৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫
`


অতিরিক্ত সামরিক ও অভ্যন্তরীণ ব্যয় মেটাতে হিমশিম জার্মানি

অতিরিক্ত সামরিক ও অভ্যন্তরীণ ব্যয় মেটাতে হিমশিম জার্মানি। - ছবি : সংগৃহীত

ইউক্রেন যুদ্ধ জার্মানির মতো দেশের জন্য ব্যয়বহুল হয়ে দাঁড়িয়েছে। অতিরিক্ত অর্থ জোগাড় করার পাশাপাশি সরকারকে ভাবতে হচ্ছে অর্থ সমাজকল্যাণে নাকি আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার জন্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ। জার্মানিরা তাদের ব্যয় মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে।

ইউক্রেন যুদ্ধ ও অভ্যন্তরীণ খরচ মেটাতে জার্মান জোট সরকার প্রতিকূল অবস্থার মুখোমুখী হয়েছে।

মার্চের মাঝামাঝি সময়ে অর্থমন্ত্রী ক্রিশ্চিয়ান লিন্ডনার ২০২৪ সালের ফেডারেল বাজেটের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো উপস্থাপন করবেন বলে আশা করা যাচ্ছে। এর মধ্য দিয়ে তিনি তার অন্যতম নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করতে চান। এগুলো হলো সংবিধানে উল্লিখিত তথাকথিত ঋণ বিরতি পুনর্বহাল করা, যা রাষ্ট্রের অর্জিত অর্থের ব্যয়কে সীমিত করে। করোনাভাইরাস মহামারী শুরুর পর এ ঋণ বিরতি বেশ কয়েকবার স্থগিত করা হয়।

গত কয়েক মাস ধরে লিন্ডনার তার সহকর্মীদের সাথে বাজেট নিয়ে আলোচনা করেছেন। আলোচনার বিষয় হচ্ছে ঋণ বিরতি, যা শুধু তখনই করা যেতে পারে যখন সরকার প্রচুর সঞ্চয় করে।

রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করার পর জলবায়ু সুরক্ষার জন্য বরাদ্দকৃত ৬০ বিলিয়ন ইউরো বিশেষ ঋণের ওপর অতিরিক্ত ঋণ নিতে হয়েছিল। এরপর জার্মানকে সশস্ত্র বাহিনীর উন্নতির জন্য ১০০ বিলিয়ন ইউরো ঋণ নিতে হয়। এছাড়াও উচ্চ জ্বালানি খরচ মেটাতে দেশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও জনগণের জন্য ২০০ বিলিয়ন ইউরো আর্থিক সহায়তাও দেয়া হয়েছিল।

এসব ঋণ কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে নেয়া রেকর্ড পরিমাণ ঋণ। সব মিলে সরকারের ওপর এখন ২.৫ ট্রিলিয়ন ইউরো ঋণের পাহাড়। মুদ্রাস্ফীতি ও সুদের হার বৃদ্ধির কারণে ঋণের সুদের অর্থ খুঁজতে হচ্ছে মন্ত্রণালয়কে।

২০২৪ সালের কর রাজস্বের পূর্বাভাস বলছে, অর্জিত রাজস্ব সরকারের বর্তমান চাহিদা পূরণের জন্য যথেষ্ট হবে না।

এরই মধ্যে ১০ লাখ শরণার্থী জার্মানিতে প্রবেশ করেছে এবং আরো আসছে। এত বড় সংখ্যক মানুষের বাসস্থান ও দেখভাল করতে বিলিয়ন বিলিয়ন ইউরো খরচ হয়ে হচ্ছে। যার জন্য প্রাদেশিক ও স্থানীয় সরকারগুলো পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ না পেয়ে সমালোচনা করছে।

এমন পরিস্থিতিতে সামরিক খাতের ব্যয় ব্যাপক হারে বেড়েছে। সামরিক বাহিনীর জন্য প্রতিরক্ষামন্ত্রী আরো ১০ বিলিয়ন ইউরো বরাদ্দ চেয়েছেন।

এসবের সমালোচনা করে তার দলের এক সংসদ সদস্য বলেছেন, আন্তর্জাতিক নীতি বাস্তবায়নের বেলায় মানবিক সহায়তা ও উন্নয়ন অবহেলা করা উচিত নয়।

তাই প্রশ্ন উঠেছে যে আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বেশি গুরুত্বপূর্ণ, নাকি সামাজিক কল্যাণ।

সূত্র : ডয়চে ভেলে


আরো সংবাদ



premium cement
কালবৈশাখীর তাণ্ডবের ২৪ ঘণ্টা পরেও মৌলভীবাজারে মিলছে না বিদ্যুৎ দেশে ৭০ শতাংশ মৃত্যু ঘটছে অসংক্রামক রোগে টিপু-প্রীতি হত্যা মামলায় ৩৩ আসামির বিচার শুরু খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জন্মদিন ও পতাকা অবমাননা মামলার শুনানি ২১ জুলাই মুন্সীগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে শ্রমিক নিহত বেনাপোলে সাড়ে ৪ লাখ টাকার ফেনসিডিল উদ্ধার চট্টগ্রামে হুমায়ূন হত্যার প্রধান আসামি হাসান গ্রেফতার ঢাবি ভিসির সাথে ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের কাউন্সিলরের সাক্ষাৎ চকরিয়ায় জমির বিরোধ কেন্দ্র করে এক বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যা ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা শেষ আজ জেলের ছদ্মবেশে পুলিশের অভিযানে উদ্ধার হলো সাড়ে ১২ লাখ ইয়াবা

সকল