০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`


নাগরিক পরিচয় ছাড়া রোহিঙ্গা

মিয়ানমারের ফাঁদে পা দেয়া ঠিক হবে না

-

জাতিগত নির্মূল অভিযানের মুখে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের ফেরাতে মিয়ানমারের সাথে যে আলোচনা চলছে তা নিয়ে নানা সংশয় দেখা দিয়েছে। আন্তর্জাতিক মহল থেকে শঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে রোহিঙ্গারা ফিরে গেলেও সেখানে নাগরিক অধিকার ও মানবিক মর্যাদা নিয়ে বসবাস করতে পারবে না। তাদের আশ্রয় হবে একধরনের কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে। এখন এই শঙ্কার সত্যতা পাওয়া যাচ্ছে।
রোহিঙ্গাদের ফেরত নেয়ার ব্যাপারে মিয়ানমারের সাথে বাংলাদেশের যে আলোচনা চলছে তাতে সিদ্ধান্ত হয়েছে কক্সবাজারে নিবন্ধনের পর রোহিঙ্গাদের দেয়া পরিচয়পত্র থেকে ‘মিয়ানমার নাগরিক’ শব্দটি তুলে দেবে বাংলাদেশ সরকার। এর পরিবর্তে লেখা হবে ‘রাখাইন রাজ্য থেকে বাস্তুচ্যুত মানুষ’। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নেতৃত্বে সম্প্রতি মিয়ানমার সফর করা বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল এ ব্যাপারে সম্মতির কথা জানিয়েছে বলে নয়া দিগন্তের এক খবরে বলা হয়েছে।
গত নভেম্বরে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সই হওয়া চুক্তির ভাষা অনুযায়ী পরিচয়পত্রে এই সংশোধনী আনতে সম্মত হয়েছে প্রতিনিধিদল। চুক্তিতে রোহিঙ্গাদের ‘রাখাইন রাজ্য থেকে বাস্তুচ্যুত মানুষ’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। দুই দেশের সম্মত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, রোহিঙ্গাদের ন্যাশনাল ভেরিফিকেশন কার্ড (এনভিসি) নিজ হাতে পূরণ করতে হবে। এনভিসির পাশাপাশি পরিচয়পত্র দেয়ার জন্য বাস্তুচ্যুত মানুষদের আঙুলের ছাপ ও স্বাক্ষর নেয়া হবে। এনভিসিতে রোহিঙ্গাদের পরিচয় ‘বাঙালি’ হিসেবে উল্লেখ থাকায় তা পূরণে রোহিঙ্গাদের আপত্তি রয়েছে।
আসলে রোহিঙ্গারা চায় তাদের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর পরিচয়ের সাথে মিয়ানমারের নাগরিকত্ব। রাখাইন সঙ্কট নিরসনে জাতিসঙ্ঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনানের নেতৃত্বে গঠিত কমিশনও সঙ্কটের মূল কারণ মোকাবেলায় রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব দেয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেছে। তবে মিয়ানমার সরকার আনুষ্ঠানিক বা অনানুষ্ঠানিকÑ কোনোভাবেই রোহিঙ্গা শব্দটি উচ্চারণের ঘোরবিরোধী। নাগরিক হিসেবে রোহিঙ্গাদের স্বীকৃতি কেড়ে নিয়েছে মিয়ানমার।
আন্তর্জাতিক মহল থেকে মিয়ানমারের ওপর যখন চাপ বাড়তে থাকে তখন রোহিঙ্গাদের ফেরত নেয়ার বিষয়ে আলোচনায় আগ্রহ প্রকাশ করে থাকে। রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ার ব্যাপারে সাত মাস ধরে আলোচনা চললেও এখনো একজন রোহিঙ্গাকে মিয়ানমার ফেরত নেয়নি। এখন নানা শর্তের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের রাষ্ট্রহীন মানুষ হিসেবে পরিচিত করতে চাইছে। আমরা মনে করি, দ্বিপক্ষীয় পর্যায়ে এ ধরনের আলোচনার মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের ফেরানো সম্ভব না-ও হতে পারে। মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগ ছাড়া রোহিঙ্গাদের ফেরত নেবে না। নাগরিক অধিকার ছাড়া তাদের ফেরত পাঠালেও সঙ্কটের সমাধান হবে না। বাংলাদেশের উচিত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সাথে নিয়ে এ সমস্যার সমাধানের দিকে দৃষ্টি দেয়া। বিশেষ করে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত মিয়ানমারের সেনাকর্মকর্তাদের বিচারে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের কার্যক্রম এগিয়ে নিতে তৎপরতা চালানো, যা দেশটির ওপর চাপ বাড়াতে পারে।


আরো সংবাদ



premium cement
ভালুকায় রাইদা কারখানার শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ কক্সবাজারের পাহাড়ি ছরায় গোসল করতে নেমে ২ শিশুর মৃত্যু কাঁঠালিয়ায় ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতিকে অব্যাহতি রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলায় সহযোগিতার জন্য ওআইসি সদস্যদের প্রতি আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর রাফা থেকে ফিলিস্তিনিদের সরিয়ে নেয়ার আদেশে হামাসের প্রতিক্রিয়া হিলি বন্দর দিয়ে ১৪ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রীর ওপর : মন্ত্রী রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলায় ওআইসি’র সহযোগিতা চেয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী টর্চার সেলে শিশু-বৃদ্ধদের পেটাতেন মিল্টন : হারুন গাজা ত্যাগ করবে না ইউএনআরডব্লিউএ শৈলকুপায় সাংবাদিক মফিজুলের ওপর হামলা : প্রেসক্লাবের উদ্যোগে মানববন্ধন

সকল