২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`
শুরু হচ্ছে মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ-২০২০

এবার প্রতিযোগিতা হবে বুদ্ধি আর সৌন্দর্যের

-

করোনার কারণে ২০২০ সালের প্রতিযোগিতা হবে-২০২১ সালে। এ কারণেই ‘মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ-২০২০’ প্রতিযোগিতার ঘোষণাটা এলো ২০২১ সালের ১১ জানুয়ারি। এ উপলক্ষে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজন করা হয়েছিল সংবাদ সম্মেলনের। যেখানে আয়োজকদের সাথে উপস্থিত ছিলেন ২০১৯ সালের মিস বাংলাদেশ শিরিন আক্তার শীলা। তিনি বলেছেন, ‘এবারের আয়োজনটা হবে বিউটি প্লাস ব্রেইন নিয়ে। আয়োজনে গত বছর অংশগ্রহণ করে আমার সেরকমটিই মনে হয়েছে। অনেকে মনে করেন, সুন্দরী প্রতিযোগিতা মানে রূপের প্রতিযোগিতা। এই ধারণা সঠিক নয়। পিছিয়ে পড়া নারীদের এগিয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে এ ধরনের প্রতিযোগিত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।’ শীলা বলেন, “ছোট বেলা থেকে অনেক ‘না’ এর মধ্য দিয়ে একটি মেয়ে বড় হতে থাকে। এতে আত্মবিশ্বাস ভেঙে যায়। ভেতরের সুপ্ত প্রতিভার বিকাশের আর সুযোগ হয় না তার। মিস বাংলাদেশ হলো সেই প্রতিযোগিতা যেখান থেকে পিছিয়ে পড়া নারীদের আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর পথ বলে দেয়।” মিস ইউনিভার্সের বিশ্বমঞ্চে প্রথমবার বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করা এই সুন্দরী বলেন, ‘প্রথমবার অংশ নিয়ে খুব বেশিদূর এগিয়ে যেতে পারিনি। এবার যিনি বাংলাদেশের প্রতিনিধি হবেন তিনি অনেকদূর এগিয়ে যাবেন বলে আমার বিশ্বাস। এ ক্ষেত্রে আমার পক্ষ থেকে যতটুকু সম্ভব চেষ্টা করব সহযোগিতা করার।’ এবারের প্রতিযোগিতায় গতবারের প্রধান স্পন্সর ফ্লোরা ব্যাংক এবারো মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশের প্রধান স্পন্সর হিসেবে যুক্ত রয়েছে। প্রতিযোগিতার এবারের মূল স্লেøাগান ‘আমার আত্মবিশ্বাস, আমার সৌন্দর্য’। মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট রফিকুল ইসলাম ডিউক বলেন, ‘বাংলাদেশের অন্যতম বুদ্ধিমতী, মেধাবী ও আত্মবিশ্বাসী তরুণীদের বিশ্ব দরবারে তুলে ধরবে মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ। বাংলাদেশের নারীদের জন্য এটি এমন একটি প্ল্যাটফর্ম, যেখানে তারা তাদের চলার পথে নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলাসহ নানামুখী সামাজিক কার্যক্রমের মাধ্যমে মানবতার সেবায় এগিয়ে আসবে। বর্তমানে নারী নির্যাতন আমাদের সমাজের অন্যতম গুরুতর সমস্যা। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া সম্ভব হবে। এটি আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের একটি বিষয়, এর মাধ্যমে বাংলাদেশের একজন প্রতিনিধি মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তুলে ধরবে এবং প্রমাণ করবে বাংলাদেশের নারীরাও বিশ্বের যেকোনো দেশের নারীদের মতোই আত্মবিশ্বাসী।’ কিন্তু মহামারীর মধ্যে এ ধরনের আয়োজন কতটুকু যুক্তিসঙ্গতÑ নয়া দিগন্তের এমন প্রশ্নের জবাবে রফিকুল ইসলাম ডিউক বলেন, ‘সব ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মেনেই এই আয়োজন করা হচ্ছে। আমাদের অডিশন রাউন্ডের বেশ কিছু পর্ব ভার্চুয়ালি করা হবে। যতটা সম্ভব আয়োজন কুলাহলমুক্ত রাখার চেষ্টা করা হবে। এদিক বিবেচনায় এই মুহূর্তে আয়োজন করার চিন্তাটা সঠিক বলেই আমার মনে হয়। এতে করে মানুষের থমকে যাওয়ার ভীতিটাও দূর হবে। মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশের ওয়েবসাইট ‘মিস ইউনিভার্স ডটকম বিডি’-এর মাধ্যেমে আগামী ১৩ জানুয়ারি থেকে আবেদন নেয়া শুরু হবে এবং ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত আবেদন চলবে। এবার আবেদনের জন্য ফি নির্ধারণ করা হয়েছে এক হাজার টাকা। নিবন্ধন প্রক্রিয়া এবং প্রতিযোগিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ ‘এমইউবাংলাদেশ’ এবং ওয়েবসাইট ‘মিসইউনিভার্স ডটকম বিডি’ থেকে। পর্যায়ক্রমে অডিশনের মাধ্যমে বাছাই এবং গ্রুমিং শেষে মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশের গ্র্যান্ড ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে আগামী মার্চ মাসে। বাংলাদেশ পর্বের বিজয়ী আগামী মে মাসে অংশ নেবেন যুক্তরাষ্ট্রের মূল আয়োজনে।
মিডিয়া কনফারেন্সে উপস্থিত ছিলেন মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট রফিকুল ইসলাম ডিউক, ন্যাশনাল ডাইরেক্টর শফিকুল ইসলাম, আর টিভির প্রধান নির্বাহী সৈয়দ আশিক রহমান, অ্যাডকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজিম ফারহান চৌধুরী, মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ-২০১৯ শিরিন আক্তার শীলা এবং আরো অনেকে। মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশের প্রধান স্পন্সর ফ্লোরা ব্যাংক, সহযোগী পার্টনার আরটিভি, মেকওভার পার্টনার পারসোনা এবং পিআর পার্টনার নর্থবুক কনসালটেন্টস লিমিটেড। উল্লেøখ্য, মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ-২০১৯ সালের গ্র্যান্ড ফিনালের বিচারক ছিলেন মিস ইউনিভার্স-১৯৯৪ এবং বলিউড তারকা সুস্মিতা সেন। এবারের আয়োজনেও উপস্থিত থাকবেন একজন সাবেক মিস ইউনিভার্স।

 


আরো সংবাদ



premium cement