৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫
`


মহান বিজয় দিবস

বিজয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে হবে

-

আজ ১৬ ডিসেম্বর। মহান বিজয় দিবস। আমরা এই দিনে হানাদারবাহিনীর সব ষড়যন্ত্র ছিন্ন করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের চূড়ান্ত বিজয় ছিনিয়ে এনেছিলাম। এটা আমাদের জাতীয় জীবনের এক শ্রেষ্ঠ সাফল্য। আর এই সুমহান অর্জন নিশ্চিত করেছিলেন আমাদের দামাল মুক্তিযোদ্ধারা ৯ মাসের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে। সম্পূর্ণ অপ্রস্তুত ও নিরস্ত্র অবস্থায় আমাদের এ মুক্তিযুদ্ধ শুরু করতে হয়েছিল। তবে স্বাধীনতার প্রশ্নে মাথা না নোয়াবার সুদৃঢ় প্রত্যয় ছিল অকুতোভয় প্রতিটি মুক্তিযোদ্ধার মনে। প্রাথমিকপর্যায় থেকে শুরু করে আমাদের সশস্ত্র অবস্থানসহ সার্বিক প্রস্তুতি নিতে হয়েছে দুর্বার ও দৃঢ়প্রত্যয়ী এক অবিস্মরণীয় মুক্তিবাহিনীকে। তাদের লড়াই করতে হয়েছে বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী ও সুসজ্জিত পাকিস্তানি হানাদারবাহিনীর বিরুদ্ধে। তখন জাতি হিসেবে আমাদের মনোবল ও নৈতিক অবস্থান ছিল সুদৃঢ়। সেই সূত্রে এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে আমরা শত্রু সৈন্যদের পরাজিত করতে সক্ষম হয়েছিলাম, এই কাক্সিক্ষত বিজয় ছিনিয়ে আনার লক্ষ্যে। বাংলাদেশের এ অভাবনীয় বিজয়ে গোটা বিশ্ব অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে থাকে। এই বিজয়ের মধ্য দিয়ে আমরা গোটা বিশ্বকে জানান দিলাম, আমরাও বিশ্বের এক লড়াকু জাতি।
এই বিজয় অর্জন আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের অসীম সাহসিকতা ও আত্মোৎসর্গের প্রেরণা এবং দেশবাসীর বিপুল ত্যাগ, তথা এক রক্তনদীর বিনিময়ে সম্ভব হয়েছে। আজকের এই বিজয় দিবসে আমরা তাদের প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা। তাদের এই রক্তদান ছিল সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্য সামনে রেখে। তাদের লক্ষ্য ছিল মুক্ত স্বাধীন এক বাংলাদেশ। দারিদ্র্যমুক্ত শোষণমুক্ত স্বদেশ, যে বাংলাদেশ হবে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ এবং রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিকভাবে সমুন্নত। মানুষ পাবে তার সার্বজনীন মানবাধিকার, বাকস্বাধীনতা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও স্বাধীনভাবে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার স্বাধীনতা। নাগরিকেরা পাবে নিজেদের অবস্থানের উত্তরণের সুযোগ। বাংলাদেশের স্বাধীনতা হরণ করার কোনো ষড়যন্ত্র করায় কোনো সাহস কোনো দিন কেউ পাবে না। বিশ্বের বুকে বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকবে চিরদিন। বাংলাদেশ হবে এক ঐক্যবদ্ধ জনগোষ্ঠীর নাম।
মুক্তিযুদ্ধের অনেক প্রত্যাশাই আমরা এখনো পূরণ করতে পারিনি। এ আমাদের সম্মিলিত ব্যর্থতা। এ দুর্বলতা থেকে জাতির উত্তরণ ঘটাতেই হবে। এ জন্য প্রয়োজন সুদৃঢ় জাতীয় ঐক্য, ঠিক যেভাবে আমরা ঐক্যবদ্ধ হতে পেরেছিলাম একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময়ে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে আমরা আবারো জাতীয় জীবনে ফিরিয়ে আনতে পারি কাক্সিক্ষত জাতীয় ঐক্য। এত বছরেও এ ক্ষেত্রে আমাদের বিপুল ব্যর্থতা। এই ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়েই আমাদের হাঁটতে হবে জাতীয় সমঝোতা, সম্প্রীতি ও ঐক্যের মহাসড়কে। যারা এই পথে বাধা কার্যত তারা জাতির বিপক্ষ হিসেবে চিহ্নিত হবে আগামী প্রজন্মের কাছে।
আজকের মহান এই বিজয় দিবসে অনন্য সমৃদ্ধ এক বাংলাদেশ সবার কামনা। আমরা আহ্বান জানাচ্ছি, বাংলাদেশের সবার প্রতিÑ আসুন আবার একাত্ম হই সেই একাত্তরের মতো। সম্পন্ন করি আরব্ধ জাতীয় দায়িত্বগুলো।

 


আরো সংবাদ



premium cement
আমরা নিজের দেশেই অদৃশ্য : ভারতের মুসলিমরা যুদ্ধবিরতি আলোচনার মধ্যেই গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহত ৩৪ রাজনীতির মাঠে যেভাবে খেলছেন ইউসুফ পাঠান মার্কিন রণতরীতে হাউছিদের হামলা ধরপাকড়ের মধ্যেই ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে যুক্তরাষ্ট্রে বিক্ষোভ অব্যাহত যুক্তরাষ্ট্রে গুলিতে ৩ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তা নিহত ফিলিপাইনের তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি, বাড়তে পারে আরো শিখ নেতা পান্নুনকে খুন করতে ‘হিটম্যান’ পাঠিয়েছিলেন ‘র অফিসার’ : ওয়াশিংটন পোস্ট দিল্লিকে উড়িয়ে দ্বিতীয় স্থানে কেকেআর করোনা টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা স্বীকার অ্যাস্ট্রাজেনেকার বাইডেনকে পিছনে ফেলে দিলেন ট্রাম্প

সকল