২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`
নি ত্যো প ন্যা স

আকাশের ওপারে আকাশ

-

বিয়াল্লিশ.
শরীর না থাকার অনেক সুবিধা। খাওয়া পরার ঝামেলা নেই। আর খাওয়া পরার ঝামেলা নেই মানে আর কোনো ঝামেলাই নেই। দুনিয়ায় খাওয়া পরার ঝামেলাই সবচেয়ে বড় সমস্যা। না হলে কী সে আর তার মামীর মার খেয়ে ওখানে মাটি কামড়ে পড়ে থাকত।
মা ছায়া তার কাছে এসে বলে, ‘আমাদের যেমন নেয়ার ক্ষমতা নেই। তেমনি নেই কিছু শরীরি ত্রিমাত্রিক জিনিস দেয়ার ক্ষমতা। তার পরেও সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিয়ে ছায়া রাজ্য ঘুরে আসার জন্য আমরা তোমার চোখের ক্ষমতা কিছুটা হলেও বাড়িয়ে দিচ্ছি। এখন তুমি অন্ধকারেও স্পষ্ট দেখতে পাবে। তোমার চোখের দৃষ্টিসীমা বেড়ে যাবে অনেক। সবচেয়ে বড় কথা, তুমি ছায়ারাজ্যে যেতে মনস্থির করলে তোমার চোখই তোমাকে সঠিক পথ দেখিয়ে নিয়ে যাবে। ঠিক আছে যাই বাছা, অনেক নতুন ছায়ারা এসে বসে আছে তাদের সাথে দেখা করার কৌতূহল হচ্ছে খুব। তোমাকে দেখার কৌতূহল ছিল সেটা সবাইকে জানিয়ে দিয়েছি। সবাই তোমার কথা জানতে পেরে খুশি। ছায়া হওয়ার পর থেকে আমাদের জানার আগ্রহ অনেক বেড়ে গেছে। শরীর থাকতে শুধু সুখ খুঁজতাম। এখন শরীর নেই সুখ খোঁজার ঝামেলাও নেই। এখন শুধু জানতে ইচ্ছে করে।
কিশোরী ছায়া ধরা গলায় বলল, ‘তুমি এসো একদিন আমাদের ছায়ারাজ্যে। অনেক ছায়ার সাথে তোমার পরিচয় করিয়ে দেবো। দেখবে কেমন মজা হয়। তোমার নিজের ছায়াটাও পেয়ে যেতে পার। তখন আরো বেশি মজা হবে।’ বলে ওরা আর দেরি না করে চোখের পলকেই অদৃশ্য হয়ে যায়।
রিয়াজ ছায়াদের মিলিয়ে যাওয়া পথের দিকে তাকিয়ে থেকে দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে। এখানে হচ্ছেটা কী! একবার যাযাবর ডাইনি। একবার ছায়ারা। বেশ মজার ব্যাপার তো!
(চলবে)


আরো সংবাদ



premium cement