০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`


ইউক্রেনে হাইপারসনিক মিসাইল ব্যবহার করেছে রাশিয়া

ইউক্রেনে হাইপারসনিক মিসাইল ব্যবহার করেছে রাশিয়া - ছবি : সংগৃহীত

বৃহস্পতিবার ভোররাতের হামলায় রাশিয়া ইউক্রেনের উপর বিরল ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট রাশিয়ার পরমাণু শিল্পক্ষেত্রের উপর পশ্চিমা বিশ্বের নিষেধাজ্ঞার আহ্বান জানিয়েছেন।

বেশ কয়েক সপ্তাহের বিরতির পর বৃহস্পতিবার ভোররাতে ইউক্রেনের বিভিন্ন প্রান্তে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কমপক্ষে নয় জন নিরীহ মানুষ নিহত হয়েছেন। অসংখ্য ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ধ্বংস করা সম্ভব হলেও সব হামলা প্রতিহত করা সম্ভব হয়নি। ইউক্রেনের
সেনাবাহিনীর সূত্র অনুযায়ী রাশিয়া বৃহস্পতিবারের হামলায় ছয়টি কিনজাল হাইপারসনিক ক্রুজ মিসাইল ব্যবহার করেছে। যেগুলো থামানোর কোনো উপায় ছিল না। রাশিয়াও এমন ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের কথা স্বীকার করেছে। ওই দেশের হাতে সীমিত সংখ্যক কিনজাল রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, দখলদারী শক্তি শুধু বেসামরিক জনগণের মধ্যে সন্ত্রাস সৃষ্টি করতে পারে। একমাত্র সেটাই তারা করতে পারে। কিন্তু তাতে কোনো কাজ হবে না। যাবতীয় কৃতকর্ম সম্পর্কে রাশিয়া দায়িত্ব এড়াতে পারবে না বলেও জানান তিনি।

তিনি আরো জানান, রাশিয়া এ দিন মোট ৮১টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। রাশিয়া অবশ্য নিরীহ মানুষকে লক্ষ্যবস্তু করার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। গত সপ্তাহে রাশিয়ার ভূখণ্ডের উপর হামলার প্রতিশোধ নিতেই নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুর উপর সফলভাবে হামলা চালানো হয়েছে বলে মস্কো দাবি করছে। ইউক্রেনের পশ্চিমে পোল্যান্ড সীমান্তের কাছে লভিভ অঞ্চলেও হামলা ঘটেছে। মার্কিন প্রশাসন বৃহস্পতিবারের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কড়া সমালোচনা করে ইউক্রেনের প্রতিরোধ ক্ষমতা আরো জোরালো করতে আরো এয়ার ডিফেন্স সরঞ্জাম সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

ইউক্রেনের জাপোরিজিয়ায় ইউরোপের সবচেয়ে বড় পরমাণু কেন্দ্রে মারাত্মক দুর্ঘটনা এড়ানো আপাতত সম্ভব হয়েছে। ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কারণে সেখানে বিদ্যুৎ সরবরাহ সাময়িকভাবে বিচ্ছিন্ন হবার পর কেন্দ্রটিকে আবার গ্রিডের সাথে সংযুক্ত করা সম্ভব হয়েছে। যুদ্ধের শুরু থেকে রাশিয়া নিয়ন্ত্রিত এলাকার এই কেন্দ্রে বারবার বিপর্যয়ের আশঙ্কা করা হচ্ছে।

আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা আইএইএ সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, বার বার হামলা সত্ত্বেও কেন্দ্রটি এখনো বেঁচে গেলেও যেকোনো সময় মারাত্মক বিপর্যয় ঘটে যেতে পারে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট টেলিফোনে ইইউ কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডেয়ার লাইয়েনের সাথে কথা বলেন এবং পশ্চিমা বিশ্বের উদ্দেশে রাশিয়ার পরমাণু শিল্প ক্ষেত্রের উপর নিষেধাজ্ঞা চাপানোর ডাক দেন।

লাইয়েনের মতে, কোনো সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্রের হাতে বিশ্বের অন্য কোথাও পরমাণু স্থাপনাকে সন্ত্রাসের হাতিয়ার করার সুযোগ দেয়া চলে না। উল্লেখ্য, পরমাণু শক্তির ক্ষেত্রে পশ্চিমা বিশ্ব রাশিয়ার উপর এতটাই নির্ভরশীল যে, এখনো পর্যন্ত কেনো ওই দেশের উপর কোনো নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়নি।

এ দিকে বাখমুত শহরে ইউক্রেন ও রাশিয়ার সৈন্যদের মধ্যে অবিরাম সংঘর্ষ চলে আসছে। রাশিয়া শহরের কিছু দিক ঘিরে ফেললেও ইউক্রেনের বাহিনীর প্রবল প্রতিরোধের কারণে তারা গোটা শহর কবজা করতে পারছে না।

সূত্র : ডয়চে ভেলে


আরো সংবাদ



premium cement
ইসরাইলগামী সকল জাহাজে হামলার হুমকি হাউছিদের কংগ্রেস সর্বোচ্চ চেষ্টা করেও ৫০ আসন পাবে না : মোদি প্যারিসের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফিলিস্তিনিপন্থী শিক্ষার্থীদের সরিয়েছে পুলিশ চুক্তিতে সম্মত হতে হামাসকে ৭ দিনের আল্টিমেটাম ইসরাইলের গফরগাঁওয়ে লরিচাকায় পিষ্ট হয়ে নারী নিহত রোহিঙ্গা গণহত্যা : মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলার দ্রুত নিরসনে আশাবাদী বাংলাদেশ-গাম্বিয়া দোয়ারাবাজারে মইন হত্যাকারীদের গ্রেফতার দাবিতে বিক্ষোভ সাংবাদিকদের সুরক্ষায় প্রতিটি দেশের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বান জলবায়ু সঙ্কট মোকাবেলায় অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন জোরদারের আহ্বান এডিবি প্রেসিডেন্টের মিরসরাইয়ে তীব্র তাপদাহে মরছে মাছ : লোকসানের মুখে চাষিরা মহেশখালীতে ত্রিমুখী লড়াইয়ের সম্ভাবনা, এগিয়ে জয়নাল

সকল