০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫
`


তিন সিটিতে নির্বাচনী প্রচারণা

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর নিয়ন্ত্রণ দরকার

-

নির্বাচন কমিশনের প্রতি একধরনের অনাস্থার মধ্যে আজ থেকে তিন সিটি করপোরেশনে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হচ্ছে। এর আগে দু’টি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রচারণার শুরু থেকে বিরোধী রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা নানাভাবে হয়রানির অভিযোগ এনেছিলেন। রাজশাহী, বরিশাল ও সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সব দলের সমান সুযোগ নির্বাচন কমিশন নিশ্চিত করতে পারে কি না তা দেখার বিষয়। নির্বাচনী প্রচারণার শুরুতে বিরোধী দলের বহু সমর্থক ও সম্ভাব্য এজেন্টদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গ্রেফতার করে। ফলে নির্বাচনগুলোতে সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা যায়নি। সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মতো স্থানীয় সরকার নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে না পারার কারণে জাতীয় নির্বাচনে কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
আশার দিক হচ্ছে, একজন নির্বাচন কমিশনার জানিয়েছেন, তিন সিটি নির্বাচনী এলাকায় ওয়ারেন্ট ছাড়া কাউকে যেন গ্রেফতার করা না হয়, সে বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের এই নির্দেশ যাতে স্থানীয় প্রশাসন বাস্তবায়ন করে, তা তদারকি করা এখন নির্বাচন কমিশনের জন্য চ্যালেঞ্জ। কারণ, এর আগে গাজীপুর ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দেখা গেছে, বিরোধী রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের এজেন্টদের গ্রেফতার ও নির্বাচন কেন্দ্র থেকে দূরে রাখতে নানা কৌশল অবলম্বন করেছে। এমনকি গোয়েন্দা পুলিশের পরিচয়ে কেন্দ্র থেকে ধরে নিয়ে যাওয়ার খবরও গণমাধ্যমে এসেছে। আবার নির্বাচনী এলাকা থেকে ধরে নিয়ে অন্য পার্শ্ববর্তী জেলা থেকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। ফলে ভোটকেন্দ্রগুলোতে শুধু ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীর এজেন্টরা অবস্থান করছেন। ভোটকেন্দ্র নিয়ন্ত্রণে থাকায় ইচ্ছেমতো ব্যালট বাক্স ভরানোর কাজ সারা হয়েছে।
বিগত দু’টি সিটি করপোরেশন নির্বাচন মূলত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রত্যক্ষ নিয়ন্ত্রণে হয়েছে। যেখানে শুধু বিরোধী দল সমর্থিত প্রার্থী নয়, নির্বাচন কমিশনও ছিল অসহায়। ভোটকেন্দ্রের বাইরে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ থাকলেও কেন্দ্রের ভেতরে নিয়ন্ত্রণ ছিল ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীর সমর্থকদের। সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য এখন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা মেনে সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে দায়িত্ব পালন করছে কি না সেটি বড় প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে। অর্থাৎ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তা না হলে কোনোভাবেই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব হবে না।


আরো সংবাদ



premium cement
বাংলাদেশ-সৌদি আরবের যৌথ উদ্যোগে ইউরিয়া সার কারখানার সম্ভাব্যতা সমীক্ষা সম্পন্ন আগামী ২ বছর উন্নয়নশীল এশীয় অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ৪.৯ শতাংশ থাকার আশা এডিবি প্রেসিডেন্টের চুয়াডাঙ্গায় আগুনে পুড়ে পানবরজ ছাই মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ, রিমান্ডে নেয়া হবে : ডিবি বৃহস্পতিবার সারা দেশের স্কুল-কলেজ বন্ধ ভূরুঙ্গামারীতে চিকিৎসকের কপাল ফাটিয়ে দিলেন ইউপি সদস্য ‘পঞ্চপল্লীর ঘটনা পাশবিক, এমন যেন আর না ঘটে’ টি২০ বিশ্বকাপের পিচ পৌঁছেছে নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়ামে হাসপাতালে ভর্তি খালেদা জিয়া কমলাপুর স্টেশনে ট্রেন থেকে লাশ উদ্ধার মোরেলগঞ্জে বৃদ্ধের ফাঁস লাগানো লাশ উদ্ধার

সকল