সিআইডি প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া বলেছেন, চুরি হওয়া মোবাইল থেকে গোপন ছবি ও ভিডিও নিয়ে মালিকদের ব্লাকমেইল করা হয়ে থাকে। তাদের কথা না শুনলে ওই ছবি বা ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার হুমকি দেয়া হয়। গত তিন মাসে ঢাকাসহ সারাদেশ থেকে ১১২টি হারানো মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। হারানোর পর ফোন গুলো একাধিক হাতে ব্যবহৃত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সিআইডি প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, সাইবার সংক্রান্ত অভিযোগ গ্রহণ করার পাশাপাশি হারানো মোবাইলফোন উদ্ধারে একটি সেল গঠন করে সাইবার পুলিশ সেন্টার। কারো মোবাইলফোন হারানো গেলে সংশ্লিষ্ট থানার জিডির কপি ও অন্য প্রমাণাদিসহ সাইবার পুলিশ সেন্টারের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা।
গত তিন মাসে এমন ভুক্তভোগী সিপিসির ফেসবুক পেজে অভিযোগ দাখিলের পর তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ১১২টি হারানো মোবাইলফোন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে উদ্ধার করে সিআইডির সাইবার টিম। এভাবে গত দেড় বছরে ৫০০টির বেশি হারানো ফোন উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
মোহাম্মদ আলী মিয়া আরো বলেন, মোবাইলফোনে অনেকের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য-উপাত্ত এবং ব্যক্তিগত ছবি-ভিডিও থাকে। আবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বিভিন্ন আইডিও লগইন থাকে। এসব ফোন হারিয়ে ভুক্তভোগীরা তখন অনেকটাই বিপদে পড়েন। হারানো ফোন থেকে ব্যক্তিগত ছবি-ভিডিও সংগ্রহ করে পরে ভুক্তভোগীদের হুমকি ও ব্লাকমেইল করা হয়। এ ধরনের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা একটি চক্রের আট সদস্যকে গ্রেফতারও করি। তবে হারানো মোবাইলফোনের আইএমইআই নম্বর পরিবর্তন হলে বা দেশের সীমান্ত পার করে অন্য দেশে চলে গেলে সেসব ফোন উদ্ধার করা অনেক কঠিন হয়ে পড়ে।
ফোন ব্যবহারে সর্বসাধারণের জন্য সিআইডি থেকে চারটি পরামর্শ দেয়া হয়। যেখানে বলা হয়েছে যাচাই-বাছাই ছাড়া পুরোনো মোবাইলফোন কেনাবেচা করা থেকে বিরত থাকুন। মোবাইলফোনে নিজের বা পরিবারের কারো একান্ত ব্যক্তিগত ছবি-ভিডিও সংরক্ষণ করা থেকে বিরত থাকুন। ফোনে নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের আইডি ও পাসওয়ার্ড সার্বক্ষণিক সেভ করে রাখা থেকে বিরত থাকুন এবং আর্থিক সেবাপ্রদানকারী মোবাইল অ্যাপসের অটো লগইনের ব্যবস্থা না রাখা।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা