২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

দাদার সুরে নাতনীর প্রথম

-

উপমহাদেশের প্রখ্যাত গীতিকার, চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক, কাহিনীকার গাজী মাজহারুল আনোয়ারের নাতনী আরশিয়ার কণ্ঠে প্রথম মৌলিক গানের রেকর্ডিংয়ের কাজ শেষ হলো গেল ১২ সেপ্টেম্বর। গাজী মাজহারুল আনোয়ারের মেয়ে দিঠি আনোয়ারের বয়স যখন আট ছিল, সেই বয়সে তার বাবাও তার জন্য প্রথম গান লিখেছিলেন এবং সুর করেছিলেন। গাজী মাজহারুল আনোয়ারের ছেলে শরফরাজ মেহেদী উপল ও তার স্ত্রী শাহানা মির্জা আশার একমাত্র সন্তান আরশিয়ার জন্য তার আট বছর বয়সেই দাদা গাজী মাজহারুল আনোয়ার একটি গান লিখে দিলেন এবং সুরও করলেন। গানের কথা হচ্ছে ‘সারেগামা পাধা, আমার দাদী-দাদা, বানাতে চায় শিল্পী আমায় বড়, ফুপ্পি এসে বলে লক্ষ্মীসোনা এবার হারমোনিয়াম ধরো’। গানটির সঙ্গীতায়োজন করেছেন আহমেদ কিসলু। গানটির রেকর্ডিংয়ের সময় আরশিয়ার দাদা-দাদী, মা ও ফুপি উপস্থিত ছিলেন। যেহেতু আরশিয়ার জীবনের প্রথম গান, তাই নিজের প্রথম গান নিয়ে অনেক বেশি উচ্ছ্বাস ছিল তার মধ্যে। ছোট্ট আরশিয়ার মধ্যে গান গাওয়ার প্রবল আগ্রহ যেন দাদা গাজী মাজহারুল আনোয়ারকে দারুণভাবে মুগ্ধ করে। গাজী মাজহারুল আনোয়ার বলেন, ‘আমার মেয়ে দিঠির বয়স যখন আট তখন তার জন্যও আমি গান লিখেছিলাম। এতটা বছর পর আমার ছেলের মেয়ে অর্থাৎ আমার নাতনীর জন্য সেই তার আট বছর বয়সে তাকে প্রথম গান উপহার দিলাম। প্রথম গান হিসেবে আরশিয়ার মধ্যে যে উচ্ছ্বাস ছিল তা আমাকে মুগ্ধ করেছে। সে কেমন গাইল সেই প্রশ্নে আমি যাব না, যারা সত্যিকার অর্থেই গান গাইতে আগ্রহী এবং জেনে বুঝে গান করেন তাদেরকে আমাদের অনুপ্রেরণা দিতে হবে। আরশিয়ার মতো অন্য যারা গান গাইছে তাদেরও অনুপ্রেরণা দিতে হবে যাতে করে একটি প্রজন্ম আগামীতে নিজেদের তৈরি করে নিতে পারে।’ আরশিয়া বলে, ‘আমার খুব ভালো লেগেছে গান গাইতে, আমি আরো অনেক গান গাইতে চাই, সবার দোয়া চাই। আমার দাদার লেখা গান দিয়েই আমার গানের জীবন শুরু, এটাই আমার অনেক বেশি ভালো লাগছে।’ গাজী মাজহারুল আনোয়ার জানান, আপাতত গান রেকর্ডিংয়ের কাজ শেষ হলো। আগামীতে গানটির মিউজিক ভিডিও নির্মাণ শেষে গানটি একটি ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করা হবে। দিঠির বয়স যখন আট তখন তার জন্য গাজী মাজহারুল আনোয়ার লিখেছিলেন ‘আমি আট বছরের মেয়ে, আমায় কাছে পেয়ে হলো ধন্য আমার মা’। আরশিয়ার গানে হাতেখড়ি ওস্তাদ দীলিপ মজুমদারের কাছে। বর্তমানে আরশিয়া গান শিখছে ফেরদৌসী রহমানের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত ‘আব্বাস উদ্দিন সঙ্গীত একাডেমি’তে। এ ছাড়া ফেরদৌসী রহমানের ‘এসো গান শিখি’তেও অংশ নিচ্ছে আরশিয়া। গাজী মাজহারুল আনোয়ার জীবনে প্রথম সুভাষ দত্ত পরিচালিত ‘আয়না ও অবশিষ্ট’ সিনেমায় ‘আকাশের হাতে আছে একরাশ নীল’ গানটি লিখে ১০০ টাকা পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন।


আরো সংবাদ



premium cement