প্রবাসী বাংলাদেশীরা দূতাবাসের মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) পেতে যাচ্ছেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে উদ্যোগ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সাথে যোগাযোগ করেছে। নির্বাচন কমিশন এ প্রস্তাবে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে।
গতকাল নিজ মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্দুল মোমেন এ কথা জানান। তিনি বলেন, এনআইডি না থাকার কারণে প্রবাসীরা বাংলাদেশে এসে ব্যাংকসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে অনেক কাজের জন্য সমস্যায় পড়েন। অল্প সময় বাংলাদেশে অবস্থানের কারণে তাদের পক্ষে এনআইডি পাওয়ার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা সম্ভব হয় না। তাই বিদেশে অবস্থানকালে সংশ্লিষ্ট দূতাবাসের মাধ্যমে পাসপোর্টের মতো এনআইডি পাওয়ার দাবি তাদের রয়েছে। এটিকে বিবেচনায় নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নির্বাচন কমিশনের সাথে যোগাযোগ করে ইতিবাচক সাড়া পেয়েছে। বিষয়টি নির্বাচন কমিশন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখছে।
তিনি বলেন, পাসপোর্টের ক্ষেত্রে প্রবাসীদের বায়োমেট্রিকসহ অন্যান্য তথ্য দূতাবাসের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে অনাপত্তিপত্র পাওয়ার পর দূতাবাসের মাধ্যমেই পাসপোর্ট ইস্যু করা হয়। একই পদ্ধতিতে আমরা এনআইডির জন্য প্রবাসীদের প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করতে পারি। এরপর নির্বাচন কমিশনের ইস্যু করা এনআইডি দূতাবাসের মাধ্যমেই বিতরণ করা যাবে। এতে এনআইডি পাওয়া প্রবাসীদের জন্য সহজ হবে।
ব্রুনাই ও কুয়েত দূতাবাসে কয়েকজন প্রবাসীকে নিয়ে সাম্প্রতিক অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, কাশ্মির ইস্যুতে পাকিস্তানিদের সাথে বিক্ষোভে যোগ দিয়ে কাতার প্রবাসী বাংলাদেশীরা সমস্যায় পড়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে বিক্ষোভ-সমাবেশ ভালো চোখে দেখা হয় না। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ড. মোমেন বলেন, আসামের জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) ভারতের অভ্যন্তরীণ ইস্যু, যা তারা বারবার বলছে। তাদের এই অবস্থানের ওপর আমাদের আস্থা রাখতে হবে। তিনি বলেন, আসামে আন্দোলনের পর এনআরসির তালিকা করতেই ভারতের ৩৪ বছর লেগেছে। আর চূড়ান্ত তালিকার ওপর ভিত্তি করে আইনগত পদক্ষেপগুলো শেষ করে এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কত বছর লাগবে তা কেউ বলতে পারে না। এ ছাড়া এনআরসি নিয়ে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিরোধও প্রকট। তবে বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ সতর্ক রয়েছে।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে বন্ধু রাষ্ট্রগুলো থেকে ভালো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা সঙ্কটের সুরাহা না হলে এ অঞ্চলে অস্থিতিশীলতা দেখা দিতে পারে। এ সুযোগে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী শক্তিগুলো ঢুকে পড়লে তা সবার জন্যই অমঙ্গল বয়ে আনবে। আঞ্চলিক দেশগুলোকে নিজেদের স্বার্থেই রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানকে গুরুত্বের সাথে নিতে হবে। তা না হলে রাখাইনকে ঘিরে তাদের অর্থনৈতিক পরিকল্পনাগুলো ভেস্তে যাবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা