০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫
`


জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকায় বাংলাদেশ সপ্তম

‘জলবায়ু ঝুঁকি নিরসন এবং জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে গণমাধ্যমের ভূমিকা' শীর্ষক সেমিনার। - ছবি : নয়া দিগন্ত

জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ঝুঁকিপূর্ণ শীর্ষ ১০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ সপ্তম। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয় জলবায়ু অভিযোজন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। ২০৫০ সাল নাগাদ এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য ২৩০ বিলিয়ন ডলার ব্যয় হবে।

মঙ্গলবার (৬ জুন) রাজধানীর কল্যাণপুরে জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট আয়োজিত ‘জলবায়ু ঝুঁকি নিরসন এবং জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে গণমাধ্যমের ভূমিকা' শীর্ষক সেমিনার এ তথ্য জানানো হয়।

জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ফায়জুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সদস্য মালিক ফিদা এ খান।

প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পানিসম্পদ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিশেষজ্ঞ এবং ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আইনুন নিশাত। আলোচক হিসেবে ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সঞ্জয় কুমার ভৌমিক। বক্তব্য রাখেন সাউথ এশিয়ান ক্লাইমেট চেইঞ্জ জার্নালিস্ট'স ফোরামের মহাসচিব আসাদুজ্জামান সম্রাট, জাতীয় প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক আশরাফ আলী। এ সেমিনারে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়াধীন দফতরসমূহ, বিভিন্ন বেসরকারি গণমাধ্যমের সাংবাদিকবৃন্দ এবং বিশিষ্ট গণমাধ্যম ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন পরিচালক (প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠান) ড. মো: মারুফ নাওয়াজ। সেমিনার পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এ প্রতিষ্ঠানের উপ-পরিচালক (সংযুক্ত) তানিয়া খান ।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপক বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বৈশ্বিক উষ্ণতার কারণে প্রাকৃতিক বিপর্যয় একটি আন্তর্জাতিক সমস্যা। এ প্রাকৃতিক বিপর্যয় নিরসনে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি হ্রাস এবং জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা নিয়ে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।

ক্লাইমেট ভালনারেবল ইনডেক্স অনুযায়ী বিশ্বের ১৯২টি ঝুঁকিপূর্ণ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তম । জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি ও অন্যান্য ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় একটি বলিষ্ঠ অভিযোজন পরিকাঠামো গড়ে তোলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি অভিজ্ঞতা বিনিময়, জনসচেতনতা সৃষ্টি এবং ন্যাপ সম্পর্কে জনগণের ভূমিকা সম্পর্কে জানাতে সাংবাদিকদের সক্রিয় ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।

পানিসম্পদ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিশেষজ্ঞ ড. আইনুন নিশাত তার আলোচনায় বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিযোজন পরিকল্পনার বাস্তবায়নে সংবাদ মাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। এ লক্ষ্যে সমন্বিত পানি সম্পদ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি হতে সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিতকরণ এবং অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রভৃতি বিষয়ের তথ্য নিয়ে কাজ করতে হবে।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সঞ্জয় কুমার ভৌমিক বলেন, জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবেলা এবং জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা নিয়ে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। এর সাথে যদি গণমাধ্যম আরও সক্রিয়ভাবে যুক্ত হয়, তাহলে বাংলাদেশ দুর্যোগ মোকাবেলায় আরো সাফল্য অর্জন করতে পারবে।


আরো সংবাদ



premium cement
বাংলাদেশ-সৌদি আরবের যৌথ উদ্যোগে ইউরিয়া সার কারখানার সম্ভাব্যতা সমীক্ষা সম্পন্ন আগামী ২ বছর উন্নয়নশীল এশীয় অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ৪.৯ শতাংশ থাকার আশা এডিবি প্রেসিডেন্টের চুয়াডাঙ্গায় আগুনে পুড়ে পানবরজ ছাই মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ, রিমান্ডে নেয়া হবে : ডিবি বৃহস্পতিবার সারা দেশের স্কুল-কলেজ বন্ধ ভূরুঙ্গামারীতে চিকিৎসকের কপাল ফাটিয়ে দিলেন ইউপি সদস্য ‘পঞ্চপল্লীর ঘটনা পাশবিক, এমন যেন আর না ঘটে’ টি২০ বিশ্বকাপের পিচ পৌঁছেছে নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়ামে হাসপাতালে ভর্তি খালেদা জিয়া কমলাপুর স্টেশনে ট্রেন থেকে লাশ উদ্ধার মোরেলগঞ্জে বৃদ্ধের ফাঁস লাগানো লাশ উদ্ধার

সকল