০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫
`


মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজের ১৩তম পুনর্মিলনীতে সেনাবাহিনীর প্রধান

দেশ মাতৃকার জন্য ক্যাডেটরা সেবার ব্রত নিয়ে কাজ করে থাকেন

মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজে ১৩তম পুনর্মিলনীতে সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ - নয়া দিগন্ত

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেছেন, দেশ মাতৃকা রক্ষা ও দেশের গৌরব উজ্জল সমুন্মত রাখতে ক্যাডেটরা সেবার ব্রত নিয়ে নিয়ম-শৃঙ্খলার মধ্যে থেকে নিরলসভাবে কাজ থাকেন। দেশ ও জাতির যে কোনো প্রয়োজনে ক্যাডেটরা নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন এবং ভবিষ্যতেও করে যাবে।

তিনি আজ শুক্রবার সকালে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজে প্রাক্তন ক্যাডেটদের সংগঠন (মেকার) ১৩ তম পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ হেলিকপ্টার যোগে মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজে এসে পৌঁছালে তাকে অভ্যর্থনা জানান জিওসি ৯ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার সাভার অঞ্চলের মেজর জেনারেল মো. আকবর হোসেন, কলেজের অধ্যক্ষ বিমান রায় চৌধূরী, মেকার সভাপতি ও সাবেক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল শাহ মো. সুলতান উদ্দিন ইকবাল (বীর প্রতীক) সহ আগত অতিথিবৃন্দ।

বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধনের পর মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজের ক্যাডেট ও সাবেক ক্যাডেটরা প্রধান অতিথির সন্মানে কুচকাওয়াজ প্রদর্শন করেন।

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেন, জ্ঞানই শক্তি এই মুলমন্ত্রকে ধারণ করে জ্ঞানের বলে বলিয়ান হয়ে ১৯৬৩ সাল থেকে মির্জাপুর ক্যাডেট দেশে বিদেশে জ্ঞানের প্রদীপ শিখা প্রজ্জলন করে যাচ্ছে। পড়ালেখার পাশাপাশি সহশিক্ষা মুলক কর্মকাণ্ডে আমাদের ক্যাডেটরা সমানভাবে নৈপুণ্য প্রদর্শন করছে। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে ক্যাডেটরা দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন। পরে তিনি ক্যাডেটদের দ্বারা বর্ণাঢ্য চিত্র প্রদশর্নী ও বিজ্ঞান মেলা পরিদর্শন এবং ক্যাডেট কলেজের সামনে শহীদ মিনার এলাকায় বৃক্ষরোপন করেন।এ সময় সাবেক সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল এম এ মুবিন, মেজর জেনারেল মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, মেজর জেনারেল মো. সাইফুল আবেদীন, মেজর জেনারেল মো. মোসফেকুর রহমান, রিয়ার এডমিরাল খালেদ ইকবাল, বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফজ্জামান সিদ্দিক, প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মেকার ১৩ তম পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে নবীন-প্রবীণ ক্যাডেটদের মিলনমেলা

মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ একটি ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৯৬৩ সালে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক সংলগ্ন অত্যন্ত মনোরম পরিবেশে বিশাল এলাকা নিয়ে গোড়াই এলাকায় মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। মির্জাপুর এক্স-ক্যাডেট এসোসিয়েশন (মেকার) ১৩ তম তিন দিনব্যাপি পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান উপলক্ষে পুরো ক্যাম্পাস নানা সাজে সজ্জিত করা হয়। বৃহস্পতি শুরু হওয়া এ পূনর্মিলনী শনিবার জমজমাট সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শেষ হবে। অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রথম ব্যাচ থেকে শুরু করে সর্বশেষ ২০১৯ সালের ব্যাচের ক্যাডেটরা। দীর্ঘ দিন পর এমন একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পেরে অনেকেই আবেগ-আপ্লুত হয়ে পরেন। অনুষ্ঠানে সুউডেন ও রাশিয়া থেকে এসেছেন ১৩ তম ব্যাচের সাবেক ক্যাডেট গোলাম মাওলা ও ডা. মজিবর রহমান। প্রাক্তণ এই দুই ক্যাডেট তাদের অনুভুতির কথা ব্যক্ত করে বলেন, আমরা যে আনন্দ পেয়েছি তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না। নানা ব্যস্ততার মাঝেও এমন একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি। দীর্ঘদিন পর সহপাঠিদের একত্র পেয়েছি। পুরনো দিনের গল্প করেছি। একই কথা বললেন ১৪ তম ব্যাচের ক্যাডেট মো. আমিনুর রহমান খান ও ২৬ তম ব্যাচের ক্যাডেট ডা. ফাহিদ। ১৩ তম পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পেরে প্রাণের সঞ্চার খুঁজে পেয়েছেন বলে তারা জানিয়েছেন।

এ ব্যাপারে মেকার সভাপতি ও সাবেক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল শাহ মো. সুলতান উদ্দিন ইকবাল (বীর প্রতীক) বলেন, মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ আমাদের ঠিকানা। এখান থেকে আমরা জীবনের পথচলা শুরু করেছিলাম। এই কলেজ আমাদের অনেক কিছু দিয়েছে যার ঋণ কোন দিন শোধ করা যাবে না। এখানকার প্রতিটি ইটের কনা আমাদের চেনা-জানা। সকলের সহযোগিতায় ১৩ তম পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান করতে পেরেছি এ জন্য সকলের কাছে কৃতজ্ঞ। ভবিষ্যতে এই অনুষ্ঠান আরো পরিসর হবে এমনটাই প্রত্যাশা করেন তিনি। 


আরো সংবাদ



premium cement
ইসরাইলবিরোধী পোস্টের দায়ে নাগরিকদের আটক করছে সৌদি পোরশায় পুলিশ সুপারের বাড়িতে চুরি প্রকৃতিকে প্রতিনিয়ত ধ্বংস করছে সরকারি দলের লুটেরা-ভূমিদস্যুরা : রিজভী টিএইচই এশিয়া ইউনিভার্সিটি র‌্যাঙ্কিংয়ে দেশে ২য় বাকৃবি সৌদি-ইসরাইল সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের দ্বারপ্রান্তে : যুক্তরাষ্ট্র হাটহাজারী উপজেলায় শ্রেষ্ঠ শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন আবুল বাশার ‘এতে মজা আছে নাকি, সবাই একদল আমরা’ অরক্ষিত রেলক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় পুলিশ কর্মকর্তা নিহত নানামুখী চাপে বাংলাদেশের গণমাধ্যম দুর্নীতির দায়ে ক্রিকেটে ৫ বছর নিষিদ্ধ থমাস বিধ্বস্ত গাজার পুনর্নির্মাণে সময় লাগতে পারে ৮০ বছর : জাতিসঙ্ঘ

সকল