৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫
`


মাতারবাড়িতে জাপানীরা করছে গভীর সমুদ্র বন্দর

মাতারবাড়িতে জাপানীরা করছে গভীর সমুদ্র বন্দর - ছবি : নয়া দিগন্ত

মাতারবাড়ি প্রকল্পে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য মাটি আনতে গিয়ে ১৪ মিটারের বেশি খনন করতে হচ্ছে। এই গভীরতায় বড় বড় জাহাজ আসতে পারবে এবং একটি গভীর সমুদ্র বন্দর (ডিপ সি পোর্ট) করা সম্ভব। এই সুযোগটিই কাজে লাগিয়ে মাতারবাড়ি প্রকল্পে একটি গভীর সমুদ্র বন্দর হচ্ছে। এটা করছে জাপানীরা। এই সি পোর্টটা মাতারবাড়ি প্রকল্পের পরিকল্পণার মধ্যেই ছিল।

রোববার চীনা রাষ্ট্রদূতের সাথে প্রেস ব্রিফিংয়ের পর বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এম এ মোমেন সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান। মন্ত্রী জানান, জাপানীরা বলেছে, বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য মাটি আনতে গিয়ে এই এলাকায় এমনিতেই একটি গভীর সমুদ্র বন্দর করার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তিনি বলেন, আমাদের একটি গভীর সমুদ্র বন্দর দরকার। কারণ চট্টগ্রামে বড় জাহাজ আসতে পারে না।

বাংলাদেশের জন্য মালামাল আনার উদ্দেশ্যে বড় জাহাজগুলো প্রথমে সিঙ্গাপুর এসে থামে। সেখান থেকে ছোট জাহাজে চট্টগ্রামে আসে। এভাবে মালামাল আনা-নেয়া করতে হলে আমাদের অতিরিক্ত ২৫ ডলার খরচ হয় টন প্রতি মালামালে। গভীর সমুদ্র বন্দর হলে সব ধরনের জাহাজ এখানে আসতে পারবে। ফলে আমাদের আনা-নেয়ার খরচও কমে যাবে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, মাতারবাড়ি প্রকল্পে মোট ২৪ হাজার মেঘাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন বিদ্যুৎ কেন্দ্র হবে। এখানে আরো তৈরি করা হচ্ছে বঙ্গবন্ধু ইকোনমিক জোন। এই ইকোনমিক জোনে ইতোমধ্যে গাড়ি নির্মাণ কোম্পানি, বিদেশী ওষুধ কোম্পানিসহ নানা ধরনের শিল্প গড়ার অনুমতি নিয়েছে বিদেশীরা। চীনা ব্যবসায়ীরাও সেখানে বড় বড় কারখানা তৈরি করছে। এ দেশের মার্কেট ভাল বলেই তারা এখানে এসেছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, মাতারবাড়ি প্রকল্পে গ্যাস পাইপ লাইনের সংযোগ দেয়া হয়েছে। আমরা সস্তায় সিএনজি অথবা এলএনজি আনতে পারবো দেশের অভ্যন্তরে।

মাতারবাড়ি প্রকল্প সম্পর্কে তিনি বলেন, এ প্রকল্পটি করতে ৩৩ ফুট উঁচু বাঁধ দেয়া হয়েছে। এতো উঁচু বাধ দেয়ার কারণে সমুদ্রের পানি উঠবে না। আবার অনেক জমি পাওয়া গেছে।

একই ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রী রোহিঙ্গা প্রসঙ্গে বলেন, রোহিঙ্গাদের ভাসান পাঠানোর আগে স্থানীয়দের পাঠানো উচিৎ। আমরা সেখানে গিয়ে দেখে এসেছি। অনেক সুন্দর স্থাপনা তৈরি করা হয়েছে ভাসানচরেও সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে ৩০ থেকে ৩৪ ফুট উঁচু করে বাধ দেয়া হয়েছে।

সমুদ্রের এখানে কখনো প্রবেশ করতে পারবে না। আমি মনে করি রোহিঙ্গাদের আগে এখানে গৃহহীন স্থানীয়দেরই পাঠানো উচিৎ। যদিও তিনি বলেন, এটা তার ব্যক্তিগত মতামত। এটা সরকারের অভিমত নয়। তিনি বলেন, ভাসানচর প্রকল্পের ভেতরে সুন্দর করে লেক করে দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ভাসানচরের চারপাশে সাগরের মাটি দেখা যায়। এখানে প্রতি বছরই প্রচুর পলি আসছে। সামনের দিনগুলোতে যেখানে মাটি দেখা যায় সে জায়গাটাও উচু হয়ে মূল ভুখন্ডের সাথে মিশে যেতে পারে। এটা বাংলাদেশের জন্য গুড নিউজ (ভাল খবর)। রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে পাঠানো হলেও তাদের রাখাইনে ফিরে যেতে হবেই।


আরো সংবাদ



premium cement
`বন্দীবিনিময় চুক্তি হলেও রাফায় আক্রমণ চালাবে ইসরাইল' সমুদ্রসীমায় ২০ মে থেকে ৬৫ দিন‌ সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ হচ্ছে ২ নতুন মুখ ও নর্টিসহ দক্ষিণ আফ্রিকার বিশ্বকাপ দল ঘোষণা শত কোটি টাকা আত্মসাৎ : বিমানবন্দর থেকে বিশ্বাস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আটক মঠবাড়িয়ায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা গাজা যুদ্ধ : জার্মানির বিরুদ্ধে মামলার রায় দেবে আইসিজে হিট স্ট্রোকে ৮ দিনে ১০ জনের মৃত্যু : স্বাস্থ্য অধিদফতর মানিকগঞ্জে আ’ লীগের ২ চেয়ারম্যান প্রার্থীর পাল্টাপাল্টি মানববন্ধন গুচ্ছের ‘এ’ ইউনিটের ফল প্রকাশ হবিগঞ্জে হারুন হত্যা মামলা : ৭ জনের মৃত্যুদণ্ড, ১০ জনের যাবজ্জীবন যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালগুলোতে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে বিক্ষোভে পুলিশের বাঁধা, আরাফাতের সমালোচনা

সকল