২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`


জাতিসঙ্ঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের মর্যাদা সমুন্নত রাখার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

-

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসঙ্ঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের মর্যাদা সমুন্নত রাখার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, বাংলাদেশ এর সংস্কারকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই জাতিসঙ্ঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের মর্যাদা সমুন্নত রাখার প্রতি ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে কাজ করতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘এই বাহিনীতে সেনা ও পুলিশ সদস্য পাঠানোর দিক থেকে অন্যতম শীর্ষ অবদানকারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ জাতিসঙ্ঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের সংস্কারের প্রতি অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘জাতিসঙ্ঘ শান্তিরক্ষা একটি বৈশ্বিক জনকল্যাণমুখী সেবা। এই বাহিনীর মর্যাদা ধরে রাখতে আমাদের সকলকে অবশ্যই একটি ইতিবাচক চিন্তাধারা নিয়ে কাজ করে যেতে হবে। এটা অনেকের জীবনের আশার আলো জ্বালিয়েছে। আমাদের অবশ্যই এই আশার আলোকে সম্মান জানাতে হবে।’

বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘এই বাহিনীতে সেনা ও পুলিশ সদস্য পাঠানোর দিক থেকে অন্যতম শীর্ষ অবদানকারী দেশ হিসেবে আমরা জাতিসঙ্ঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের সংস্কারের ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি।’

জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব আন্তেনিও গুতেরেসের উদ্যোগে অ্যাকশন ফর পিসকিপিংয়ের (এফোরপি) ওপর একটি উচ্চ পর্যায়ের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একথা বলেন।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জাতিসঙ্ঘ সদরদফতরের ট্রাস্টিশিপ কাউন্সিল চেম্বারে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে গুতেরেসও বক্তব্য রাখেন।

শেখ হাসিনা বলেন, শান্তিরক্ষী বাহিনীর সদস্যদের এখন নির্দিষ্ট স্থানগুলোতে মোতায়েন করা হচ্ছে। ওই সব স্থানে শান্তি বজায় রাখার মতো পরিস্থিতি নেই। রাষ্ট্রবিরোধী সন্ত্রাসী ও বিদ্রোহীদের পক্ষ থেকে তারা ক্রমবর্ধমান হুমকির শিকার হচ্ছে।

তিনি বলেন, জাতিসঙ্ঘের মিশনগুলো প্রায়ই বিভিন্ন মান ও ধরনের বাহিনীর সঙ্গে কাজ করে থাকে। আর এটা জাতিসঙ্ঘ শান্তিরক্ষা অভিযানগুলোকে আরো জটিল ও বিপজ্জনক করে তুলছে।

তিনি আরো বলেন, ‘এজন্য শান্তিরক্ষী বাহিনীর সদস্যদের স্পষ্ট নির্দেশনা দেয়া উচিত। এই নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য বিশেষ পরিস্থিতিতে তাৎক্ষণিকভাবে যে কোন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণের মতো ক্ষমতা ও সরাঞ্জামাদি তাদের দেয়া উচিত।’

শান্তিরক্ষী বাহিনীর সদস্যদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে শেখ হাসিনা বলেন, কোনো রাষ্ট্রের সদস্যদের মোতায়েনের ক্ষেত্রে তাদের প্রতিশ্রুতি এবং সেই অনুযায়ী কতটা নিষ্ঠা ও দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছে তা বিবেচনা করা উচিত।

তিনি বলেন, ‘তাদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার অবশ্যই উত্তরণ ঘটাতে হবে। আমরা আশা করছি এ ফোর পি জাতিসঙ্ঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীকে তাদের ‘লক্ষ্য পূরণে উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে’ সহায়তা করবে।’

বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, দি ডিক্লিয়ারেশন অব শেয়ার্ড পিসকিপিং কমিটমেন্টস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ফলাফল বয়ে এনেছে।


আরো সংবাদ



premium cement
স্বর্ণের দাম ভরিতে কমলো ১১৫৫ টাকা গাজায় গণহত্যা বন্ধের আহ্বান জানালো উত্তর আয়ারল্যান্ডের ফার্স্ট মিনিস্টার হোসেনপুরে চাঞ্চল্যকর সবুজ মিয়ার হত্যায় ভাতিজা গ্রেফতার দেশের সর্বোচ্চ ৪৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড চুয়াডাঙ্গায় সীমান্তে গুলির শব্দ নেই, তবুও আতঙ্কে স্থানীয়রা রাঙ্গাবালীর খালে পাওয়া টর্পেডো উদ্ধার করেছে নৌ-বাহিনী লক্ষ্মীপুরে বিজয়ী ও পরাজিত উভয় চেয়ারম্যান প্রার্থী আটক ৩৪ বছরেও মুছেনি ভয়াল ২৯ এপ্রিলের দুঃসহ স্মৃতি যশোরে দেশের সর্বোচ্চ ৪২.৮ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড উত্তর ইসরাইলে হামাসের রকেট হামলা প্রচণ্ড গরমে বেতাগীতে ৪ শিক্ষার্থী শ্রেণিকক্ষে অসুস্থ

সকল