২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`
অভিযান

দুই গোয়েন্দার অভিযান-১০ পর্ব

-

রেজা আর সুজা দুই ভাই। রেজা বড়। সুজা ছোট। বাংলাদেশী। আমেরিকায় বসবাস। হাইস্কুলের ছাত্র। শখের গোয়েন্দা। অ্যাডভেঞ্চার ওদের রক্তে। রহস্যের নেশায় পাগল। নতুন যুগের নতুন গোয়েন্দা ওরা। নতুন নতুন অভিযানে
ঝাঁপ দিয়ে ঘুরে বেড়ায় দুনিয়াময়...
তেরো.
ডানা আর লেজ ছড়িয়ে দিয়ে কবুতরের গায়ের ওপর চেপে বসে আছে ওটা, রেজার হাত দেখেও উড়ে গেল না।
সুইভেলে জেস বেঁধে পাখিটাকে আটকে ফেলতে রেজাকে সহায়তা করল নেড।
‘কবুতরটা মরে গেছে!’ রেজা বলল। ‘খুব খারাপ হলো কাজটা! কার পোষা কবুতর, খোদাই জানে!’
ধীরে ধীরে বাজপাখির গায়ে টোকা দিয়ে ওটাকে শান্ত করল রেজা। তারপর বাজ আর কবুতর, দুটোকেই হাতে তুলে নিলো। কবুতরটাকে তোলার সময় ওটার এক পায়ে একটা লাল রঙের ক্যাপসুল চোখে পড়ল।
‘আরে, এ তো ক্যারিয়ার পিজিয়ন!’ হা করে তাকিয়ে আছে নেড। ‘ডাক বহনকারী পায়রা!’
ছোট্ট ক্যাপসুলটার প্যাঁচ ঘুরিয়ে মুখটা খুলে ফেলল সে। খোলা মুখটা হাতের ওপর উপুড় করে ধরল। ভেবেছিল চিঠিটিঠি পড়বে। কিন্তু পড়ল দুটো লাল রঙের পাথর।
‘আশ্চর্য!’ ভুরু কুঁচকে তাকিয়ে আছে রেজা।
শীলার সাথে গিয়ে কোকের টিন নিয়ে ফিরছিল সুজা। বাজপাখির কবুতর শিকার করার ঘটনাটা দেখেছে দূর থেকে। এগিয়ে এসে বসল নেডের কাছে। মাথা নিচু করে তিনজনেই তাকিয়ে আছে পাথরগুলোর দিকে। কবুতরের অন্য পায়ে আইডেন্টিফিকেশন ব্যান্ড আছে কিনা, সুজাকে দেখতে বলল রেজা।
‘কিছুই নেই,’ একপলক তাকিয়েই বলে দিলো সুজা।
আঙুল দিয়ে পাথরগুলোর গায়ে ঘষা দিয়ে দেখল রেজা। পিচ্ছিল, মসৃণ একটা অনুভূতি।
‘আমার ধারণা, এগুলো চুনি পাথর,’ বলল সে। ‘খুব দামী চুনি!’

‘চুনি!’ বিস্ময়ে চেঁচিয়ে উঠল নেড। তারপর হেসে উঠল, ‘যাহ্, তুই ঠাট্টা করছিস, রেজা। এগুলো আসলে রঙিন কাঁচের টুকরো। বাজি ধরে বলতে পারি।’
মুখ তুলে তাকাল সুজা। ‘কী বাজি ধরবি?’
‘ভরপেট ডিনার খাওয়াব।’
(চলবে)


আরো সংবাদ



premium cement