিন ধরে শুরু হয়েছে থেমে থেমে বৃষ্টি। জোয়ারের পানি স্বাভাবিক উচ্চতার চেয়ে ২-৩ ফুট বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত শনিবার দুপুরের জোয়ারে উপজেলার দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়নের কপোতাক্ষ নদীর জোয়ারের চাপে চরামুখা গ্রামের রিং বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে। তাৎক্ষণিক স্থানীয় জনগণ ভেঙে যাওয়া বাঁধ নির্মাণ করলেও গতকাল রোববার দুপুরের জোয়ারে আবারো ভেঙে প্লাবিত হয়। কয়রা সদর ইউনিয়নের ২ নম্বর কয়রা গ্রামের পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধের স্লুইসগেটের পাশ দিয়ে চুঁইয়ে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করছে। উত্তর বেদকাশি ইউনিয়নের কাঠকাটা-হরিহরপুর সড়কের দুই জায়গায় বেড়িবাঁধের নাজুক অবস্থা। জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। মহারাজপুর ইউনিয়নের মঠবাড়ি লঞ্চঘাট ও সুতির বাজার স্লুইসগেটে শাকবাড়িয়া নদীর জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বাঁধ ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী বলেন, নদীতে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বাঁধ ভেঙে দক্ষিণ বেদকাশি, চরামুখা, বিনাপানি, পদ্মপুকুর, হুলুদবুনিয়া, উত্তর চরামুখা ও পাতাখালীর গ্রামের আংশিক প্লাবিত হয়েছে। শত শত পরিবার পানিবন্দী অবস্থায় মানবিক বিপর্যয়ের মধ্যে দিনাতিপাত করছে।
পাউবোর আমাদী সেকশন কর্মকর্তা মশিউল আবেদীন বলেন, ভেঙে যাওয়া বাঁধ মেরামতের জন্য চেষ্টা চলছে।


ঝালকাঠি সংবাদদাতা জানান, ঝালকাঠির বিষখালী ও সুগন্ধাসহ সব ক’টি নদীর জোয়ারের পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এসব নদীর জোয়ারের পানি ও প্রবল বৃষ্টির কারণে স্বাভাবিকের চেয়ে ৩-৪ ফুট পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার চারটি উপজেলার অর্ধশত গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে হাজার হাজার মানুষের দুর্ভোগ ও আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটছে। গতকাল রোববার সকাল থেকে মুষলধারে বৃষ্টি ও বিষখালী, হলতা ও সুগন্ধা নদীর উঁচু জোয়ারের পানিতে ৫০টি গ্রাম তলিয়ে যায়। ফলে কৃষি-মৎস্যসহ গ্রামের কাঁচা ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাটের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় ক্লাস সংক্ষিপ্ত করে ছুটি দেয়া হচ্ছে।
জোয়ারের পানিতে জেলার কাঁঠালিয়া উপজেলার আউড়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৪৪টি ঘর পানিতে ভাসছে। ২-৩ ফুট পানির নিচে তলিয়ে গেছে এসব ঘর। অন্য দিকে উপজেলা পরিষদ ভবন, ইউএনওর অফিস ও বাসভবন ৩ ফুট পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এতে অফিসের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। শৌলজালিয়া ইউনিয়নের কচুয়ার ডালির খালের বাধ ভেঙে গেছে। ফলে ওই এলাকার ফসলের মাঠ, রাস্তা ও কয়েকটি গ্রাম পানিতে তলিয়ে গেছে। আমুয়া বন্দরের মূল বাজার পানিতে তলিয়ে গেছে। ফলে বাজারের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। পানিতে প্লাবিত হয়েছে কাঁঠালিয়া উপজেলার ২১টি গ্রাম। ঝালকাঠি সদর ৮টি, নলছিটি ৯টি ও রাজাপুরের ১১টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
আমতলী (বরগুনা) সংবাদদাতা জানান, লঘুচাপের প্রভাবে অতিবর্ষণ ও পূর্ণিমার জোতে পায়রা নদীতে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫৯ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়ে উপকূলীয় অঞ্চল আমতলী ও তালতলীর চর ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। আমতলী পায়রা নদীর ফেরির গ্যাংওয়ে তলিয়ে যানবাহন ও মানুষ চলাচলে বিঘœ সৃষ্টি হচ্ছে। তলিয়ে গেছে আমতলী পৌর শহরের বিভিন্ন সড়ক। আউশের ধান ও আমনের বীজতলা পানির নিচে তলিয়ে গেছে। দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। অতিবর্ষণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছে দুই উপজেলার অন্তত তিন লক্ষাধিক মানুষ।


কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, আমতলী ও তালতলী উপজেলার ৩৬ হাজার ৩০০ হেক্টর আবাদি জমি পানিতে তলিয়ে থাকায় চাষাবাদ বন্ধ রয়েছে।
জানা গেছে, উপজেলার গুলিশাখালী, কুকুয়া, আঠারোগাচিয়া, হলদিয়া, চাওড়া, আমতলী সদর ও আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের সব আউশ ধানের ক্ষেত ও আমনের বীজতলা পানিতে তলিয়ে গেছে। জলকপাটগুলো দিয়ে পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় জলাবদ্ধতা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। এ ছাড়া তালতলীর নিশানবাড়িয়া, ফকিরহাট, সোনাকাটা, নিদ্রাসকিনা, তেতুঁলবাড়িয়া, আশার চর, নলবুনিয়া, তালুকদারপাড়া, চরপাড়া, গাবতলী, মৌপাড়া, ছোটবগী, জয়ালভাঙ্গা, পঁচাকোড়ালিয়া ও আমতলীর ঘোপখালী, বালিয়াতলী, পশুরবুনিয়া, আড়পাঙ্গাশিয়া, পশ্চিম আমতলী, ফেরিঘাট, পুরনো লঞ্চঘাট, আমুয়ার চর, পানি উন্নয়ন বোর্ড, আঙ্গুরকাটা, গুলিশাখালী ও হরিদ্রবাড়িয়া নিম্নাঞ্চল পানিতে প্লাবিত হয়েছে।
বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নুরুল ইসলাম বলেন, চর ও নিম্নাঞ্চল তলিয়ে গেলেও বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে পানি ভেতরে পানি প্রবেশ করেনি। ঝুঁকিপূর্ণ বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ আগেই সংস্কার করা হয়েছে।


বেতাগী (বরগুনা) সংবাদদাতা জানান, বরগুনার বেতাগীর পৌর শহরসহ ইউনিয়নগুলোর নিম্নাঞ্চল পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে এ উপজেলার পাঁচ হাজার পরিবারের ৪০ হাজার মানুষ পানিবন্দী রয়েছে। বঙ্গোপসাগরের লঘুচাপের কারণে গত কয়েক দিনের একটানা বর্ষণ ও পূর্ণিমার জোতে বিষখালীর অস্বাভাবিক পানিতে পৌর শহরের বাজার ও উপজেলার ইউনিয়নগুলোর নিম্নাঞ্চল তলিয়ে গেছে। সরিষামুড়ি ইউনিয়নের ষাটোর্ধ্ব আবুল কালাম বলেন, পানি জোয়ারে এলেও ভাটির সময় কমে যায়। নিম্নাঞ্চলের কিছু কিছু এলাকা কয়েক দিন ধরে পানির নিচে তলিয়ে গেছে, এসব জায়গার পানি কমে না, একই অবস্থায় থাকে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুহৃদ সালেহীন বলেন, প্রশাসনের মনিটরিং টিম মাঠে কাজ করছে। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পেলে স্বেচ্ছাসেবক দল সেখানে কাজ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) সংবাদদাতা জানান, লঘুচাপের প্রভাবে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের পায়রা ও শ্রীমন্ত নদীর জোয়ারের পানিতে উপজেলার নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়েছে। গতকাল সকাল থেকে টানা বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে ৪১/৭ নম্বর পোল্ডারের মেন্দিয়াবাদ গ্রামের মল্লিক বাড়ির সংলগ্ন পায়রা নদীর বাঁধ ভেঙে গেছে। মাধবখালী ইউনিয়নের রামপুর বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করছে। এ ছাড়াও শ্রীমন্ত নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে বাঁধ ভেঙে গেছে।
পটুয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো: শাহ আলম বলেন, ভেঙে যাওয়া বাঁধের তালিকা তৈরি করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। পানি কমলে দ্রুত বাঁধগুলো মেরামত করা হবে।


ভোলা : বাসস জানায়, ভোলায় অভ্যন্তরীণ নৌ রুটের সব যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত এ আদেশ কার্যকর থাকবে বলে জানিয়েছেন ভোলা বিআইডব্লিউটিএর সহকারী পরিচালক মো: শহিদুল ইসলাম। মেঘনার পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার কারণে উত্তাল রয়েছে নদী। মাছ শিকারের সব নৌযানকে নিরাপদে অবস্থান করতে বলা হয়েছে।
ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (ডিভিশন-২) নির্বাহী প্রকৌশলী মো: হাসান মাহমুদ জানান, শনিবার মেঘনার পানি বিপদসীমার ৯১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। রোববারও বিপদসীমার ওপর দিয়ে যাচ্ছে পানি। জেলার সর্বদক্ষিণে মনপুরায় দমকা হাওয়া ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার বেগে প্রবাহিত হচ্ছে। এ ছাড়া অতি জোয়ারে বিভিন্ন নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
ভোলা আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক মো: মনির হোসেন বলেন, শনিবার সকাল ৬টা থেকে রোববার সকাল ৬টা পর্যন্ত জেলায় ২ দশমিক ৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। রোববার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত রেকর্ড করা হয়েছে ১৯ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত। সোমবারও বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
বরিশাল ব্যুরো জানায়, টানা বৃষ্টি ও নদীর জোয়ারের পানিতে নিম্নাঞ্চল তলিয়ে যাওয়ায় অনেকটাই বিপর্যস্ত নদীবেষ্টিত বরিশাল তথা দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ। ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক চলাফেরা। অতি প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘরের বাইরে বের না হওয়ায় রাস্তাঘাট গতকাল ছিল অনেকটাই ফাঁকা। সড়ক ও নৌপথে চলাচলরত যানবাহনগুলোতেও নেই যাত্রীদের ভিড়।
আবহাওয়া অফিস বলছে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে রোববার সকাল থেকেই বরিশালে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। কখনো মুষলধারে আবার কখনো মাঝারি ও হালকা বৃষ্টি হচ্ছে এ অঞ্চলে। সেই সাথে আগামী ৪৮ ঘণ্টায় বজ্রসহ আরো বৃষ্টিপাত হওয়ারও শঙ্কা রয়েছে।
বরিশাল আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক মাহফুজার রহমান জানান, রোববার সকাল থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত ২৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে বরিশালে। এ সময়কালে বাতাসের গতিবেগ ছিল সর্বোচ্চ ১৮ কিলোমিটার। বৈরী আবহাওয়ার কারণে বরিশাল অঞ্চলের নদীবন্দরগুলোকে ২ নম্বর নৌহুঁশিয়ারি সঙ্কেত আর পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসঙ্কেত দেখানো হয়েছে।


এ ছাড়া বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা, বরগুনা, পিরোজপুর, ঝালকাঠি এবং এসব জায়গার অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ২ থেকে ৪ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
এ দিকে দক্ষিণাঞ্চলের প্রায় সব নদ-নদীর পানি গতকালও বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ নিয়ে টানা ৫ দিন ধরে দক্ষিণাঞ্চলের নদ-নদীর পানি জোয়ারের সময় বিপদসীমা অতিক্রম করছে। সেই সাথে সকাল থেকে বৃহত্তর মেঘনাসহ বেশির ভাগ নদী বেশ উত্তাল রয়েছে। উত্তাল মেঘনা নদী পাড়ি দিতে গিয়ে দুপুর ১২টার দিকে উলানিয়া লঞ্চঘাট সংলগ্নে ৩২০ টন পাথরসহ একটি বাল্কহেড উল্টে ডুবে গেছে। তবে বাল্কহেডটিতে থাকা ৪ ক্রুকে জীবিত উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড।
বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো: মাসুম জানান, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া, ভারী বৃষ্টি ও পূর্ণিমার প্রভাবে দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করেছে। বিশেষ করে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বিষখালী নদীর পাথরঘাটা স্টেশনে আগের দিনের তুলনায় ২৫ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে। আর পাথরঘাটার বিষখালী নদীর পানি বিপদসীমার ১০০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
এ দিকে টানা বৃষ্টি ও নদীতে অস্বাভাবিক জোয়ারের কারণে বরিশাল নগরের অধিকাংশ এলাকায় রাস্তাঘাটে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। ফলে দুর্ভোগে দিন কাটাচ্ছেন নগরবাসী।


আরো সংবাদ



premium cement