১৯ মে ২০২৪, ০৫ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলকদ ১৪৪৫
`


ইসি সচিব জানালেন সেনা মোতায়েন ভোটের ২ থেকে ১০ দিন আগে

-

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণের আগে ২ থেকে ১০ দিনের মধ্যে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাদের উদ্দেশ তিনি বলেন, মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় কোনো ধরনের শোডাউন বরদাশত করা হবে না। উল্লেখ্য, পুনঃতফসিল অনুযায়ী আগামী ৩০ ডিসেম্বর ভোট।
রাজধানীর জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আগারগাঁও নির্বাচন কমিশন ভবনের অডিটোরিয়ামে গতকাল রিটার্নিং অফিসারদের দিকনির্দেশনামূলক সভায় বক্তৃতায় এ মন্তব্য করেন তিনি। অনুষ্ঠানে কমিশনার মাহবুব তালুকদার প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। সভায় অংশ নেন চট্টগ্রাম, সিলেট ও বরিশাল বিভাগের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তারা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সাহসিকতার সাথে কাজ করার নির্দেশ দেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার। তিনি বলেন, কোনো কর্মকর্তা শিথিলতা দেখালে তার বিরুদ্ধে আইনি পদপে নেয়া হবে। আপনাদের দায়িত্বের অবহেলায় এ নির্বাচন যদি প্রশ্নবিদ্ধ হয় তাহলে আন্তর্জাতিকভাবে আমরা মুখ দেখাতে পারব না।
ইসি সচিব বলেন, নির্বাচনের এক সপ্তাহ বা ১০ দিন আগে সেনাবাহিনী ও বিজিবি মোতায়েন করা হবে। তাদের জন্য থাকার ব্যবস্থা থাকতে হবে, সে অনুযায়ী আপনাদের প্রস্তুতি নিতে হবে। কোথায় প্রিজাইডিং অফিসারদের প্রশিণ দেয়া হবে, সেটি এখন থেকে ঠিক করে রাখতে হবে। যেখান থেকে ফলাফল ঘোষণা করা হবে, সেটাও এখন থেকে ঠিক করে রাখতে হবে। আর কোথা থেকে নির্বাচনী মালামাল সরবরাহ করা হবে সেটার ব্যবস্থাও করতে হবে।
হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, গতকাল পল্টনে শোডাউনকে কেন্দ্র করে অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটেছে। এটার যেন পুনরাবৃত্তি না হয়। আচরণবিধি ঠিকভাবে যেন পালন হয় সে দিকে আপনারা নজর রাখবেন। সচিব বলেন, পোস্টার-ব্যানার সরিয়ে ফেলাসহ মাঠের পরিবেশের দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাদের। দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিএনপিসহ জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট সংসদ নির্বাচনে বিচারিক মতা দিয়ে সেনা মোতায়েনের দাবি জানিয়ে এলেও নির্বাচন কমিশন তাতে সাড়া দেয়নি। গত ৮ নভেম্বর প্রথম দফা তফসিল ঘোষণার দিন জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা বলেন, এবার সেনা মোতায়েন হবে আগের মতোই। অর্থাৎ সেনাবাহিনীর বিচারিক মতা থাকবে না। তিনি বলেন, নির্বাচন চলাকালে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে বেসামরিক প্রশাসনকে যথা প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানে ‘এইড টু দ্য সিভিল পাওয়ার’ বিধানের অধীনে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন থাকবে।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি ও ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীর প্রায় ৫০ হাজার সদস্যকে মোতায়েন করা হয়েছিল। আর ২০০১ সালের আগে নির্বাচনে সেনা মোতায়েনসংক্রান্ত কোনো বিধান আরপিওতে ছিল না। তার পরও ১৯৭৩ থেকে এ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত প্রতিটি জাতীয় নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রার দায়িত্বে প্রতিরা বাহিনীর সদস্যদেরও জেলা/থানা/উপজেলা পর্যায়ে পাঠানো হয়েছিল।


আরো সংবাদ



premium cement
দাগনভূঞায় অগ্নিদগ্ধ পরিবারের মাঝে জামায়াতের উদ্যোগে গৃহ নির্মাণ উদ্বোধন ২৫ মে বঙ্গবাজার বিপণিবিতান নির্মাণকাজের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী এখনো নিখোঁজ প্রেসিডেন্ট রাইসি : অনুসন্ধানে ৪০ দল ৫ দফা দাবিতে সারাদেশে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির স্মারকলিপি গাজীপুরে কারখানার ছাদ থেকে পড়ে পোশাক শ্রমিকের মৃত্যু ইসরাইলকে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করুন : বাইডেনকে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী বগুড়ায় তীব্র লোড শেডিং, ২২ শিক্ষার্থী শ্রেণিকক্ষে অসুস্থ গণ-অর্থায়নের মাধ্যমে যেভাবে এভারেস্টের চূড়ায় বাবর আলী ৩২ দিনে ৮ বার বাড়ল স্বর্ণের দাম ইরানি প্রেসিডেন্ট ওই হেলিকপ্টারে ছিলেন না! সফলতার সাথে আমরা ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সক্ষম হয়েছি : মেয়র তাপস

সকল