০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`


৬৭ দিন পর আজ শুরু হচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বাভাবিক কার্যক্রম

তফসিলি ব্যাংকে লেনদেন পূর্ণাঙ্গভাবে
-

দুই মাস সাত দিন পর ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রক সংস্থা দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক আজ রোববার থেকে স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু করছে। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যেই তাই উদ্বেগ প্রকাশ করছেন অনেক কর্মকর্তা। অনেকেই বাড়তি নিরাপত্তার জন্য প্রস্তুতি সেরেছেন আগের দিন। পরিবার পরিজনকে উদ্বেগের মধ্যে রেখেই তাই চাকরি রক্ষার্থে অফিসে আসছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা। এ দিকে আজ থেকে তফসিলি ব্যাংকগুলোও তাদের পূর্ণাঙ্গ লেনদেন শুরু করবে। তবে করোনাভাইরাসের মাঝারি ও উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় লেনদেন চলবে সকাল ১০টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত।
জানা গেছে, সর্বশেষ দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা স্বাভাবিক অফিস করেছিলেন ২৪ মার্চ। এর পর সাপ্তাহিক ছুটির সাথে করোনাভাইরাসের কারণে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। তারপর ধাপে ধাপে সাধারণ ছুটির মেয়াদ বাড়ানো হয়। কিন্তু সাধারণ ছুটির মেয়াদ আর বর্ধিত না করায় আজ থেকে স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু করতে হবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকারদের।
এ দিকে, করোনাভাইরাসে আক্রান্তের হার কমছে না। এরই মধ্যে অফিসে আসতে হবে এটা অনেকের কাছেই উদ্বেগের কারণ হিসেবে দেখা দিয়েছে। তাই চাকরি রক্ষার্থে বাড়তি সতর্কতা হিসেবে নানা সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন অনেকেই। গতকাল এমনি এক কর্মকর্তা উদ্বেগ প্রকাশ করে জানিয়েছেন, কিভাবে অফিসে যাবেন, পথে সামাজিক দূরত্ব বজায় থাকবে কি না এ নিয়ে উদ্বিগ্ন আছেন। এরপরও চাকরি রক্ষার্থে অফিসে আসতে হবে। এ জন্য তিনি বাড়তি সতর্কতা হিসেবে প্রতিরোধকমূলক পোশাক কিনেছেন। অনেকটা পরিবারের অমতেই এবং তাদেরকে উদ্বেগের মধ্যে রেখেই অফিসে আসতে হচ্ছে।
অপর এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ব্যাংকগুলো তাদের কর্মকর্তাদের নানা নিরাপত্তামূলক পোশাকের ব্যবস্থা রেখেছেন। কিন্তু কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে এমন কোনো ব্যবস্থা রাখা হয়নি তার কর্মকর্তাদের জন্য। তবে, যেহেতু দীর্ঘদিন পর আজ অফিস খুলছে, সে জন্য কর্তৃপক্ষ এ বিষয়টি নিয়ে ভাববেন এটাই তাদের প্রত্যাশা।
এ দিকে সাধারণ ছুটির মধ্যে সীমিত পরিসরে ব্যাংক লেনদেন হয়েছে। অনেক ব্যাংক কিছু শাখা বন্ধ রেখে আর কিছু খুলে লেনদেন করেছে। কিন্তু সাধারণ ছুটির মেয়াদ না বাড়ানোয় আজ থেকে পূর্ণাঙ্গ ব্যাংক লেনদেন হবে। অর্থাৎ আগের মতো ১০টা ৬টা পর্যন্ত ব্যাংক খোলা থাকবে। আর ব্যাংক লেনদেন হবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। তবে করোনাভাইরাসের মাঝারি ও উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় লেনদেন চলবে সকাল ১০টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত।
ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তি, কর্মকর্তা, সন্তানসম্ভবা গ্রাহক ও কর্মকর্তাদের ব্যাংকে যাওয়া যাবে না। কর্মকর্তাদের নিজ দায়িত্বে সীমিত যানবাহনে যাতায়াত করতে হবে।
এ বিষয়ে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এক সার্কুলার জারি করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ব্যাংকের শাখা প্রতি কর্মদিবসে খোলা রাখতে হবে। শ্রমঘন শিল্প এলাকায় সব ব্যাংক শাখা খোলা রাখতে হবে। সমুদ্র, স্থল ও বিমানবন্দর (পোর্ট ও কাস্টমস) এলাকায় ব্যাংকের শাখা ও বুথ স্থানীয় প্রশাসনের সাথে আলোচনা করে সপ্তাহের সাত দিন ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে। ঢাকার মতিঝিল ও দিলকুশা এবং চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ ও আগ্রাবাদ এলাকায় সব ব্যাংকের সব শাখা প্রতি কর্মদিবসে খোলা থাকবে। শ্রমঘন শিল্প এলাকায় সব ব্যাংক শাখা খোলা থাকবে আগের নিয়মে। সমুদ্র, স্থল ও বিমানবন্দর (পোর্ট ও কাস্টমস) এলাকায় ব্যাংকের শাখা ও বুথ স্থানীয় প্রশাসনের সাথে আলোচনা করে সপ্তাহের সাত দিন ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখতে হবে। তবে করোনাভাইরাস সংক্রমিত মাঝারি ও উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় লেনদেন সকাল ১০টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত চলবে। অন্যান্য কার্যক্রম সম্পন্ন করার জন্য খোলা থাকবে ৪টা পর্যন্ত।


আরো সংবাদ



premium cement
গ্রিড লাইনের ত্রুটিতে সিলেট বিভাগে বিদ্যুৎ সরবরাহে বিঘ্ন ভুক্তভোগী নারী ও তার পাশে দাঁড়ানো ব্যক্তিদের হয়রানির প্রতিবাদ বাড্ডায় নারীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার কথিত স্বামী পলাতক গ্রেফতারকৃতদের পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ করবে খতমে নবুওয়ত ঝিনাইদহ-১ আসনে উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নায়েব আলী জাতীয় গ্রিডে ত্রু‌টি, সিলেট বিভাগে বিদ্যুৎ বিপর্যয় ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীদের জন্য ঢাবিতে নিয়মিত ২০ আসন বরাদ্দ রেকর্ড গড়ে সাদিক খান আবারো লন্ডনের মেয়র আগামী ২ মাসের মধ্যে ভাঙ্গা-খুলনা-যশোর পর্যন্ত ট্রেন চালু হবে : জিল্লুল হাকিম ফতুল্লায় ব্যবসায়ী অপহরণ, গ্রেফতার ৭ তাপদাহের কারণে গোসল করতে গিয়ে কলেজছাত্রের মৃত্যু

সকল