০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫
`


কৃষকের স্বার্থ রক্ষার প্রশ্ন

সরকারিভাবে ধান কেনারও সিদ্ধান্ত নিতে হবে

-

ফলন ভালো হলে কৃষকেরা ন্যায্য দাম পায় না। আবার ফলন খারাপ হলে কৃষকদের মাথায় হাত পড়ে। সর্বাবস্থায় লাভবান হয় মিলমালিকরা, এরাই মধ্যস্বত্বভোগী। মাঝখানে কৃষক যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তেমনি সাধারণ ভোক্তারাও বেশি দামে চাল কিনতে বাধ্য হয়।
এবার আমন মওসুমে কুষ্টিয়ায় মিলারদের কাছ থেকে চাল কেনার সিদ্ধান্ত হলেও ধান কেনার ঘোষণা না আসায় বাস্তবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন জেলার কৃষকেরা। এ বছর ধানের বাজার একেবারে পড়ে যাওয়ায় শুধু চাল কেনা হলে মিলমালিকেরা লাভবান হবে। এ অবস্থায় কুষ্টিয়া থেকে চালের পাশাপাশি কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি ধান কেনার দাবি উঠেছে কৃষকদের পক্ষ থেকে।
জেলা কৃষি অফিস ধারণা দিয়েছে এ বছর আশার চেয়েও আমনের ফলন হয়েছে বেশি। কয়েক বছর আগে বোরো ও আমন মওসুমে সরকার কৃষকদের কাছ থেকে ধান কেনা হলেও গত কয়েক মওসুম শুধু চাল কেনা হচ্ছে মিলারদের কাছ থেকে। এর ফলে কৃষকেরা ধানের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন না। এই সুযোগটা নিচ্ছে মিলাররা। কৃষকদের কাছ থেকে কম দামে ধান কিনে তারা চাল তৈরি করে বেশি টাকা লাভ করে নিচ্ছে। এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানের তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি। তাই প্রতি বিঘায় কাক্সিক্ষত চাহিদার চেয়ে বেশি ফলন পেয়েছেন কৃষকেরা। ফলে ধানের বাজার কম থাকায় ধান কাটা, মাড়াইয়ে শ্রমিক সঙ্কট দেখা দিয়েছে। অনেক গরিব কৃষক শ্রমিক দিয়ে ধান কাটতে পারছেন না। এ কারণে নষ্ট হচ্ছে জমির ধান। আর ধান কাটা ও মাড়াই করতেও উচ্চমূল্য নিচ্ছে কৃষি শ্রমিকেরা।
কুষ্টিয়ার বড় দুই ধানের বাজার আইলচারা ও উজান গ্রামে নতুন ওঠা আমন ধান মণপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৬৭০ টাকায়। ধান লাগানো, পরিচর্যা, কাটা ও মাড়াই করতে প্রতি মণে কৃষকের খরচ হয় সাড়ে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকার বেশি। সেখানে এখন এক মণ ধান বিক্রি করতে হচ্ছে ৬০০ টাকায়। লাভ তো দূরে থাক, খরচের টাকাও উঠছে না।
অন্য এলাকার কৃষকেরাও মনে করেন, এ বছর ধানের বাজার একেবারে পড়ে গেছে। জমিতে ধান থাকলেও কাটার লোক পাওয়া যাচ্ছে না। ধান কেটে দেনা শোধ করতেই সব শেষ। বাকি সময় চলবে কিভাবে। কৃষকেরা মনে করেন, সরকার যদি সরাসরি তাদের কাছ থেকে ধান কিনত তাহলে কৃষকেরা বাঁচত। অথচ এ ধান মিলমালিকেরা কম দামে কিনে চাল প্রস্তুত করে গোডাউনে রাখছে। সেই চাল সরকারকে দিয়ে তারা কেজিতে ছয় থেকে সাত টাকা লাভ করছে। ২০১৬ সালে কুষ্টিয়া থেকে সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ধান কেনা হয়েছিল। এরপর থেকে শুধু চাল কেনা হচ্ছে। তখন থেকেই কৃষকেরা ঠকে আসছে।
সঙ্ঘবদ্ধ মিলাররা সরকারের ওপর প্রভাব বিস্তার করে কিংবা জিম্মি করে তাদের কাছ থেকে চাল কিনতে বাধ্য করে। অপর দিকে অসঙ্ঘবদ্ধ কৃষকসমাজ ঠকেই যাচ্ছে। এ অবস্থার পরিবর্তন প্রয়োজন। সরকার মিলারদের কাছ থেকে কিছু চাল কিনতে পারে, একই সাথে কৃষকদের কাছ থেকে ধান কেনার জন্যও উদ্যোগ নিতে পারে। কৃষি ও কৃষক বাঁচাতে হলে এর কোনো বিকল্প নেই। আশা করি, সরকার কৃষকদের কাছ থেকে ধান কেনার সিদ্ধান্ত নিয়ে কৃষকস্বার্থ রক্ষায় এগিয়ে আসবে। দু’কূল রক্ষার এই নিয়মই কৃষি ও কৃষকদের স্বার্র্থ সংরক্ষণ করবে।

 


আরো সংবাদ



premium cement
বাংলাদেশ-সৌদি আরবের যৌথ উদ্যোগে ইউরিয়া সার কারখানার সম্ভাব্যতা সমীক্ষা সম্পন্ন আগামী ২ বছর উন্নয়নশীল এশীয় অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ৪.৯ শতাংশ থাকার আশা এডিবি প্রেসিডেন্টের চুয়াডাঙ্গায় আগুনে পুড়ে পানবরজ ছাই মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ, রিমান্ডে নেয়া হবে : ডিবি বৃহস্পতিবার সারা দেশের স্কুল-কলেজ বন্ধ ভূরুঙ্গামারীতে চিকিৎসকের কপাল ফাটিয়ে দিলেন ইউপি সদস্য ‘পঞ্চপল্লীর ঘটনা পাশবিক, এমন যেন আর না ঘটে’ টি২০ বিশ্বকাপের পিচ পৌঁছেছে নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়ামে হাসপাতালে ভর্তি খালেদা জিয়া কমলাপুর স্টেশনে ট্রেন থেকে লাশ উদ্ধার মোরেলগঞ্জে বৃদ্ধের ফাঁস লাগানো লাশ উদ্ধার

সকল