১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, ০৫ জিলকদ ১৪৪৫
`


টানা ৪৮ ঘন্টা ঘুমিয়ে ডেঙ্গু থেকে মুক্তি!

টানা ৪৮ ঘন্টা ঘুমিয়ে ডেঙ্গু থেকে মুক্তি! - ছবি : নয়া দিগন্ত

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সচিব মোস্তফা কামাল মজুমদার ডেঙ্গু আক্রান্ত ছিলেন। এখন তিনি বেশ সুস্থ। তবে যখন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছিলেন তখন তার রক্তের প্লাটিলেট ১২ হাজারে নেমে গিয়েছিল। এ সময় তিনি একটানা ৪৮ ঘন্টা ঘুমিয়েছিলেন। এতেই তিনি সুস্থ হয়ে ওঠেন বলে চিকিৎসক জানিয়েছেন। আর ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান এডিশ মশার কামড় খেয়েও এ যাত্রায় নিরাপদ রয়েছেন। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হননি তিনি।

শনিবার নগর ভবনে পৌর করদাতাদের মধ্যে বিনামূল্যে অ্যারোসল স্প্রে ক্যান বিতরণ অনুষ্ঠানে তারা এ কথা জানান। সচিব মোস্তফা কামাল মজুমদার বলেন, আমার বাসা শান্তিনগরে। সেখানে ১৯ তলায় ভাড়া থাকি। তারপরও আমি ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছি। যখন ডেঙ্গু আক্রান্ত ছিলাম তখন একটানা ৪৮ ঘন্টা ঘুমিয়ে ছিলাম। আমার ছেলে বলেছে বাবা তুমিতো রেকর্ড করে ফেলেছ। পরে ডাক্তার বললেন এই ঘুমই আমাকে বাঁচিয়ে দিয়েছে। কারণ আমার রক্তের প্লাটিলেট মাত্র ১২ হাজারে নেমে এসেছিল। ঘুমের পর প্লাটিলেট এক লাখ ৬৫ হাজার হয়ে গেল। পরে চিন্তা করলাম এত তলায় ডেঙ্গুর মশা কিভাবে আসলো?

খোঁজ নিয়ে দেখলাম পাশেই রূপায়ন গ্রুপের ১৭ তলা বিশিষ্ট নির্মানাধীন ভবন। সেখানে পানি জমে মশার লার্ভা তৈরি হয়েছে। তাদেরকে ডেকে সতর্ক করলাম। কিন্তু তারা সাবধান হয়নি। ডিএসসিসির ভ্রাম্যমান আদালত পরে সেখানে অভিযান চালিয়ে জরিমানা আদায় করেছে। সচিব আরো বলেন, ডেঙ্গু আক্রান্ত হওয়ার পরও আমি অসুস্থ শরীর নিয়েই অফিস করেছি। আর খাওয়াদাওয়া ঠিক রেখেছি। মনোবল হারায়নি। এখন সুস্থ হয়েছি। আসলে ডেঙ্গু আতংকের কোন বিষয় না।

অনুষ্ঠানে ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমার বাসা মগবাজারে। এডিশ মশা আমাকে কামড়ালেও ডেঙ্গু হয়নি। বাসায় একদিন একটা মশা আমার পিঠে কামড়ালো। পরে সেটি মারলাম। দেখি এডিশ মশা। কিন্তু আমার ডেঙ্গু হয়নি। আল্লাহ বাঁচিয়েছে। তিনি বলেন, সব মশা মানুষকে কামড়ায় না। শুধুমাত্র স্ত্রী মশা তাদের ডিম পাড়ার সময় প্রোটিনের অভাব পূরণে মানুষের রক্ত খায়।

অনুষ্ঠানে ডিএসসিসি মেয়র ও অন্যান্য কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।


আরো সংবাদ



premium cement