২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`


চাকরির আশ্বাসে টাকা আত্মসাতের মামলা প্রত্যাহার না করায় মিথ্যা নিউজ

-

টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চাকুরি দেয়ার নামে ভূয়া নিয়োগপত্র প্রদান করে মোটা অংকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় সাংবাদিক রেফাজুর রহমানের বিরুদ্ধে। এমন অভিযোগে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার না করায় এবং টাকা ফেরত চাওয়ায় মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। একই সাথে প্রাণনাশের হুমকিও দেয়া হয়েছে। টাঙ্গাইল জেলা পরিবেশক মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম মঙ্গলবার দুপুরে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন।

সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে রফিকুল ইসলাম জানান, জেলা পরিবেশক মালিক সমিতির করণিকসহ ১০ জনকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী হিসেবে নিয়োগ দেয়ার কথা বলে দৈনিক কালের স্রোত পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক রেফাজুর রহমান ও তার সহযোগী আবু তাহের দুই দফায় চার লাখ ৯০ হাজার টাকা নিয়ে ১০টি ভুয়া নিয়োগপত্র প্রদান করেন। পরে সে টাকা ফেরত না দেয়ায় করণিক মো: রাসেল বাদি হয়ে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিগত ২০১৯ সালের ২৬ মে মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় তিনি (রফিকুল ইসলাম) সাক্ষী। মামলাটি তদন্তের জন্য টাঙ্গাইল মডেল থানার ওসিকে নির্দেশ দেন আদালত। অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। গত ১৬ সেপ্টেম্বর আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেন।

রফিকুল ইসলাম লিখিত বক্তব্যে আরো বলেন, গ্রেফতারী পরোয়ানা জারির পরদিন ১৭ সেপ্টেম্বর রেফাজুর রহমান তার নিজ অফিসে তাকে ডেকে নিয়ে মামলায় সাক্ষী না দেয়ার জন্য এবং বাদিকে দিয়ে মামলা প্রত্যাহারের জন্য চাপ দেন। তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তাকে প্রাণনাশেরও হুমকি দেয়া হয়।

রফিকুল ইসলাম বলেন, রেফাজুর রহমানের কথামতো মামলা প্রত্যাহার না করায় এবং টাকা ফেরত চাওয়ায় গত ২১ সেপ্টেম্বর সোমবার দৈনিক কালের স্রোকত পত্রিকায় আমার বিরুদ্ধে ‘নাশকতা ও বিস্ফোরক মামলার আসামি রফিকের বিরুদ্ধে জঙ্গী সংগঠিত করার অভিযোগ’ শিরোনামে সংবাদ পরিবেশন করা হয়। অথচ আমার বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। এতে আমার সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন ও মানহানী করা হয়েছে। একইভাবে তার ব্যবসায়িকভাবে আর্থিক ক্ষতিও করা হয়েছে। এ ব্যাপারে তিনি মানহানির মামলা দায়ের করবেন বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানান।

এ বিষয়ে রেফাজুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি মুঠোফোনে নয়া দিগন্তকে বলেন, চাকুরি দেয়ার নামে টাকা নেয়ার অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বানোয়াট। তাদের সাথে কখনোই আমার কোনো লেনদেন হয়নি। আর কালের স্রোত পত্রিকায় প্রকাশিত নিউজটি সঠিক বলে তিনি জানান।


আরো সংবাদ



premium cement