২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`
বিশ্ব ঐতিহ্য স্থান

অনুরাধাপুর

-


আজ তোমরা জানবে অনুরাধাপুর নগর সম্পর্কে। এ নগর বিশ্বসভ্যতার অন্যতম অংশ। লিখেছেন লোপাশ্রী আকন্দ

শ্রীলঙ্কা একটি দ্বীপদেশ । দেশটির সাবেক নাম সিংহল। কথিত আছে, এ দ্বীপ বিজয়ী বীর বাঙালি বিজয় সিংহের নামানুসারে দেশটি নাম হয়েছিল সিংহল। এ দেশের রয়েছে গৌরবময় প্রাচীন ইতিহাস। দেশটির অনুরাধাপুর প্রাচীন লঙ্কান সভ্যতার সংরক্ষিত ধ্বংসাবশেষের জন্য বিখ্যাত। ১৯৮২ সালে এটি ইউনেস্কোর বিশ্বঐতিহ্য স্থানের মর্যাদায় ভূষিত হয়।
সেই সময়ের অনুরাধাপুর রাজ্যের রাজধানী ছিল অনুরাধাপুর। নগরটিতে শ্রীলঙ্কার গৌরবময় অনেক বড় স্থাপনা, কীর্তিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়। সিংহলি বৌদ্ধ জনগোষ্ঠীর একটি জনপ্রিয় গন্তব্যস্থল এ নগর। কারণ এখানে রয়েছে অনেক প্রাচীন বৌদ্ধ স্থাপনা।
রাজা পাণ্ডু কাব্য খ্রিষ্টের জন্মের ৩৮০ বছর আগে অনুরাধাপুরকে রাজকীয় রাজধানীতে পরিণত করেন। এটি ১১৯ জন উত্তরসূরি সিংহলি রাজার বাসস্থান ও রাজধানী হিসেবে টিকে ছিল প্রায় এক হাজার খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত। তার মানে নগরটি কমপক্ষে ১৪০০ বছর লঙ্কান সভ্যতাকে বিকশিত করে। পরে এটি পরিত্যক্ত হয় এবং পলন্নারুয়াতে রাজধানী সরিয়ে নেয়া হয়।
অনুরাধাপুরে রয়েছে শ্রীলঙ্কার সবচেয়ে বিখ্যাত কিছু স্থাপনা, যেমনÑ দেশটির সবচেয়ে বড় ড্যাগোবা, রাজপ্রাসাদ, মন্দির, মঠ, অনুষ্ঠানাদিতে ব্যবহৃত গোসলখানা এবং পবিত্র বোধিবৃক্ষ মন্দির। ড্যাগোবা হচ্ছে গম্বুজাকৃতির স্থাপনা যা নির্মাণ করা হয় বুদ্ধ বা কোনো বৌদ্ধসাধুর দেহাবশেষের ওপর।
অনুরাধাপুর এবং এর আশপাশে অনেক ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়ে আছে। তবে এগুলো সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করা যায়নি। কথিত আছে, কিছু নিদর্শন তামিল ও ভ্যান্ডালরা ধ্বংস করেছে।
অনুরাধাপুর গড়ে উঠেছিল ধর্মীয় আচার ও প্রশাসনিক কেন্দ্র হিসেবে। অসংখ্য মানুষকে স্থায়ী আবাসন প্রতিষ্ঠায় আকৃষ্ট করে নগরটি। মানুষ বৃদ্ধির সাথে সাথে বসবাসের সুবিধাও বাড়ানো হয়েছিল।
অনুরাধাপুরের আজ সবই স্মৃতি। দাঁড়িয়ে আছে কিছু স্থাপনা অতীতের নীরব সাক্ষী হয়ে। বর্তমানে এখানে প্রায় ৬০ হাজার মানুষের বসবাস।
কথিত আছে, হিন্দু মহাকাব্য রামায়ণে বর্ণিত রাক্ষসরাজ রাবণের রাজধানী ছিল অনুরাধাপুর। পরে রাম এ রাজধানী পুড়িয়ে দেন।
তথ্যসূত্র : ওয়েবসাইট


আরো সংবাদ



premium cement