২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

স্থানীয়দের চাপে বাংলাবান্ধা বন্দরে আমদানি রফতানিও বন্ধ

স্থানীয়দের চাপে বাংলাবান্ধা বন্দরে আমদানি রফতানিও বন্ধ - ছবি- সংগৃহীত

ভারতে করোনার সংক্রমণ বাড়ার পর দেশের সব স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের সাথে বাংলাদেশের যাত্রী পরিবহন বন্ধ রয়েছে। তবে পণ্য পরিবহন স্বাভাবিক ছিল এতদিন। এর মধ্যে করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট বাংলাদেশে শনাক্ত ও ভারতে শনাক্ত ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় স্থানীয়দের চাপে দেশের সর্ব উত্তরের সীমান্ত জেলা পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি রফতানি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। পঞ্চগড় আমদানি রফতানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মেহেদী হাসান খান বাবলা স্বাক্ষরিত এক চিঠির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, যাত্রী পারাপার বন্ধ থাকলেও আমদানি রফতানির কাজে পণ্য পরিবহনে নিয়োজিত যানবাহনচালকরা দু’দেশে যাতায়াত করেন। এতে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসসহ ভারতীয় করোনা ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তের আশঙ্কায় স্থানীয়দের চাপের মুখে রোববার থেকে পাঁচ দিন বন্দর সম্পূর্ণ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

আগামী আগামী জুন থেকে বন্দরের আমদানি রফতানি কার্যক্রম পুনরায় শুরু হবে। ব্যবসায়ীদের এই সিদ্ধান্তের সাথে একমত হয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও।

দেশের একমাত্র চতুর্দেশীয় এ স্থলবন্দর দিয়ে ভারত, নেপাল ও ভুটানের সাথে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য চলমান রয়েছে। করোনাকালে বর্তমানে যাত্রী পারাপার বন্ধ রয়েছে। তবে পাথরসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানি রফতানি চলছে এতদিন। এ সময় প্রতিদিন ভারত, নেপাল ও ভুটানের শত শত পণ্যবাহী যানবাহন নিয়ে চালক ও হেলপার প্রবেশ করেন। বিশেষ এই পরিস্থিতিতে তেঁতুলিয়া উপজেলা করোনা প্রতিরোধ ও ব্যবস্থাপনা কমিটি বন্দরের জন্য ১৪টি নির্দেশনা জারি করলেও অধিকাংশই ঠিকমত মানা হচ্ছে না। এর ফলে স্থানীয়দের চাপের মুখে পড়েন বন্দর কর্তৃপক্ষসহ ব্যবসায়ীরা আমদানি রফতানি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

ব্যবসায়ীদের একটি পক্ষ জানায়, বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরসহ পুরো তেঁতুলিয়া উপজেলাটি ভারতের তিন দিকে অবস্থিত। ভারত থেকে আমদানি পণ্য নিয়ে আসা ট্রাকচালকদের মাধ্যমে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট সংক্রমণের ঝুঁকি রয়েছে। বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে বাণিজ্যের সাথে জড়িত সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ও পণ্য খালাসের সাথে জড়িত শ্রমিক, চালকসহ কর্মজীবী মানুষ এ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে। ভারতের করোনা ভেরিয়েন্ট ও ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় বাংলাবান্ধার স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ বাসিন্দারা স্থলবন্দরের কার্যক্রম বন্ধ রাখার দাবি জানিয়ে আসছিলেন।

অপর একটি সূত্র জানিয়েছে, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে গত ২৭ মে বাংলাবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কুদরত-ই-খুদা মিলনসহ স্থানীয় অধিবাসীরা ভারত থেকে আসা কয়েকটি পাথরবোঝাই ট্রাক ফিরিয়ে দেয়। এর ফলে বন্ধ হয়ে যায় আমদানি রফতানি কার্যক্রম।

পঞ্চগড় আমদানি- রফতানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মেহেদী হাসান খান বাবলা বলেন, ‘অ্যাসোসিয়েশন থেকে কার্যক্রম পরবর্তী সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত রোববার থেকে আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি রফতানি কার্যক্রম বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়ছে। বিষয়টি ভারতের পশ্চিবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলার ফুলবাড়ি ইম্পোর্টার এক্সপোর্টার ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।’

তবে তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহাগ চন্দ্র সাহা বলেন, ‘বন্দর খোলা আছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই।’

সূত্র : ইউএনবি


আরো সংবাদ



premium cement