২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

আবারো গত বছরকে ছাড়াল দৈনিক করোনা সংক্রমণ

-

করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর গত বছরের জুলাইয়ের ২ তারিখে সর্বোচ্চ শনাক্ত হয়েছিল চার হাজার ১৯ জন। এছাড়া চার হাজারের ঘর অতিক্রম করেছিল আরো দুই দিন। ১৭ জুন ও ১৯ জুন শনাক্ত হয় যথাক্রমে চার হাজার আটজন এবং চার হাজার ১৪ জন। এরপর থেকে সংক্রমণ হার ও সংখ্যা উভয়ই কমতে থাকে। কিন্তু এ বছরের মার্চের শেষ দিকে এসে সংক্রমণ গত বছরের পরিসংখ্যানকে ছাড়িয়ে যায়। মার্চের ২৯ তারিখে শনাক্ত হয় পাঁচ হাজার ১৮১ জন। এরপর এপ্রিলের ২ তারিখে ইতিহাসের সর্বোচ্চ শনাক্ত হয় সাত হাজার ৬২৬ জন। এরপর তা আবার কমে যেতে শুরু করে। এপ্রিলের মাঝামাঝিতে এনে দৈনিক শনাক্ত চার হাজারের নিচে নেমে যায়। চার হাজারের ওপরে সর্বশেষ শনাক্ত হয় এপ্রিলের ২০ তারিখে। সেদিন শনাক্ত হয়েছিল চার হাজার ৫৫৯ জন। তবে দুই মাস পেরিয়ে এসে দৈনিক শনাক্ত আবারো চার হাজারের ওপর উঠে গেছে। রাজশাহী ও খুলনার পাশাপাশি ঢাকা মহানগরে সংক্রমণের গতি অনেক বেড়ে যাওয়ায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
গতকাল স্বাস্থ্য অধিদফতরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সোমবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরো চার হাজার ৬৩৬ জনের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে; মৃত্যু হয়েছে ৭৮ জনের। এক দিনে শনাক্ত রোগীর এই সংখ্যা গত নয় সপ্তাহের মধ্যে সবচেয়ে বেশি।
এ পর্যন্ত দেশে শনাক্ত রোগীর মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে আট লাখ ৫৬ হাজার ৩০৪ জনে। তাদের মধ্যে ১৩ হাজার ৬২৬ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে এ ভাইরাস। সুস্থ হয়েছেন সাত লাখ ৮৫ হাজার ৪৮২ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ২৭ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৪৮ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯১ দশমিক ৭৩ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৫৯ শতাংশ।
২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৭৮ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ২৩ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১১ জন, রাজশাহী বিভাগে ১৫ জন, খুলনা বিভাগে ১৪ জন, বরিশাল বিভাগে তিনজন, সিলেট বিভাগে দুইজন, রংপুর বিভাগে ৯ জন ও ময়মনসিংহ বিভাগে একজন রয়েছেন। তাদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ৬৩ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ৯ জন ও বাড়িতে ছয়জন মারা গেছেন। মৃত ব্যক্তিদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ষাটোর্ধ্ব বয়সী ৩৯ জন, ৫১-৬০ বছরের মধ্যে ২৩ জন, ৪১-৫০ বছরের মধ্যে আটজন, ৩১-৪০ বছরের নিচে সাতজন, ২১-৩০ বছরের মধ্যে একজন রয়েছেন।
রাজশাহী ব্যুরো জানায়, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে ও করোনা উপসর্গে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত রোববার সকাল ৮টা থেকে গতকাল সোমবার সকাল ৮টার মধ্যে বিভিন্ন সময়ে তারা মারা যান। রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মৃত ১৩ জনের মধ্যে ছয়জন করোনা পজিটিভ ছিলেন। আর ছয়জন ভর্তি ছিলেন করোনার উপসর্গ নিয়ে। এছাড়া একজন করেনা নেগেটিভ হলেও তিনি শ্বাসকষ্টে মারা গেছেন। মৃতদের মধ্যে রাজশাহীর তিনজন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ছয়জন, নাটোরের তিনজন এবং নওগাঁর একজন রয়েছেন। এ নিয়ে চলতি মাসের প্রথম ২১ দিনে রামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মারা গেলেন ২১৬ জন।
এদিকে, ভারত সীমান্তবর্তী জেলা রাজশাহীতে গত ১১ জুন থেকে চলছে ‘বিশেষ লকডাউন’। এরপরও রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মৃত্যুর সংখ্যা কমছে না। সেই সাথে করোনা সংক্রমণে রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে।
বগুড়া অফিস জানায়, টিএমএসএস মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)-এর জয়পুরহাট জেলা শাখার সাবেক সভাপতি ডা: সাইফুল ইসলাম ডেভিড করোনায় আক্রান্ত হয়ে গতকাল সকালে মারা গেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। মরহুমের রূহের মাগফিরাত কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন বগুড়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম মো: সিরাজ এমপি।
এ ছাড়া বগুড়ায় আশঙ্কাজনকভাবে করোনায় মৃত্যু ও শনাক্ত বাড়ছে। তাই শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও সরকারি মোহাম্মাদ আলী হাপসাতালে করোনা রোগী চিকিৎসার কোনো বেড নেই। বেসরকারি টিএমএসএস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বেড ফাঁকা থাকলে ব্যয়বহুল হওয়ার কারণে অনেকেই সেখানে চিকিৎসা নিতে পারছেন না। এদিকে করোনা ছড়িয়ে পড়ায় বগুড়া সদরে সাত দিনের কঠোর বিধিনিষেধ চলছে। প্রশাসন কঠোর নজরদারির কারণে বিধিনিষেধ অনেকটাই প্রতিপালন হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দুই নারীসহ আরো পাঁচজন প্রাণ হারিয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় গত ছয় দিনে মৃত্যু হলো ২১ জনের। এ ছাড়া জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ২১৯ নমুনার ফলাফলে নতুন করে ৮৪ জন করোনায় শনাক্ত হয়েছেন। আক্রান্তের হার ৩৮ দশমিক ৩৫ শতাংশ। গতকাল সোমবার দুপুরে এসব তথ্য নিশ্চিত করে ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা: মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন জানান, এই নিয়ে জেলায় করোনায় আক্রান্ত হলেন ১২ হাজার ৯৫৬ জন, মোট মৃত্যু ৩৫০ জন এবং বর্তমানে করোনায় চিকিৎসাধীন আছেন ৩৯৫ জন।
খুলনা ব্যুরো জানায়, খুলনা বিভাগে ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে বিভাগে ৯৪৫ জনের শরীরে করোনার উপস্থিতি পাওয়া গেছে। গতকাল সোমবার দুপুরে বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক ডা: রাশেদা সুলতানা এ তথ্য নিশ্চিত করেন। খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের দফতর সূত্র জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় খুলনায় তিনজন, কুষ্টিয়ায় তিনজন, ঝিনাইদহে দুইজন, চুয়াডাঙ্গায় একজন, যশোরে একজন, বাগেরহাটে একজন এবং নড়াইলে একজন মারা গেছেন।
চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, চট্টগ্রামে একদিনে করোনায় আক্রান্ত হয়ে চারজন মারা গেছেন। একই সময়ে ৯৯২টি নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৯০ জনের। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্ত ৫৬ হাজার ১৭১ জন। সিভিল সার্জন ডা: সেখ ফজলে রাব্বি জানান, একদিনের ব্যবধানেই চট্টগ্রামে করোনা রোগী বেড়েছে প্রায় ৪০ শতাংশ। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে নগরের ১২৮ জন এবং উপজেলার ৬২ জন।
নাটোর সংবাদদাতা জানান, নাটোরে করোনা আক্রান্ত হয়ে তিনজন ও করোনা উপসর্গে চারজনসহ মোট সাতজন মারা গেছে। একই সময়ে নতুন আক্রান্ত হয়েছে ৭৭ জন। মারা যাওয়া সাতজনের মধ্যে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে আব্দুর রহমান (৬১) এবং লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে জামাত দফাদার (৮৫) নামে দুইজন করোনায় এবং নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে মোশারফ হোসেন (৪৯) ও বাগাতিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ইনসার আলী (৫১) নামে একজন করোনার উপসর্গে মারা গেছে। নাটোরের সিভিল সার্জন ডা: কাজী মিজানুর রহমান জানান, নাটোরে গত ২৪ ঘণ্টায় ২৪৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৭৭ জনের পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। আক্রান্তের হার ৩১ দশমিক ৫৫ শতাংশ। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্ত ২৮২৭ জন। সুস্থ হয়েছেন ১৫৬৬ জন।
ঝিনাইদহ সংবাদদাতা জানান, ঝিনাইদহে গত ২৪ ঘণ্টায় দুইজন মারা গেছে এবং আক্রান্ত হয়েছে ৯৫ জন। আক্রান্তের হার ৪৬.৩৪ শতাংশ। গতকাল সোমবার করোনায় আক্রান্ত হয়ে যারা মারা গেছেন, তারা হলেন মাগুরা জেলার মসিউর রহমান (৪০) ও ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুর মসলেম উদ্দিন (৬০)। ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা: হারুন অর রশিদ জানান, যে হারে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে তাতে পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে। জেলায় এ পর্যন্ত মোট আক্রান্ত হয়েছে তিন হাজার ৪৯১ জন। সুস্থ হয়েছে দুই হাজার ৮৭৬ জন। মারা গেছে ৬৮ জন।
দিন দিন করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় মানুষের মধ্যে দেখা দিয়েছে আতঙ্ক। জেলার বেশির ভাগ মানুষ স্বাস্থ্যবিধি না মেনে চলাচল করা ও মাস্ক না পরার কারণে বৃদ্ধি পাচ্ছে করোনা সংক্রমণ। গত শনিবার থেকে চলা সাত দিনের জন্য স্থানীয় প্রশাসন ছয়টি পৌরসভাতে কঠোর বিধিনিষেধ জারি করেছে। সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও যানবাহন বন্ধ রাখার ঘোষণা দিলেও নিয়ম না মানার কারণে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ।
মিরসরাই (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা জানান, মিরসরাইয়ে বাড়ছে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। চলতি মাসের ৩ জুন থেকে ১৮ জুন পর্যন্ত উপজেলায় ১৩৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। যার মধ্যে ৪৬ জনের করোনা পজিটিভ ফলাফল এসেছে। সর্বশেষ গত ১৮ জুন পাঠানো ১৫ জনের নমুনার মধ্যে ১০ জনের পজিটিভ ছিল। তবে উপজেলাতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর মধ্যে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের রোগী আছে কি না সে বিষয়ে কোনো তথ্য নেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো: মিজানুর রহমান বলেন, মিরসরাইতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। প্রতিদিন ১৫-২০টি সংগৃহীত নমুনার মধ্যে ৮-৯ জনের পজিটিভ রিপোর্ট আসছে। করোনা রোগীদের জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৬টি বেড নিয়ে একটি আইসোলেশন ইউনিট প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
গাইবান্ধা সংবাদদাতা জানান, গাইবান্ধায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে নতুন করে ১২ জন শনাক্ত হয়েছে। তবে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নানা উপসর্গে সন্দেহজনকভাবে ১২ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। জেলায় সর্বমোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৮৮২ জন। এর মধ্যে ২০ জন মারা গেছে। সিভিল সার্জন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
পঞ্চগড় সংবাদদাতা জানান, পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে গতকাল সোমবার আফরোজা আক্তার (৩৬) নামে এক মাদরাসাশিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে। তিনি ওই এলাকার খারিজা ভাজনি দাখিল মাদরাসার সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। গত ১৬ জুন তার শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এরপর থেকে তাকে হোম আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছিল। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তার মৃত্যু হয়। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত রোববার সর্বমোট ২৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে আরো পাঁচজনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে গতকাল সোমবার সকাল পর্যন্ত জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৮৯৬ জন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৮২১ জন। এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২১ জন।
সাতক্ষীরা সংবাদদাতা জানান, করোনা উপসর্গ নিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সাতক্ষীরা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দুই নারীসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। গত রোববার ভোর থেকে রাত সাড়ে ৯টার মধ্যে বিভিন্ন সময়ে তারা মারা যান।
করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত ব্যক্তিরা হলেনÑ সাতক্ষীরা শহরের পুরনো সাতক্ষীরা এলাকার এম এ রশিদের স্ত্রী মর্জিনা পারভীন (৫৪), সাতক্ষীরা শহরের রাজারবাগান এলাকার রফিকুল ইসলামের স্ত্রী তাহমিনা বেগম (৫০) ও কামালনগর এলাকার মৃত মেহের আলীর ছেলে এরশাদ হোসেন (৫৫)। এ নিয়ে গত ২০ জুন পর্যন্ত সাতক্ষীরায় করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছে ২৭৪ জন। আর ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ৫৭ জন।
টাঙ্গাইল সংবাদদাতা জানান, টাঙ্গাইলে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৮৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১৬৫ জনের দেহে পাওয়া গেছে করোনাভাইরাসের জীবাণু। জেলায় শনাক্তের হার শতকরা ৪২ দশমিক ৮৫ ভাগ। এই সময়ে মৃত্যু হয়েছে আরো একজনের। তার বাড়ি টাঙ্গাইল সদর উপজেলায়। এ নিয়ে টাঙ্গাইলে করোনায় মারা গেলেন ৯৯ জন। সোমবার সকাল পর্যন্ত জেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলেন ৬ হাজার ২৭৪ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৪ হাজার ৩৯৭ জন। টাঙ্গাইল সিভিল সার্জনের কার্যালয় থেকে এসব তথ্য জানানো হয়। এ দিকে করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে আজ ২২ জুন থেকে আগামী ২৮ জুন পর্যন্ত টাঙ্গাইল ও এলেঙ্গা পৌরসভায় কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে জেলা প্রশাসন।
নোয়াখালী অফিস জানায়, নোয়াখালীতে দিন দিন বেড়ে চলেছে করোনাভাইরাসের প্রকোপ। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় নতুন করে আরো ১০৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। ৪৪৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় এ ফল পাওয়া যায়। শনাক্তের হার ২৩ দশমিক ৪২ শতাংশ। এতে জেলায় মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ২৬৭ জন। মোট আক্রান্তের হার ১০ দশমিক ৮৪ শতাংশ। এ ছাড়া জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২৯ জনে। মৃত্যুর হার ১ দশমিক ২৬ শতাংশ। গতকাল সোমবার সকালে জেলা সিভিল সার্জন ডা: মো: মাসুম ইফতেখার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
দিনাজপুর সংবাদদাতা জানান, দিনাজপুর সদর উপজেলায় চলমান কঠোর লকডাউন আরো সাত দিন বৃদ্ধি করা হয়েছে। ঘোষিত চলমান সাত দিনের কঠোর লকডাউন গতকাল সোমবার শেষ হবার কথা ছিল। কিন্তু গত রোববার রাতে দিনাজপুর জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির বৈঠকে আরো সাত দিন লকডাউন বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সদর উপজেলায় আশঙ্কাজনকভাবে করোনা সংক্রামণ বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন ডা: আব্দুল কুদ্দুস। এ দিকে গতকাল সোমবার দুপুর পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আরো দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। আর নতুনভাবে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১২৩ জন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা পৌঁছেছে ৭ হাজার ৬৬ জনে।


আরো সংবাদ



premium cement