০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`


শত বছরের অনাবাদি জমিতে ফসল

সারা দেশে এর পুনরাবৃত্তি কাম্য

-


গত বছর এই মৌসুমে যে জমিতে ছিল বিভিন্ন আগাছার স্তূপ, এবার সেই জমি এখন ধানে ভরপুর। শত বছরের অনাবাদি জমিতে সরকারের কৃষি অফিসের সহযোগিতা নিয়ে করা হয়েছে আবাদ। এই অনাবাদি জমিতে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হওয়ায় গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়া উপজেলার শত শত কৃষকের মুখে হাসি। গত বছর উপজেলায় ২৫ হাজার ৫২০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছিল। এ বছর ২৬ হাজার ৪৭০ হেক্টর জমিতে আবাদ করা হয়েছে। অর্থাৎ, এ বছর ৯৫০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ বেড়েছে। এই জমিই শত বছর অনাবাদি ছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় ও কৃষি অফিসের সহযোগিতায় অনাবাদি এ জমিতে বোরো আবাদ করা হয়েছে বলে উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে। ওই ৯৫০ হেক্টর জমির ধান কাটা সম্প্রতি শুরু হয়েছে। কান্দি ইউনিয়নের ধারাবাশাইল বিলে কৃষক সজল বালার ৬৫ শতাংশ জমির ধান রিপার মেশিন দিয়ে কাটা হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফেরদৌস ওয়াহিদ প্রধান অতিথি থেকে ধান কাটা উদ্বোধন করেন। উপজেলা কৃষি অফিসার বিটুল রায়, কান্দি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মনীন্দ্রনাথ রায়, কান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তুষার মধুসহ কৃষকরা উপস্থিত ছিলেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছিলেন, ‘এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি রাখা যাবে না।’ সেই নির্দেশ পালনে এবং শেখ হাসিনার নির্বাচনী এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত উন্নয়ন প্রতিনিধি সাবেক সিনিয়র সচিব শহীদ উল্লাহ খন্দকারের দিকনির্দেশনায় আবাদ করার জন্য মাঠে নামি। আমরা এ বছর ৯৫০ হেক্টর জমি আবাদের আওতায় আনতে পেরেছি। বাকি অনাবাদি জমি আবাদে সক্ষম হবো। নিটুল রায় বলেন, শত বছরের এই অনাবাদি জমি ও খালের জলাবদ্ধতা নিরসনসহ আগাছা পরিষ্কার করার জন্য গ্রহণ করা হয়েছিল নানা পদক্ষেপ।
শুধু একজনের নির্বাচনী এলাকায় নয়, সারা বাংলাদেশের সর্বত্র এর পুনরাবৃত্তি হবে বলে আমাদের প্রত্যাশা। তা হলে বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে। এটি জনগণের সাথে সরকারেরও কাম্য।


আরো সংবাদ



premium cement