৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫
`


যৌন নিপীড়নের অভিযোগে জবি দুই শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ

গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এ বি এস মাণিক মুনসীক (বামে) ও ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের প্রভাষক আবু শাহেদ ইমন (ডানে) - ছবি : সংগৃহীত

যৌন নিপীড়নের অভিযোগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সাময়িক বরখাস্ত হওয়া একজন শিক্ষককে কেন স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হবে না এবং সাময়িক বরখাস্ত হওয়া অপর এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে কেন বিভাগীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে না সে বিষয়ে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।

বুধবার (৩ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৫তম সিন্ডিকেট সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সভা শেষে এসব বিষয় জানান সিন্ডিকেট সচিব ও রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো: আইনুল ইসলাম।

অধ্যাপক ড. মো: আইনুল ইসলাম বলেন, বিভাগের ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের প্রভাষক আবু শাহেদ ইমনকে কেন স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হবে না তার কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। ছাত্রীর মানসিক অসুস্থতার সুযোগ নিয়ে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের অভিযোগে গণিত বিভাগের সাময়িক বরখাস্তকৃত সহকারী অধ্যাপক এ বি এস মাণিক মুনসীর বিরুদ্ধে কেন বিভাগীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে না সেই কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।

জানা যায়, গত বছরের সেপ্টেম্বরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের এক ছাত্রীর মানসিক পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এ বি এস মাণিক মুনসীকে সব কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেয়া হয় এবং পরবর্তীতে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়৷ এরপর গত ২১ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৪তম (জরুরি ভিত্তিতে ডাকা) সিন্ডিকেট সভায় ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে প্রভাষক আবু শাহেদ ইমনকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়।

উল্লেখ্য, গত ১৬ মার্চ রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সহকারী প্রক্টর এবং এক সহপাঠীর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে আত্মহত্যা করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ সেশনের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরোজ সাদাফ অবন্তিকা। এ ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয় জুড়ে তুমুল আন্দোলন শুরু হয়। তখন শিক্ষার্থীরা বিগত সময়ের বিভিন্ন যৌন নিপীড়নের অভিযোগের বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে।


আরো সংবাদ



premium cement