২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

জাপান বাংলাদেশকে যথাসাধ্য সহযোগিতা করবে : ওসামু হাওয়াকাওয়া

জাপান বাংলাদেশকে যথাসাধ্য সহযোগিতা করবে : ওসামু হাওয়াকাওয়া - ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশের জাপানি বন্ধু তাকাশি হাওয়াকাওয়ার ছেলে ওসামু হাওয়াকাওয়া বলেছেন, এশিয়ার দেশ হিসেবে মানবতার ভিত্তিতে জাপান বাংলাদেশকে যথাসাধ্য সহযোগিতা করবে। তিনি বলেন, রবীন্দ্রনাথ যে ‘সোনার বাংলা’র কথা বলেছেন, তা গড়ার উদ্দেশ্যে এশিয়ার দেশ হিসেবে মানবতার ভিত্তিতে জাপান বাংলাদেশকে যথাসাধ্য সহযোগিতা করবে।

বৃহস্পতিবার জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তীর ১০ দিনের নবম দিন সরাসরি আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।

ওসামু বলেন, ‘১৯৭২ সালের ১৪ মার্চে, যখন আমার বাবা জাপান সরকারের বিশেষ মৈত্রী দূত হিসেবে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশ সফর করেছিলেন। আমিও বাবার নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধিদলে ছিলাম। ওই সময় সারা বাংলাদেশ ছিল শিকল ভাঙার সুখ ও স্বাধীনতা অর্জনের আনন্দে পরিপূর্ণ। চার দিনের অবস্থানকালে তা প্রত্যক্ষ করে বাবাও অত্যন্ত অভিভূত ও আবেগাপ্লুত হয়েছিলেন। স্বাধীনতা অর্জনের আর কিছু দিনের মধ্যেই ভীষণ ব্যস্ততা সত্ত্বেও বঙ্গবন্ধু তার কার্যালয়ে আমাদের আমন্ত্রণ করলেন। বাবার সাথে দেখা হলে তিনি বাবাকে আন্তরিকভাবে বুকে জড়িয়ে ধরলেন।’

ওসামু আরো বলেন, আমরা দেখলাম, দেশের স্বাধীনতার জন্য উৎসর্গীকৃত জীবনের অর্ধেক কারাগারে কাটাতে বাধ্য হলেও বঙ্গবন্ধু ছিলেন সদা উজ্জ্বল ও উষ্ণ মনের অধিকারী। বাবা (তাকাশি) বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য অভিনন্দন জানানোর পর তারা বৈঠকে বসেন ও রাষ্ট্র গঠনে উৎসাহী দুই নেতার মধ্যে আন্তরিক আলোচনা যেন শেষ হতে চায়নি। তাদের মনের আবেগ মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়।

তিনি বলেন, ওই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান বললেন যে বাংলাদেশকে পূর্ব ও পশ্চিম দুই ভাগে বিভক্তকারী যমুনা নদীতে সেতু নির্মাণের কাজ যেন জাপানের হাতে সম্পন্ন হয়। তিনি আগ্রহের সাথে আরো বলেন, এই সেতু হবে বাংলাদেশ ও জাপানের বন্ধুত্বের প্রতীক।

ওসামু বলেন, ‘ওই সফরে আমরা বাংলাদেশ ঘুরে দেখার সুযোগ পাই। সদ্য শেষ হওয়া যুদ্ধের ক্ষত রয়ে গিয়েছিল সব জায়গাতেই। কল্পনাতীত ধ্বংস প্রত্যক্ষ করে বাবা অত্যন্ত মর্মাহত হন।’

তিনি বলেন, দেশে ফেরার পর আমার বাবা যমুনা সেতু নির্মাণে সহায়তা দান ও জাপানের দেয়া অন্য প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেন। এরপর থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশে জাপানের সহযোগিতায় অনেক বড় বড় সেতু নির্মাণসহ অবকাঠামোর উন্নয়ন হয়েছে।

ওসামু বলেন, বঙ্গবন্ধু দেশে প্রত্যাবর্তনের পর বন্ধুত্বের নিদর্শন স্বরূপ একটি রয়েল বেঙ্গল টাইগারের মাথা বাবাকে উপহার দিলেন (ছবি দেখান রয়েল বেঙ্গলের)। বাবার মৃত্যুর পরেও এটি বহুদিন আমাদের বাসায় সংরক্ষিত ছিল। টোকিওতে বাংলদেশের নতুন দূতাবাস ভবন উদ্বোধনের পর ২০১৭ সালে আমরা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অধিকতর উন্নয়নের লক্ষ্যে বাঘের মাথাটি দূতাবাসে দিয়েছি।

দু’দেশের মধ্যকার বন্ধুত্বের ঐতিহাসিক নিদর্শন ও স্মৃতি চিহ্ন এই বাঘের মাথা চিরস্থায়ী বন্ধুত্বের প্রতীক হিসেবে মানুষের মনে গেঁথে থাকবে বলে আশা করছি বলেও জানান তিনি।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মবার্ষিকী, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাপান-বাংলাদেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে জাপানে সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপিত হবে। বাবা জীবিত থাকলে দু’দেশের মধ্যে মৈত্রী বিনিময়ের একজন ভিত্তি স্থাপনকারী হিসেবে এই তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বছরকে অত্যন্ত আগ্রহের সাথে গ্রহণ করতেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশে ওসামু বলেন, আপনার সুদক্ষ নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ বাস্তবরূপ লাভ করবে। আপনার দেশ বিশ্ব শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য অধিকতর অবদান রাখবে।

সূত্র : বাসস


আরো সংবাদ



premium cement
সাহারা মরুভূমির গরমের মতো অনুভূত হচ্ছে : সরকারকে দায়ী করে রিজভী মধুখালীর পঞ্চপল্লীতে ২ ভাইকে হত্যার প্রতিবাদে সমাবেশ শ্রীলঙ্কাভিত্তিক এয়ারলাইন্স ফিটসএয়ারের ঢাকা-কলম্বো সরাসরি ফ্লাইট চালু রোহিঙ্গা ইস্যুতে একসাথে কাজ করবে ঢাকা-ব্যাংকক : পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরাইলি হামলায় আহত শিশুর মুখে ২০০ সেলাই বিষখালীতে মৎস্য বিভাগের অভিযান : জেলে নিখোঁজ, আহত ২ দক্ষিণ এশিয়ার যে শহরগুলোর তাপমাত্রা এখন সর্বোচ্চ গাজীপুরে দাঁড়িয়ে থাকা কাভার্ডভ্যানে অটোরিকশার ধাক্কায় হতাহত ৫ চৌগাছায় সিদ কেটে স্বর্ণের দোকানে চুরি দুর্নীতির মামলায় কৃষিমন্ত্রীকে আটক করল ইউক্রেন মোরেলগঞ্জে কৃষককে পিটিয়ে হত্যা

সকল