১৯ মে ২০২৪, ০৫ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলকদ ১৪৪৫
`


বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে নৌ-করিডোর নির্মাণ করছে ভারত

-

বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আট রাজ্যে সহজ যোগাযোগের জন্য নৌপথে নতুন করিডোর নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে ভারত। এ করিডোর নির্মাণে খরচ হবে পাঁচ হাজার কোটি রুপি। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ভারতের মূল ভূখণ্ড থেকে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোতে পণ্য পরিবহনে সময় ও খরচ দুটোই কমবে।
গতকাল ভারতের ইকোনমিক টাইমসের অনলাইন এডিশনে এ খবর দেয়া হয়েছে। এতে বলা হয়, নৌ-করিডোরের দৈর্ঘ্য হবে ৯০০ কিলোমিটার। এই পথ ব্যবহার করে ভারতের অন্যান্য অংশ থেকে নৌযান পাঠানো হবে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোতে। পশ্চিমবঙ্গের হলদিয়া থেকে নৌপথটি শুরু হবে। সুন্দরবন হয়ে তা গিয়ে বাংলাদেশের পদ্মায় মিশবে। তারপর ব্রহ্মপুত্র হয়ে যুক্ত হবে আসামের সাথে।
ভারতের শিপিং সচিব গোপাল কৃষ্ণ বলেছেন, এই প্রকল্পের বিস্তারিত নিয়ে আমরা কাজ করছি। এটা বাস্তবায়ন করা গেলে তা ভারতের মূল ভূখণ্ডের সাথে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর মধ্যে সংযুক্তির ক্ষেত্রে বড় ধরনের অগ্রগতি হবে। আর নৌযান পরিবহনে খরচও অনেক কমে যাবে।
বর্তমানে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর সাথে ভারতের মূল ভূখণ্ডের মহাসড়কের যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যবহারের প্রায় অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। তা ছাড়া সড়কের কারণে পণ্য পরিবহনে খরচ অনেক বেশি পড়ে। সময়ও লাগে অনেক বেশি। মন্ত্রণালয়ের হিসাব মতে, আলোচিত নৌপথ বাস্তবায়ন করা গেলে পণ্য পরিবহন খরচ শতকরা ৭০ ভাগ কমে যাবে ।
এরই মধ্যে হলদিয়া ও এলাহাবাদের মধ্যে গঙ্গা নদীতে ভারত সরকার নৌপথ উন্নয়নের কাজ করছে। এর দৈর্ঘ্য এক হাজার ৬২০ কিলোমিটার। খরচ পড়ছে চার হাজার ৫০০ কোটি রুপি। এই নৌপথ ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্যেও ব্যবহার করা হবে। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে চার হাজার ৯৫ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। এর মধ্যে এক হাজার ১১৬ কিলোমিটার নদীবিধৌত।
গোপাল কৃষ্ণা বলেন, বাংলাদেশ শিপিংয়ের ক্ষেত্রে ভারতের বন্দরগুলো ব্যবহার করার পরিকল্পনা করছে। ট্রান্সশিপমেন্টের প্রাণকেন্দ্র হিসেবে কলম্বো অথবা সিঙ্গাপুরের বিকল্প হিসেবে বাংলাদেশ এখন ভারতের দিকে তাকিয়ে আছে। কলম্বোতে ভারতের কনটেইনার চলাচল উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে। কেননা এসব কাজ এখন ভারতের বন্দরগুলোতেই হচ্ছে।
সম্প্রতি শিপিং মন্ত্রণালয় বিদেশী জাহাজগুলোকে ভারতের বন্দর ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে। সিঙ্গাপুুর ও কলম্বোর বিকল্প হিসেবে ভারতীয় বন্দরগুলোকে আন্তর্জাতিক কার্গো চলাচলের প্রাণকেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যকে সামনে রেখে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সচিব কৃষ্ণা বলেছেন, ট্রান্সশিপমেন্টের প্রাণকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করার জন্য দীর্ঘ মেয়াদে পশ্চিম ও পূর্ব উপকূলে দু’টি বন্দর উন্নয়নের পরিকল্পনা নিয়েছে ভারত।


আরো সংবাদ



premium cement
বিচারের আগে ‘মিডিয়া ট্রায়াল’ নয় : আইজিপি ভালুকায় কারখানা শ্রমিদের মহাসড়ক অবরোধ উলামাদের ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা পালন করতে হবে : রফিকুল ইসলাম খান উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অস্ত্রসহ আরসার ৪ সদস্যসহ গ্রেফতার লটারিতে মোটরসাইকেল জিতছে মা, সংসার ভাঙল মেয়ের আমাদেরকে পরকালের জন্য তৈরি হতে হবে : অ্যাডভোকেট জুবায়ের ওমানে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে পরোক্ষ আলোচনা ইরানের দক্ষতা অর্জন করে নিজেদের মানকে উন্নত করতে হবে : আবদুল হালিম বঙ্গোপসাগরে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শুরু মধ্য রাতে, চিন্তিত জেলেরা ভোটে জেতার ৬ মাসের মধ্যেই আজাদ কাশ্মিরকে ভারতের অংশ বানাতে চান যোগী পোরশায় অটোরিকশার ধাক্কায় শিশু নিহত

সকল