ঢাকার দোহার ও নবাবগঞ্জ উপজেলায় অব্যাহত প্রচণ্ড খরতাপে পুড়ছে কৃষিজমি ও মাঠের ফসল। পানির অভাবে কৃষিজমি ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। এতে মরে যাচ্ছে ক্ষেতের ফসলের গাছ। অপর দিকে এ অঞ্চলে সময়মতো স্বাভাবিক বৃষ্টি না হওয়ায় চলতি মৌসুমের ফসল আবাদে জমি চাষ করা যাচ্ছে না। এতে দুঃচিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা। বৃষ্টির জন্য অধির অপেক্ষায় রয়েছেন কৃষক ও গো খামারিরা।
জানা গেছে, এ পর্যন্ত গত ছয় মাস টানা বৃষ্টিপাত না হওয়ায় কৃষিজমির মাটি প্রচণ্ড রোদের তাপে ফেটে চৌচির হয়েছে। ফলে চাষাবাদের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে বিস্তির্ণ মাঠ। প্রতি বছর শীত মৌসুমে রবিশস্য রোপনের পর একাধিকবার বৃষ্টিপাত হয়। এ সময় বাড়তি সেচের প্রয়োজন হয় না। কিন্তু এ বছর বরি মৌসুমে কোনোরকম বৃষ্টি না হওয়াতে রবিশস্যের ফলন সন্তোসজনক হয়নি।
এ দিকে পরবর্তী ফসল বপনের সময় চলে যাচ্ছে। কিন্তু বৃষ্টির দেখা নেই। সঙ্গতকারণেই কৃষকরা জমি আবাদ করতে পারছেন না।
সংশ্লিষ্টরা জানায়, চৈত্রের মাঝামাঝি সময় থেকে এখানকার কৃষিজমিতে ধান, পাট, তিল, ধৈঞ্চাসহ বিভিন্ন ধরনের ফসলের বীজ বপন করা হয়। এবার বৃষ্টি না হওয়ায় মাটিতে আদ্রতা নেই। ফলে চাষাবাদ করা সম্ভব হচেছ না। চলতি মৌসুমের শস্য উৎপাদনে বীজ বপন করতেও বিলম্ব হচ্ছে চাষিদের।
আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে অর্থাৎ বৈশাখের আগে বৃষ্টিপাত না হলে বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।
দোহার উপজেলার লক্ষীপ্রসাদ এলাকার কৃষক মো: সুজন দেওয়ান জানান, অন্য বছর এ সময় ফসলের বীজ বোনা শেষ হয়ে যায়। এবার বৃষ্টি না হওয়ায় তার আট বিঘা জমি পতিত পড়ে আছে। জমির মাটি এতটাই শক্ত হয়ে গেছে যা লাঙল দিয়ে চাষ দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। বৃষ্টি না হলে এ মৌসুমে জমি অনাবাদি পড়ে থাকবে।
নবাবগঞ্জ উপজেলার কৃষক মো: আজিজুর জানান, বৃষ্টি না হওয়াতে গো-খাদ্যের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। আর গো খাদ্যের অভাবে আমার মতো দুগ্ধ উৎপাদনকারী খামারিরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
বৃষ্টির অভাবে আম, পিছফল, পেয়ারা, লেবু, জামবুরা, গাবসহ অন্যান্য ফলের গুটি ঝরে যাচ্ছে। সবজি চাষও হুমকির মধ্যে পড়েছে বলে এলাকার অনেকের সাথে কথা বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে দোহার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মামুন ইয়াকুব জানান, এ সময়টাতে বৃষ্টির ওপর নির্ভর করেই ফসল ফলিয়ে থাকেন কৃষকেরা। সময় মতো বৃষ্টি না হওয়াতে এখনো কেউই জমি আবাদ করতে পারছে না।
আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে প্রচুর বৃষ্টি হলে সমস্যা কেটে যাবে বলে ধারণা করছেন তিনি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা