০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`


সুষ্ঠু নির্বাচনের নিশ্চয়তা নেই

সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনে নির্বাচন কমিশন ব্যর্থ

-

বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে এ পর্যন্ত যেসব নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে তা থেকে কমিশনের নিরপেক্ষ ভূমিকা ও সুষ্ঠু নির্বাচনের সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এখন আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলকভাবে সম্পন্ন করা নিয়েও সংশয় দেখা দিয়েছে। এ সংশয়ের সৃষ্টি করেছেন খোদ প্রধান নির্বাচন কমিশনার। সম্প্রতি তিনি বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনে কোনো অনিয়ম হবে নাÑ এমন নিশ্চয়তা দেয়ার সুযোগ নেই। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের এ মতের সাথে অপর নির্বাচন কমিশনাররা একমত না হয়ে তার ব্যক্তিগত মত হিসেবে উল্লেখ করেছেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের এমন বক্তব্য থেকে বোঝা যাচ্ছে, আগামী জাতীয় নির্বাচনের পরিবেশ কতটা নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণে থাকবে, সে ব্যাপারে প্রধান নির্বাচন কমিশনারও নিশ্চিত নন। তার এই বক্তব্য নিছক ব্যক্তিগত মত হিসেবে না দেখে নির্বাচন কমিশনের অসহায়ত্ব হিসেবেও দেখা যেতে পারে।
কিছু দিন আগে দেশের সিটি করপোরেশনগুলোর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। জাতীয় নির্বাচনের আগে এই নির্বাচনগুলো ছিল নির্বাচন কমিশনের জন্য একধরনের পরীক্ষা। দুর্ভাগ্যজনকভাবে সেই পরীক্ষায় নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক দল ও সাধারণ মানুষের কোনো আস্থা অর্জন করতে পারেনি। ক্ষমতাসীন দল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিজয়ী হতে হেন কৌশল নেই যা গ্রহণ করেনি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সরাসরি ভোট জালিয়াতি ও কেন্দ্র দখলের সাথে জড়িত ছিল। এ ছাড়া ভোটকেন্দ্রে যাতে বিরোধী দলের কোনো এজেন্ট না থাকতে পারে সে জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এজেন্টদের গ্রেফতার ও কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়ার ঘটনার সাথে জড়িত ছিল। প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর নির্বাচন কমিশনের কোনো নিয়ন্ত্রণ ছিল না। নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের কারণে কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা পর্যন্ত নেয়া হয়নি।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রায় ছয় মাসের কম সময় রয়েছে। এর মধ্যে নির্বাচন কমিশন নানা ধরনের বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছে। সিটি করপোরেশনসহ বিভিন্ন নির্বাচনে যে ভূমিকা পালন করেছে তাতে নির্বাচন কমিশনের ওপর সাধারণ মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস নষ্ট হয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার নির্বাচনের আগে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে তার যে অভিমত প্রকাশ করেছেন তাতে এ নির্বাচন কমিশন দিয়ে যে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব হবে না তা মোটামুটি নিশ্চিত। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান থেকে নির্বাচন কমিশনাররা যদি স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালন করতে না পারেন তাহলে তাদের উচিত সরে দাঁড়ানো।

 


আরো সংবাদ



premium cement
গ্রিড লাইনের ত্রুটিতে সিলেট বিভাগে বিদ্যুৎ সরবরাহে বিঘ্ন ভুক্তভোগী নারী ও তার পাশে দাঁড়ানো ব্যক্তিদের হয়রানির প্রতিবাদ বাড্ডায় নারীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার কথিত স্বামী পলাতক গ্রেফতারকৃতদের পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ করবে খতমে নবুওয়ত ঝিনাইদহ-১ আসনে উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নায়েব আলী জাতীয় গ্রিডে ত্রু‌টি, সিলেট বিভাগে বিদ্যুৎ বিপর্যয় ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীদের জন্য ঢাবিতে নিয়মিত ২০ আসন বরাদ্দ রেকর্ড গড়ে সাদিক খান আবারো লন্ডনের মেয়র আগামী ২ মাসের মধ্যে ভাঙ্গা-খুলনা-যশোর পর্যন্ত ট্রেন চালু হবে : জিল্লুল হাকিম ফতুল্লায় ব্যবসায়ী অপহরণ, গ্রেফতার ৭ তাপদাহের কারণে গোসল করতে গিয়ে কলেজছাত্রের মৃত্যু

সকল