চব্বিশ.
বাবা ঘরে ঢুকেই ওদের দিকে তাকিয়ে বললেন, তোমাদের এমন লাগছে কেন? রিশা, রাফি চমকে উঠে বলল, কই না তো বাবা। আমরা তো ঠিকই আছি। বাবা কাশি দিয়ে গলা পরিষ্কার করে বললেন, ঠিক থাকলেই ভালো। সন্ধ্যা হয়ে গেছে এখন পড়তে যাও। রিশা, রাফি পড়ার ঘরে পড়তে বসল। খোলা জানালা দিয়ে মিষ্টি মিষ্টি বাতাস আসছে। রিশা বাইরে তাকাল। শহরে বাতির আলোয় চাঁদের আলো ম্লান হয়ে যায়। তবু আজ চাঁদটাকে ফুটফুটে সুন্দর মনে হচ্ছে।
রিশা মনের অজান্তেই কবিতা আবৃত্তি শুরু করল। জীবনানন্দ দাশের কবিতা। আবৃত্তি শেষ হওয়া মাত্রই হাত তালির শব্দে ওরা চমকে উঠল! মা দাঁড়িয়ে আছেন। ঠোঁটে মুগ্ধতার হাসি। মা বললেন, খুব সুন্দর আবৃত্তি হয়েছে। বিকেলে তাহলে বই লুকিয়ে ছিলে? রিশা মাথা দোলাল। মা প্রশ্ন করলেন, পাঠ্যবইয়ের বাইরে কবে থেকে অন্য বই পড়া শুরু করেছ? রিশা বলল, এইতো মা, কিছুদিন। রাগ করবে দেখে বলিনি। মা ওদের দিকে তাকিয়ে কঠিন স্বরে বললেন, বই পড়া ভালো কাজ। রাগ করব কেন? সবসময় বাবা-মাকে নেতিবাচক মানসিকতার ভাবতে নেই। মা এই বলেই ক্ষিপ্ত হয়ে চলে গেলেন। রাফি বলল, আসলেই এটা ঠিক হয় নি। যাই হোক আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি এক মাসে পনেরোটি বই পড়ে শেষ করব। মোটা বই। রিশা বলল, আমি আঠারোটি বই পড়ে শেষ করব। রাফি হাসি দিয়ে বলল, তাহলে প্রতিযোগিতা হয়ে যাক।
(চলবে)
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা